গাজীপুরের শ্রীপুরে দাদী জহুরা খাতুনকে (৬০) পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনে বাধা দিয়েছেন নাতি মাসুম ইসলাম। মৃত্যুর ১৯ ঘন্টা (রাত সাড়ে ৮টা) পরও ওই বৃদ্ধাকে দাফনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি এলাকাবাসীসহ স্বজনেরা।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বৃদ্ধার লাশ বাড়ির উঠোনে রয়েছে। এদিন উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের কপাটিয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত বৃদ্ধা জহুরা খাতুনের নাতি মাসুম ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে তার ফুফা নজরুল ইসলাম বাজারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দাদিকে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি নিয়ে বের হয়। ওই রাতে সে বাড়িতে না আসায় তার ফুফার সাথে যোগাযোগ করলে বলেন তার দাদি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। কোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানাতে পারেননি। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে বৃদ্ধা জহুরা খাতুনের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন তার মেয়ে জামাই নজরুল ইসলাম। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্ত ছাড়া দাদির লাশ দাফনে বাধা দেন নাতি।
বৃদ্ধার মেয়ে ও তার স্বামী নজরুল ইসলাম বলেন, জহুরা খাতুন মোটরসাইকেলে থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। শাশুড়ীর জমি লিখে নেওয়ার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করতে চাইলেও তারা বাধা দিচ্ছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, আমি বিষয়টি জানি। এটা তাদের পারিবারিক বিষয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেলে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/একে