‘মাদককে না বলুন, মাঠে ফিরুন’—এই আহ্বান এখন শুধু একটি স্লোগান নয়, বরং যুব সমাজকে সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় করে গড়ে তোলার জাতীয় প্রয়াস। বর্তমান সময়ে মাদকের করাল গ্রাসে বিপন্ন বাংলাদেশের যুবসমাজ। প্রতিদিন কেড়ে নিচ্ছে সম্ভাবনাময় প্রাণ, ধ্বংস করছে পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ। এই ভয়ঙ্কর বাস্তবতা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে খেলাধুলা—যেখানে শরীর, মন এবং চেতনা একসঙ্গে গঠিত হয়।
এই বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে কসবা উপজেলার মাঠে আয়োজিত হয়েছে ‘আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূঁইয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট’।
এই টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কসবা-আখাউড়া অঞ্চলের প্রিয়মুখ আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূঁইয়া। লাখো দর্শকের উপস্থিতিতে তিনি শুধু খেলার উদ্বোধন করেননি, বরং জাতীয়তাবাদী দর্শনের ভিত্তিতে ‘ধানের শীষ’-এর বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন জনমানসে।
বাংলাদেশে ফুটবল একসময় জাতীয় আবেগের নাম ছিল। ১৯৭৮ সালে এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণ, কিংবা ১৯৮৫ সালে ভারতের বিরুদ্ধে জয় আজও ইতিহাস। বর্তমানে ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৯তম (জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত) হলেও ঘরোয়া ফুটবলে দর্শকের আগ্রহ বাড়ছে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী লিমিটেড, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মত দলগুলো আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় তৈরি করছে। পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে শত শত টুর্নামেন্ট; যেমন কসবা আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূঁইয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট বাংলাদেশের ফুটবল ভিত্তিকে শক্তিশালী করছে।
জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ কোনো না কোনোভাবে মাদকসেবনে জড়িয়ে আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী ১৫-৩০ বছর বয়সী তরুণরা। অথচ, খেলাধুলায় সক্রিয় তরুণদের মাদকাসক্ত হওয়ার হার মাত্র ৫ শতাংশ—এটাই প্রমাণ করে ক্রীড়াচর্চা একটি কার্যকর মাদক প্রতিরোধক।
তাই মাদকমুক্ত যুবশক্তি তৈরিতে খেলাধুলায় পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছেন আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূঁইয়া। তার প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় কসবায় আগামীতে জাতীয় পর্যায়ের ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজনের স্বপ্নও দেখা হচ্ছে।
আরটিভি/এসএইচএম