লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে কিশোর রাসেল হোসেন (১৪) হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা বিএম শাহজালাল রাহুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে রাহুলসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগ বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের মিয়ারহাট বাজারে পেটে ছুরিকাঘাত করে অভিযুক্তরা। এতে মিয়ারহাট এলাকা দু’ঘন্টাব্যাপী দুইপক্ষের ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে রাহুলসহ পাঁচজনকে আটক করে।
নিহত রাসেল মিয়ারহাট এলাকার মনির হোসেন ভুট্টুর ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃত হলেন, রাহুল উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সদর উপজেলার পূর্ব নন্দনপুর গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে মো. সোহাগ (২৭), রায়পুরের চরলক্ষ্মী গ্রামের মৃত ইউসুফ কারীর ছেলে ফারুক কারী ও চরকাছিয়া গ্রামের মানিক শিকদারের ছেলে সুমন শিকদার (৩০)। তারা রাহুলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এজাহারে নিহতের মা ফাতেমা বেগম উল্লেখ করেন, তার স্বামী মনির চরের জমিতে ফসল চাষাবাদ করেন। তবে সেই জমির ফলল জোরপূর্বক কেটে নেয় আওয়ামী লীগ নেতা রাহুল। এই বিষয় নিয়ে তার স্বামী প্রতিবাদ করলে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। বুধবার সকালে রাসেল চাষাবাদকৃত সেই জমি দেখাশোনা করতে ঘর থেকে বের হয়। পথে মাছঘাটে পৌঁছালে রাহুল তার লোকজন নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাসেল ও তার বাবা মনির হোসেনের ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা রাসেলের পেটে ধারালো চাকু ঢুকিয়ে দিলে গুরুতর জখম হয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন রাসেলকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানায়।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের মিয়ারহাট বাজারে থাকা রাহুলের আস্তানা থেকে তিনটি ধারালো চোরা, একটি রামদা, একটি চাপাতি, তিনটি চাকু এবং তিনটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করে। পরে একই দিন রাতে নিহত রাসেলের মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আটকদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।