চুরি করে ধরা, মোবাইল ঘেঁটে বেরিয়ে এলো ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর তথ্য

পঞ্চগড় প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ , ০৭:৫৩ পিএম


চুরি করে ধরা, মোবাইল ঘেঁটে বেরিয়ে এলো ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর তথ্য
ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে ইজিবাইক চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়া রিফাত বিন সাজ্জাদ (২৩) নামে এক চোরের মোবাইল ঘেঁটে বেরিয়ে এসেছে ধর্ষণের পর হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য।   

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী।

জানা যায়, সম্প্রতি স্থানীয়রা ইজিবাইক চুরি অপরাধে রিফাত বিন সাজ্জাদকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেন। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তার মোবাইলে এক তরুণীকে বেঁধে রাখা ও নির্যাতনের ভিডিও দেখতে পায় পুলিশ। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অজ্ঞাতপরিচয় ওই তরুণীকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী বলেন, ৮ মার্চ ভোর ৪টার দিকে উপজেলার রাধানগর গ্রামের তাহিরুল ইসলামের ইজিবাইক চুরি করে পালানোর সময় ধরা পড়ে রিফাত বিন সাজ্জাদ। এ সময় তার সহযোগী আরও ২ জন পালিয়ে যান। তিনি বোদা উপজেলার মাঝগ্রাম এলাকার মো. আকতার হোসেনের ছেলে। পরে তার স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, পালিয়ে যাওয়া দুজন হলেন- রাণীগঞ্জ এলাকার মো. ফরিদুল ইসলাম ও ঠাকুরগাঁওয়ের নামাজপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলম। গ্রামবাসীরা গণধোলাইয়ের পর সাজ্জাদকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। তখনই চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। তিনি গত ১৩ জানুয়ারি রাধানগর কিসমত রেলস্টেশন এলাকায় এক নারীকে (২৭) ধর্ষণের পর হত্যা করেছিল বলে স্বীকার করেন। পুলিশ তার মোবাইলে হত্যাকাণ্ডের ছবি-ভিডিও উদ্ধার করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে ওই তরুণীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর আটোয়ারীর কিসমত স্টেশনে নামিয়ে পাশের এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তরুণীর যৌনাঙ্গ, স্তনসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে হত্যা করে। পরে মরদেহ রেললাইনে ফেলে যায়। পরদিন কিসমত এলাকায় রেলাইনে ক্ষতবিক্ষত ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়। তবে খবর পেয়ে ঠাকুরগাঁয়ের ভুল্লি এলাকার একটি পরিবার তাদের মেয়ে মনে করে মরদেহ গ্রহণ করে দাফন সম্পন্ন করেন।

তিনি আরও বলেন, ধর্ষণ ও হত্যার শিকার ওই নারী পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। আমরা তার পরিচয় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।

বিজ্ঞাপন

আরটিভি/এমকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission