চাঁদাবাজির অভিযোগে হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার পলাতক আসামি, চাঁদাবাজি ও প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কথিত জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটের চেয়ারম্যান জিয়াউল আমিন এবং একই সংস্থার অর্থ সচিব দৌলেতুন নেছাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। বুধবার (১১ মার্চ) গভীর রাতে তাদের ঢাকার মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটির একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আদমজীনগরে র্যাব-১১ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক আলেপউদ্দিন এ তথ্য জানান।
প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ওই দু’জনের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার কালোমেঘ গ্রামে। তারা সম্পর্কে স্বামী ও স্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, তারা জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, বেকার যুবকদের চাকরির প্রলোভন দিয়ে অর্থ আত্মসাত, চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক আলেপউদ্দিন জানান, গ্রেপ্তার জিয়াউল আমিনের প্রকৃত নাম হারুন অর রশীদ। তিনি বরগুনার চাঞ্চল্যকর দেবরঞ্জন কির্ত্তনীয়া হত্যা মামলার পলাতক আসামি। এই মামলা থেকে রেহাই পেতে ঢাকায় জিয়াউল আমিন নাম ধারণ করে বসবাস শুরু করেন। এরপর তিনি ২০১১ সালে জাতীয় মানবাধিকার ইউনিট নামে একটি এনজিও খোলেন। পরবর্তীতে এই সংস্থার অধীনে দুই হাজার কর্মী নিয়োগ দেন। যাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে তিন থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত সদস্য ফি নেন। এছাড়াও তিনি বেকার যুবকদের চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেন।
এর প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার বাসা থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের ৪২টি সিল ও ভুয়া আইডি কার্ড, একটি লোহার চাকু এবং বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার দু’জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এজে
মন্তব্য করুন