শিক্ষার্থীদের হাতে আটক বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীকে দরজা ভেঙে ছাড়িয়ে নিয়ে উল্লাস ও বিজয় মিছিল করেছে তার রাজনৈতিক সহপাঠীরা। আটক হওয়া নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মী শাহরিয়ার সান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হন তিনি।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, আটক হওয়া নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের নিরাপত্তা কক্ষে দেড়ঘন্টা ধরে আটকিয়ে রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে দরজা ভেঙে সেই ছাত্রলীগ কর্মীকে ছাড়িয়ে নিয়ে বিজয় মিছিল করে তার সহপাঠী পরিচয়ধারীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা সহপাঠী না, বিগত সময়ে তারা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো এবং কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সমন্বয়কের মিটিং চলাকালীন সময়ে হামলা করেছিল।
গণযোগাযোগ সাংবাদিক বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল কর্মী আজমাইন সাকিব বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি সাময়িক বন্ধ থাকার সুযোগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তাদের আধিপত্য বিস্তার বা নেতিবাচক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়া অবশ্যই উদ্বেগজনক। এটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক পরিবেশ এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এ রকম পরিস্থিতি মোকাবিলায় অবিলম্বে ছাত্র রাজনীতি পুনরায় চালু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠন সমূহ এবং শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত সচেতনতা ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পেটুয়া বাহিনী নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগকে প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান জরুরি।
ইংরেজি বিভগের শিক্ষার্থী মাহমুদ ইমরান সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী শাহরিয়ারকে আটকে করে রাখে। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের সাথে জড়িত তার সহপাঠীরা তাকে নিরাপত্তা কক্ষের দরজা ভেঙে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। যাকে আটক করে রেখেছিলো সে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছিলো, ছাড়িয়েছে তা ভিডিও ফুটেজ দেখে বের করলে বোঝা যাবে। এছাড়া এর আগে যারা ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল তাদের উপর্যুক্ত শাস্তি চাই একই সাথে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি চালু করার দাবি জানাচ্ছি যাতে করে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থী যুক্তিক দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করতে পারি।
এ বিষয় জানতে চাইলে বাংলা বিভাগের শান্ত ইসলাম আরিফ বলেন, শিক্ষার্থীরা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী শাহরিয়ারকে আটকে করে রাখে। পরে ছাত্রলীগের সাথে জড়িত তার সহপাঠীরা তাকে নিরাপত্তা কক্ষের দরজা ভেঙে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। যাকে আটক করে রেখেছিলো সে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছিলো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ টি এম রফিকুল ইসলাম জানান, আমরা দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আরটিভি/কেএইচ