নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর কাঞ্চন এলাকায় যৌতুক না পেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়েছেন এক স্বামী। এ সময় ঘটনাটি দেখতে পেয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূকে জীবিত উদ্ধার করে মাঝি-মাল্লারা। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর নাম কাজল রেখা (৩২)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কাঞ্চন পৌরসভার পিতলগঞ্জ গ্রামের মিম্বর আলীর ছেলে জুলহাস ও তার মা।
ভুক্তভোগীর পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, যৌতুক চেয়ে রেখাকে নিয়মিত শারীরিক নির্যাতন করেছেন তার স্বামী। গত শনিবার রাতে নির্যাতন শেষে ভুক্তভোগী রেখাকে হাত-পা বেঁধে হত্যার উদ্দেশ্যে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর কাঞ্চন এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়। এ সময় ঘটনাটি দেখতে পেয়ে মাঝিরা এগিয়ে যান। পরে তারা ভুক্তভোগী রেখাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় তাকে স্থানীয় কেপিএস জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসক তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানান্তর করেন।
ভুক্তভোগী কাজল রেখার মা আকলিমা বেগম বলেন, ছয় বছর আগে জুলহাসের সঙ্গে পারিবারিকভাবে রেখার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রেখার স্বামীকে নগদ ১ লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার, ফ্রিজসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র দেওয়া হয়েছিল। বেশ কিছু দিন যাবত আবারও টাকার জন্য রেখাকে নির্যাতন শুরু করে জুলহাস ও তার পরিবারের লোকজন। তাদের সংসারে জান্নাত নামে একটি মেয়ে (৪) আছে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফ এম সায়েদ বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত স্বামী জুলহাস ও শাশুড়ি সাহেরা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।