কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষককে ধরে পুলিশে দিয়েছে জনতা।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের নিলুরখামার সূর্যের খামার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকার পঞ্চাশ বছরে বয়সী মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে মাছ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ভুট্টা খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে একই গ্রামের সাইফুর রহমান ছেলে বাবর আলী (২৮)। ভুট্টা খেতেই অভিযুক্তকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে অভিযুক্ত যুবককে পাশের বাড়ির একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেয় তারা। বিকেল ৩টার দিকে নাগেশ্বরী থানার পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় ধর্ষণের শিকার নারীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
ধর্ষণের শিকার নারীর ছোট ভাই আবু বকর লাভলু জানান, জন্ম থেকেই তার বোন মানসিক ভারসাম্যহীন। এ কারণে তার বিয়ে হয়নি। বাড়িতেই থাকেন তিনি। বাড়ির পাশে ধরকার বিল নামের একটি বিল রয়েছে। সেখানে প্রতিদিন জেলেরা মাঝ ধরে। সেখানে আমার বোন মাঝে মধ্যে গেলে তারা মাছ দেয়। মঙ্গলবার সকালে সে একই কারণে বিলের ধারে যায়। এসময় বাবর আলী ওই বিলে মাছ ধরছিল। বাবর আলী আমার বোনকে মাছ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিলের পাড়ের একটি ভুট্টা খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
তিনি আরও জানান, এ সময় খেতে পানি দিতে গিয়ে এ দৃশ্য দেখে ফেলে খেত ওয়ালার ছেলে। পরে খেতের মালিক সেকেন্দার আলী ধর্ষক বাবর আলীকে আটক করে নিয়ে আসে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম রেজা জানান, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে আর ধর্ষণের শিকার নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরটিভি/এএএ