সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে আটক হওয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ৩১ জন শিক্ষার্থীসহ ৩৪ জনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাজন কুমার দাস বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে।
সরকারের বিরুদ্ধে ‘গোপন ষড়যন্ত্র ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার আশঙ্কায়’ গত রোববার বিকেলে টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে ৩৪ জনকে আটক করা হয়।
গতকাল সোমবার বিকেলে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পুলিশ বাদী হয়ে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা করে। এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করলে আদালতের বিচারক ৩২ জনকে কারাগারে এবং দুজন কিশোর হওয়ায় তাদের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তার সবাই ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী।
মঙ্গলবার ইসলামী ছাত্রশিবির সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সভাপতি ও আইনজীবী আবুল বাশার বলেন, আমরা এখনো নিশ্চিত নই, এখানে সংগঠনের সঙ্গে কারা কারা যুক্ত। তারা আসলে বেড়াতেই হাওরে এসেছিলেন। পুলিশ হয়রানির জন্য তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত ঢাকা থেকে পাওয়া গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন আলামত জব্দ করার পরই মামলা ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত রোববার বিকেলে পুলিশ খবর পায় টাঙ্গুয়ার হাওরে বুয়েটের একদল শিবিরকর্মী এসেছে। পরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ গিয়ে দুধের আওটা এলাকা থেকে নৌকাসহ তাদের তাহিরপুর থানায় নিয়ে আসে।
দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, তাদের মধ্যে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বুয়েট শাখার বায়তুল মাল সম্পাদক এবং সাথি সদস্য রয়েছেন। অন্যরা শিবিরের কর্মী ও শুভানুধ্যায়ী। মোটিভেশন প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে শিবিরের কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল পর্যায়ের নির্দেশেই তারা টাঙ্গুয়ার হাওরে এসেছে।