মধ্যরাতে হঠাৎ ভেঙে গেল ইনানী জেটি
কক্সবাজারের ইনানীতে সমুদ্র সৈকত দ্বিখণ্ডিত করে তৈরি করা নৌবাহিনীর জেটিটি ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ভেঙে গেছে। এ জেটি ভেঙ্গে যাওয়ায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণেও তৈরি হয়েছে জটিলতা।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে জেটি ভাঙ্গার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন। তিনি জানান, দুর্ঘটনার বিস্তারিত কারণ জানার চেষ্টা চলছে।
এর আগে, বুধবার (২৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে হঠাৎ জেটির মাঝখানের অংশ ভেঙে যায় বলে জানায় স্থানীয়রা।
প্রাথমিক তথ্য অনুসারে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে এবং বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পূর্ণ জোয়ারের মধ্যে ঢেউয়ের প্রচণ্ডতার কারণে জেটির সাথে বাঁধা ছোট একটি বার্জের ধাক্কায় জেটিটি ভেঙ্গে যায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, বার্জটি জেটির সাথে বেঁধে রাখার পর থেকে মধ্যরাতে বাতাসের ধাক্কায় বড় বড় আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু জেটি বা বার্জে তখন কেউ ছিল না। এমনকি ভোরে জেটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর সকাল ১০টা পর্যন্ত কেউ আশেপাশে ছিল না।
জেটি সংলগ্ন তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপের বৈদ্যুতিক বিভাগের একজন কর্মী জানান, গত কয়েকদিন ধরে তিনটি ছোট নৌযান জেটিতে কাজ করছিল। তিনি মনে করেন, এসব নৌযান সঠিকভাবে সরানো না হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক নৌশক্তি মহড়ার জন্য সমুদ্র সৈকত দ্বিখণ্ডিত করে জেটিটি নির্মাণ করে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী। ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর নৌ-মহড়া শেষ হলেও জেটিটি অপসারণ করা হয়নি।
পরবর্তীতে এটি নিয়ে উচ্চ আদালতে রিটও করা হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার পক্ষ থেকে এটি সরিয়ে ফেলার জন্য স্মারকলিপি দেওয়া হয়। উল্টো কর্ণফুলী শীপ বিল্ডার্সের মালিকাধীন এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার শুরু করে এই জেটি। এই জেটিকে ঘিরে স্থানীয় পরিবেশ আন্দোলনকারীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।
এদিকে, গত বছর থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটক জাহাজ আসা-যাওয়া করছিল এই জেটি দিয়ে। সর্বশেষ ১ নভেম্বর থেকে আবারও এ জেটি দিয়ে সেন্টমার্টিনে যাতায়াতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল জাহাজ কোম্পানিগুলো।
আরটিভি/এফআই/এআর
মন্তব্য করুন