চায়ের রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজার জেলাকে বলা হয় প্রকৃতির লীলাভূমি। সেখানে চা বাগান, হাওর, জলপ্রপাত, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানসহ রয়েছে নানা দর্শনীয় স্থান। এবারের ঈদ উল আজহার লম্বা ছুটি পেয়ে আসতে শুরু করেছেন দূর দূরান্তের পর্যটকরা। পাশাপাশি আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়ে মুখরিত ছিল সবগুলো পর্যটনস্পট। আগামী এক সপ্তাহ কয়েক লক্ষ পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। ইতোমধ্যেই জেলার অধিকাংশ হোটেল, রিসোর্ট গুলো বুক হয়েগেছে। তাদের নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
মৌলভীবাজারকে চায়ের রাজধানী বলা হলেও সেখানে রয়েছে শতাধিক চা বাগান ছাড়াও লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, বাইক্কাবিল, হাকালুকি হাওর, মাধবপুর লেইক, বধ্যভূমি ৭১ ও মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, সীতেশ দেবের চিড়িয়াখানাসহ অর্ধশতাধিক পর্যটন স্পট। সেগুলো ঘুরে দেখতে এবং অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঈদের লম্বা ছুটির দ্বিতীয় দিন থেকে আসতে শুরু করেছেন পর্যটক ও দর্শনার্থীরা। তবে ঘুরতে এসে নানা বিড়ম্বনার কথাও জানালেন পর্যটকরা।
এদিকে দেশে নতুন এক প্রেক্ষাপটে এবার প্রথম পালিত হচ্ছে ঈদ উল আজহা। শনিবার প্রথম দিন কোরবানিসহ নানা আনুষ্ঠানিকতার কারণে অনেকটা ফাঁকা ছিল এসব দর্শনীয় স্থান। তবে ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে প্রচণ্ড গরম ও রোদের তীব্রতা উপেক্ষা করে আশেপাশের জেলা উপজেলা থেকে আসা দর্শনার্থীদের পদভারে মুখরিত ছিল চা বাগান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানসহ সবগুলো পর্যটন স্পট। এদিকে আগাম বুকিং হওয়া হোটেল রিসোর্টগুলোতে আসতে শুরু করেছেন দূর দূরান্তের পর্যটকরা এমনটি জানিয়েছেন গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ এর জেনারেল ম্যানেজার আরমান খান।
এদিকে দেশে নতুন এক প্রেক্ষাপটে এবারের কোরবানির ঈদকে ঘিরে কমতি ছিলো না উৎসবের। ঈদের টানা কয়েকদিনের ছুটি পেয়ে প্রকৃতির লীলাভূমিতে ছুটে এসেছেন হাজার হাজার মানুষ। বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে মোটরসাইকেল, সিএনজি, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারে যুবক তরুণ তরুণী থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে ভিড় করেন দর্শনীয় স্থানগুলোতে।
পরিবার পরিজন আর প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে ঈদের লম্বা ছুটি উপভোগ করতে পেরে সবাই ভীষণ খুশি। কর্মজীবনের ব্যস্ততার মাঝেও ঈদের আনন্দ ও ছুটিতে সবার মাঝে ছিল বাঁধা ভাঙ্গা উচ্ছ্বাস। কেউ ব্যস্ত ছিলেন সেলফিতে, কেউ গল্পে আড্ডায়, কেউ বা দল বেধে পরিবার পরিজন নিয়ে একান্তে সময় কাটিয়েছেন।
শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সভাপতি ও গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের মালিক সেলিম আহমেদ বলেন, মৌলভীবাজারের শতাধিক পর্যটন স্পট ঘিরে আগামী এক সপ্তাহ কয়েক লক্ষ পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। ইতোমধ্যেই জেলার অধিকাংশ হোটেল, রিসোর্টগুলো বুক হয়েগেছে। পর্যটকরা চলে এসেছেন ঈদ আনন্দে সামিল হতে।
টানা এই কয়েক দিনের ছুটিতে হাজার হাজার পর্যটক ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে টুরিস্ট পুলিশসহ সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তায় কাজ করছে বলে জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ শ্রীমঙ্গল জোনের পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী।
আরটিভি/এএএ