• ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

চাঁদপুরে গরমে মারা যাচ্ছে মুরগি

স্টাফ রিপোর্টার (চাঁদপুর), আরটিভি নিউজ

  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০
ছবি : আরটিভি

গরমে নাকাল জনজীবন। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবন ও ব্যবসা-বাণিজ্য। তবে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার পোলট্রি খামারিরা। দিন ও রাতের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে প্রচণ্ড গরমে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার খামারে থাকা মুরগি মারা যাচ্ছে।

খামারিদের অভিযোগ, গত এক সপ্তাহের অধিক সময় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্থানীয় চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ নিজেদের ইচ্ছেমত বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। কোনো প্রকার রুটিন কিংবা শিডিউল না করে দিন-রাত মিলে ৮-৯ ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকা ক্ষতির বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে দুপুরের দিকে প্রচণ্ড গরমের কারণে হিট স্ট্রোকে মুরগি মারা যাচ্ছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩৫৭টি পোলট্রি খামার রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ব্রয়লার খামার রয়েছে ৩১৫টি এবং লেয়ার ও দেশি মুরগির খামার রয়েছে ৪২টি। তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে প্রতিদিনই এসব খামারের মুরগি মারা যাচ্ছে। অনেক খামারি তাই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। বিদ্যুতের বিকল্প জেনারেটর না থাকাসহ পর্যাপ্ত আলো-বাতাস খামারে প্রবেশ করতে না পারায় মুরগির হিট স্ট্রোকের প্রধান কারণ।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, হিটস্ট্রোক কোনো রোগ নয়। গরমের হাত থেকে যদি মুরগিকে রক্ষা করা যায়, তাহলে হয়তো হিট স্ট্রোকে মুরগির মারা যাওয়া ঠেকানো সম্ভব। এ ছাড়া কোনো প্রকার ওষুধ কিংবা চিকিৎসা দিয়ে মুরগি বাঁচানো সম্ভব নয়। বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে জেনারেটর দিয়ে মুরগি পালন করা যায়। তবে এতে উৎপাদনে খরচ আরও বেড়ে যাবে।

ছেংগারচর পৌরসভার ঘনিয়ারপাড় গ্রামের খামারি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমার খামারে ৩ হাজার ব্রয়লার মুরগি রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় এবং প্রচণ্ড গরমের কারণে গত এক সপ্তাহে আমার প্রায় ৬০০ মুরগি মারা গেছে। এ জন্য আমি মনে করি, লোডশেডিং সর্বোচ্চ দায়ী। যদি রুটিন মাফিক লোডশেডিং হতো, তবু আগাম ব্যবস্থা নিয়ে হয়তো মুরগিগুলো বাঁচানো যেত।

উপজেলার ওঠারচর গ্রামের খামারি শিপন মিয়া বলেন, গত দুই দিনে হিটস্ট্রোকে আমার খামারের ৯০টি মুরগি মারা গেছে। প্রতিটি মুরগি দুই কেজির ওপরে। গরমের কারণে কোনোভাবেই হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। লোডশেডিংয়ের কারণে ফ্যান চালিয়েও রাখতে পারছি না। এভাবে চলতে থাকলে লোকসান কোথায় ঠেকবে বলা মুশকিল।

লোডশেডিংয়ের বিষয়ে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর মতলব উত্তর জোনাল অফিসের এজিএম রায়হানুল ইসলাম বলেন, প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার গ্রাহকের জন্য আমাদের প্রতিদিনের বিদ্যুতের যা চাহিদা তার মাত্র ৫০ ভাগ বরাদ্দ পাচ্ছি। এ ছাড়া প্রধান সংযোগ লাইনও মাঝে মাঝে বন্ধ হচ্ছে। এ কারণে বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তা (প্রাণী ও স্বাস্থ্য) পলাশ কুমার দাস বলেন, বিদ্যুৎ না থাকলে শুধু জেনারেটর দিয়ে মুরগি পালন করা কঠিন। এ জন্য এমন স্থানে খামার তৈরি করতে হবে, যাতে সেখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আসতে পারে। এ ছাড়া প্রচণ্ড গরমের সময় বিদ্যুৎ না থাকলে মুরগির শরীরে পানি স্প্রে করতে হবে। তাহলে হিট স্ট্রোকে মুরগি মারা যাওয়ার হার কমবে।

আরটিভি/এএএ

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে চাঁদপুরে উন্মুক্ত ছিল যুদ্ধজাহাজ বানৌজা ‘শহীদ দৌলত’
পেঁয়াজ-সবজি-মুরগির দাম কমলেও আলুর দাম বাড়তি
ফরিদগঞ্জে বিএনপির জনসভা অনুষ্ঠিত
চাঁদপুরে কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ