টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে উপজেলা ভূমি অফিসে চুরির ঘটনা ঘটেছে। একই সময়ে দুইটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তালা ভেঙে রুমের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র তছনছ করে দুষ্কৃতিকারীরা। সোমবার (৩১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের প্রধান সহকারী কাম-হিসাবরক্ষকের কক্ষ, পাশেই গোবিন্দাসী ও গাবসারা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে চুরির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) প্রধান সহকারী কাম-হিসাবরক্ষক মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. ইশরাত জাহান।
জানা গেছে, ভূঞাপুর থানার বাউন্ডারী সংলগ্ন উপজেলা ভূমি অফিসে দুষ্কৃতিকারীরা কাম-হিসাবরক্ষকের রুমের জানালা কেটে ভিতরে প্রবেশ করে। পরে অফিস রুমে থাকা দুইটি আলমারির তালা ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র তছনছ করে। এ সময় আলমারিতে থাকা ২২টি ডিসিআরের ২৫ হাজার ৩০০ টাকা চুরি করে চক্রটি। পাশেই গোবিন্দাসী ও গাবসারা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের রুমের দরজার তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে কাগজপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে চক্রটি।
উপজেলা ভূমি অফিসের প্রধান সহকারী কাম-হিসাবরক্ষক মাহমুদুল হাসান জানান, খবর পেয়ে অফিসে এসে দেখি রুমের ভিতর কাগজপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। জানালার একপাশে কেটে রুমে প্রবেশ করে তারা। এ সময় দুইটি আলমারির তালা ভেঙে ডিসিআরের জন্য রাখা টাকা চুরি করে। তবে অফিসে ল্যাপটপসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ঠিকভাবেই আছে।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদশর্ন করে সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তামান্না রহমান জ্যোতি বলেন, একই সময়ে তিনটি অফিস কক্ষে প্রবেশ করে গুরুত্বরপূর্ণ কাগজপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখে। তবে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাগজপত্র নিয়েছে কি না, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। কাজের সময় বোঝা যাবে কোনো কাগজপত্র চুরি হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে দুষ্কৃতিকারীরা গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাগজপত্র নেওয়ার জন্যই একই সঙ্গে তিন অফিসে প্রবেশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, থানার পাশেই ভূমি অফিস। অথচ এখানেই চুরির ঘটনা ঘটলো। ভূমি অফিসে নাইট গার্ডও অফিসের বারান্দায় ঘুমিয়েছিল তারপরও সে বুঝতে পারেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. ইশরাত জাহান বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি হয়েছে কি না তদন্ত চলছে।