লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে শাশুড়িকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার দায়ে পরকীয়া প্রেমিক জসিম উদ্দিনসহ গৃহবধূ তাহমিনা আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডিত তাহমিনা রামগঞ্জ উপজেলার সাউদেরখিল গ্রামের মফিজুল ইসলামের মেয়ে এবং জসিম উদ্দিন রাঘবপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্র জানা যায়, তাহমিনার সঙ্গে তার চাচাতো ভাসুর জসিমের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল রাতে তাহমিনা ও জসিম শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। ঘটনাটি তাহমিনার শাশুড়ি রাহেনা বেগম দেখে ফেলেন। এতে জসিম উদ্দিন তাকে ধাক্কা দিয়ে খাটের ওপর ফেলে দেয়। একপর্যায়ে তিনি চিৎকার করলে জসিম উদ্দিন বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করেন। তাহমিনা তার শাশুড়ির দুই পা চেপে ধরে রাখেন। এতে তিনি মারা যান। পরে জসিম উদ্দিন ঘর থেকে বের হয়ে যান। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন রাহেনার স্বামী আবু তাহের রামগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, তাহমিনা আক্তার জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। তার পরকীয়া প্রেমিক জসিম উদ্দিন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।