আওয়ামী লীগের নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ে এখন বাকরখানির দোকান দেওয়া হয়েছে। যদিও এটি ভাসমান মানুষ ও পথশিশুদের আশ্রয়ঘর হিসেবে ৫ আগস্টের পর থেকে ব্যবহার হয়ে আসছিল।
রোববার (২০ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ দোকানে বাকরখানি বানানো ও বিক্রি করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জেলা ও মহানগর কার্যালয়টি পাগল-মাস্তান এবং ভবঘুরেরা বাসস্থান হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। অভ্যুত্থান চলাকালে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল এ কার্যালয়।
আওয়ামী লীগের এ কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা মো. সবুজ বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর পুরো অফিস তছনছ হয়ে যায়। এর আগেও ভাঙচুর হয়েছে। ভেতরের যা ছিল সবই চুরি হয়ে গেছে। এরপর শহরের ভাসমান মানুষ দিন-রাত অফিসের সামনে ঘুমিয়ে থাকে। আগে অফিসের ভেতরে ঘুমাতো। একসময় অবৈধ কাজকর্মও হতো। পরবর্তীতে কয়েকজন লোক টিন দিয়ে আটকে দেওয়ায় তারা বাইরে ঘুমায়। এবার একটি বাকরখানির দোকান দেওয়া হয়েছে সেখানে।
এ বিষয়ে বাকরখানির দোকানের মালিক মো. সুমন মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অফিসটি ময়লা-আবর্জনায় ভরপুর ছিল। সেই সঙ্গে দিনরাত নেশাখোরদের আড্ডা ছিল। তাই অফিসের সামনের জায়গাটি পরিষ্কার করে এ দোকান দেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী সরকার ব্যবস্থা কায়েম করেছিল। ফ্যাসিবাদী সরকার ব্যবস্থার সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। বর্তমানে দলটি জনগণের মাধ্যমে বিতাড়িত হয়ে একটি ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। কাজেই তাদের কার্যালয় ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হবে এটাই স্বাভাবিক।
আরটিভি/এমকে-টি