তীব্র তাপপ্রবাহে মেহেরপুরে স্কুল ছুটি দেওয়ায় স্বস্তি
মেহেরপুরসহ আশেপাশের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র থেকে খুব তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এর মাঝে সোমবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় ছাত্রছাত্রী উপস্থিতি নেমে আসে ৩০ ভাগের নিচে। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মধ্যে আজ মেহেরপুর জেলাসহ ২৭টি জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে বন্ধ রয়েছে জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
মেহেরপুর জেলার প্রতিবেশী জেলা চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে। যা এ মৌসুমের দেশের সর্বোচ্চ।
অব্যাহত তাপপ্রবাহের ফলে জনজীবনে অস্বস্তি বিরাজ করছে। ভ্যাপসা গরম আর ঘামে নাকাল অবস্থায় সময় পার করছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ।
এ দিকে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালের সূর্য উঠার পর পরই শুরু হয় গরমের তীব্রতা। সকাল নয়টার পর রাস্তাঘাটে চলাফেরায় অস্বস্তি বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তীব্র তাপদাহের ফলে ৫ জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। তবে মেহেরপুর জেলা বন্ধের আওতায় না থাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মাঝে। বিদ্যালয়গুলো খোলা রাখা হলেও ছাত্রছাত্রী উপস্থিতি নেমে আসে ৩০ ভাগের নিচে। শেষ পযন্ত সোমবার সন্ধ্যায় খুলনা বিভাগের সব জেলাসহ দেশের ২৭টি জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে স্বস্তি ফিরে আসে মেহেরপুরে।
কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান জানান, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে গেছে কর্কটক্রান্তি রেখা। যা পশ্চিমবঙ্গের কিছু এলাকার সঙ্গে রাজশাহী থেকে শুরু করে যশোর হয়ে দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত বহমান। তাই রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরসহ ৫টি জেলায় তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। যার মধ্য থেকে বাদ পড়ে চুয়াডাঙ্গা-যশোরের প্রতিবেশী জেলা কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুর। এ তিন জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ডের জন্য আবহাওয়া অফিস নেই। ফলে অসহনীয় গরম আর তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেলেও আবহাওয়া অফিসের রেকর্ডকৃত জেলাগুলোর তাপমাত্রা নিয়েই বেশি মাতামাতি হয়।
মন্তব্য করুন