পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী যুবলীগ নেতা আমিরুল মাস্টারকে (৪২) কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা। রাতেই এ ঘটনায় ইমু ও মিঠুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১০) মার্চ রাত সাড়ে ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আমিরুল ইসলাম উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের ক্ষেতুপাড়া গ্রামের লোহাই প্রামানিকের ছেলে। তিনি সাঁথিয়া উপজেলা যুবলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠিনিক সম্পাদক ছিলেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ইউনুস আলীর ছেলে মেহেদী হাসান ইমু (৩০) আবু সাইদ ওরফে চাঁদের ছেলে শিবলী সাদিক মিঠুন (২৭)। গৌরিগ্রাম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কামরুল ইসলাম মেম্বারের বাড়ি থেকে রাত আড়াইটার দিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নিহতের ভাই আশরাফ আলী ও পুলিশ জানায়, ক্ষেতুপাড়া এলাকার আওয়ামী লীগ কর্মী খালেক, ইমু ও মিঠুর সঙ্গে নিহত আমিরুলের পূর্ব বিরোধ ছিলো। সেই বিরোধের জের ধরে রাতে নিহত আমিরুলের বড় ভাই আশরাফকে মারপিট করে অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে আমিরুল ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্তরা তাকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে কিছু দূরে গিয়ে রস্তার পাশে আমিরুলকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে চলে যায়। এ সময় আমিরুলের চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাঁথিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাইদুর রহমান বলেন, এই হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায আব্দুল বাসেদ বাদী হয়ে ১০ জনের নামে মামলা দায়ের করে।
আরটিভি/এএএ