ঠাকুরগাঁওয়ে সাবেক দুই এমপিসহ ৯১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ঠাকুরগাঁওয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে দোকানে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিদগ্ধ হয়ে চারজন নিহতের ঘটনায় সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এবং ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজনসহ ৯১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জামায়াত নেতা মো. ফজলে আলম ওরফে রাসেদ বাদী হয়ে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকারের আদালতে এ মামলা করেন। এতে আসামি হিসেবে ৯১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুনাংশ দত্ত টিটো, জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল, সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর, রুহিয়া থানার আওয়ামী লীগের সভাপতি পার্থ সারথী সেন, সদর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আকরাম, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আসলাম জুয়েল, রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ (চিকন বাবু), সদর উপজেলা বেগুনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বনি আমিন, ছাত্রলীগ নেতা রয়েল বড়ুয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নজমুল হুদা শাহ্ এ্যাপোলো, পৌর কাউন্সিলর একরামুদৌল্লা, যুবলীগ নেতা ন্যাড়া সোহেল, রাজাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাদেমুল ইসলাম, ভানোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মুমিনুল ইসলাম ভাসানী, ইউপি চেয়ারম্যান আকালু ডোঙ্গা, তাঁতীলীগের সভাপতি সাদেকুল ইসলাম প্রমুখ।
এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এন্তাজুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ৪ জন নিহতের ঘটনায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে ফজলে আসম রাসেদ নামে এক জামায়াত নেতা। আদালত পরবর্তীতে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মন্তব্য করুন