মৌলভীবাজারে চাঞ্চল্যকর সুজন হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। ‘মিসকিলিং’-এ নিহত হয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট সুজন মিয়া। মূলত মিসবাহ নামক একজনকে হত্যার পরিকল্পনা করা হলেও ভুল ব্যক্তিকে টার্গেট করে খুন করে ভাড়াটিয়া কিলাররা। হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পকারীসহ কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে প্রেস ব্রিফিং এ এইসব তথ্য জানান মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
এ সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা খালিশপুর এলাকার সামসুল হকের ছেলে নজির মিয়ার সাথে প্রতিবেশী সিকিউরিটি গার্ড মিসবাহ মিয়ার জমিসংক্রান্ত বিরোধ ছিল। সেই সূত্রে মিসবাহকে হত্যার পরিকল্পনা করে নজির মিয়া। সে লক্ষণ নাইডুর মাধ্যমে ভাড়াটে খুনিদের সাথে হত্যার পরিকল্পনা করে। কিন্তু খুনিরা মিসবাহর ছবি দেখে ভুল করে সুজন মিয়াকে টার্গেট করে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।
এ ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- সদর উপজেলার রঘুনন্দনপুর এলাকার আরিফ মিয়া, দিশালোক গ্রামের হোসাইন আহমদ, রাজনগর উপজেলার মাথিউড়া চা বাগানের লক্ষণ নাইডু, নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার কাশিপুর গ্রামের আব্দুর রহিম। ঘটনায় জড়িত কয়েকজন এখনো পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল রাতে মৌলভীবাজার পৌরসভার সামনে আইনজীবী সুজন মিয়াকে একদল ঘাতক চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় সুজন মিয়ার বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সুমন মিয়া অজ্ঞাত আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরটিভি/এএএ/এস