• ঢাকা রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
logo
নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবের লুট হওয়া অস্ত্র খেয়াঘাটে উদ্ধার 
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধে মাঠে শিক্ষার্থীরা
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধে মাঠে নেমেছে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেছেন তারা। শুক্রবার (৯ আগস্ট) সংগঠনটির বন্দর শাখার উদ্যোগে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্দর সমরক্ষেত্র মাঠে ঘণ্টাব্যাপী এ বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন কয়েক শত শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বন্দর শাখার সমন্বয়ক সালমান রহমান এ বিক্ষোভ সমাবেশের নেতৃত্ব দেন। সমাবেশে সালমান রহমান শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে বন্দর ১ নম্বর খেয়া ঘাটে সিএনজি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক এবং নৌকার মাঝিসহ সকল যানবাহনের চালককে আজকের পর থেকে কাউকে চাঁদা না দেয়ার আহ্বান জানান।  কেউ চাঁদাবাজি করতে এলে সবাই মিলে তাকে আটকে রেখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় শিক্ষার্থীদের জানানোর অনুরোধও করেন তিনি। এ ছাড়া যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করে ন্যায্য ভাড়া নেওয়ার জন্য সকল যানবাহনের চালক ও নৌকার মাঝিদের প্রতি আহ্বান জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বন্দর শাখার সমন্বয়ক। একই সঙ্গে বন্দর উপজেলার যে সব এলাকায় মাদক বেচাকেনা হয় তা বন্ধে ও মাদক বিক্রেতাদের উচ্ছেদে আজ থেকেই অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দিয়ে ছাত্র সমাজের এই সামাজিক সেবামূলক কাজে সহযোগিতা করতে স্থানীয় সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান সালমান রহমান। শিক্ষার্থীদের এসব পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে সহযোগিতার আশ্বাস দেন স্থানীয়রাও।  সমাবেশে সংগঠনের কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরাও বক্তব্য দেন।
নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা, মরদেহ উদ্ধার 
অস্ত্র মামলায় নারায়ণগঞ্জে ২ যুবকের ১০ বছর করে কারাদণ্ড
বড় ভাইকে না পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার
জুয়া খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব, গুলিতে যুবক নিহত
মাদক সেবনের টাকা না দেওয়ায় গৃহবধূকে হত্যা, স্বামী আটক
নারায়ণগঞ্জ উপজেলার বন্দরে কাজলী আক্তার নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী মাসুম হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।  সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার বন্দর ইউনিয়নের উলাক নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  নিহত কাজলী আক্তার একই এলাকার মৃত কামাল হোসেনের মেয়ে। স্থানীয় লোকজন ও নিহতের মেয়ে জানান, মেয়ের সুখের জন্য কাজলী আক্তারের বিয়ের পর পর এ বাড়ি নির্মাণ করে দেয় তার বাবা। বাবার দেওয়া বাড়িতে প্রথমে স্বামীকে নিয়ে সুখের সংসার থাকলেও স্বামী মাদক সেবন শুরু করলে অশান্তি নেমে আসে। মাদক সেবনের জন্য টাকা না দিলে প্রায়ই মাসুম তার স্ত্রীকে মারধর করতো। আজ সকালে মাদকের জন্য টাকা চাইলে না দেওয়ায় প্রথমে ঝগড়া হয়। পরে ঘরে থাকা বটি দিয়ে কাজলীকে কুপিয়ে হত্যা করে মাসুম। তার মেয়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে মাসুমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং হত্যার ঘটনায় নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে।’  তিনি আরও বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, মাদক সেবন ও পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।’
যুবককে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা, ভিডিও দেখে গ্রেপ্তার ২ 
নারায়ণগঞ্জ বন্দরের চাঞ্চল্যকর মনু হত্যা মামলার ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মনুকে পিটিয়ে হত্যার সময় এই আসামির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পুলিশ সেই ভিডিও’র সূত্র ধরে তাদের গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে।  বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আমির খসরু।  গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বন্দর থানার মুরাদপুর এলাকার ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে ফরহাদ এবং ফয়সাল।  গেলো ৭ জুন বন্দর উপজেলার মুরাদপুর এলাকায় নিজের বাড়িতে মনিরুজ্জামান ওরফে মনুকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। সে সময় তাকে পিটিয়ে হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাবিনা বেগম বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মনু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া মামলার দুই আসামিকে মঙ্গলবার রাতে বন্দর উপজেলার নয়াবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীর খসরু বলেন, মনুকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যার প্রকাশিত একটি ভিডিও দেখে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের শনাক্ত করা হয়। ঘটনার পরপর তারা পালিয়েছিল। এর আগে এ মামলায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের জামিন
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক জামিন পেয়েছেন। বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত জামিন প্রদান করেন।  বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মামুনুল হকের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন।  এর আগে গত মঙ্গলবার মামলার ধার্য দিনে আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানা এলাকায় রয়েল রিসোর্টে কথিত স্ত্রীসহ অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক।  পরে রয়েল রিসোর্টে প্রবেশ করে মামুনুলকে উদ্ধার করেন তার অনুসারীরা। একই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। এ ঘটনার ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী।
মুখোশ পরে প্রকাশ্যে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
নারায়ণগঞ্জের মণ্ডলপাড়া এলাকায় মুখোশ পরে প্রকাশ্যে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।  মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে মণ্ডলপাড়া এলাকার মা হোটেলের সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত নাসির শেখ (২৫) ফতুল্লার ফরাজীকান্দা এলাকার আল আমীন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া বাবুল শেখের ছেলে। তিনি একটি হোসিয়ারির শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি শাহাদাত হোসেন। প্রত্যক্ষদশীরা জানান, মুখে কাপড় বেধে বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত যুবক এসে মণ্ডলপাড়ার মা হোটেলের সামনে নাসিরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে ১০০ শয্যার ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিচার চেয়ে নাসির শেখের বড় ভাই আলম শেখ বলেন, ‘ঋষিপাড়ার আলম আর ওর ভাই অয়ন ও সাগরসহ মোট তিনজন মিলে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। তাদের সঙ্গে আমার ভাইয়ের কী নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিলো, তা আমাদের জানা নেই। সবার সামনে তারা আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমার ভাই হোসিয়ারিতে কাজ করতো। ও কোনো খারাপ কিছু করতো না। আমরা খুনিদের ফাঁসি চাই।’ এ বিষয়ে ওসি শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জেরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলমান রয়েছে। হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নরসিংদীতে ভুল চিকিৎসায় নারীর মৃত্যু, হাসপাতাল ঘেরাও
নরসিংদীতে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় জুলেখা বেগম (৩০) নামে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।  শুক্রবার (১৪ জুন) রাত ৯টার দিকে পৌর শহরের স্টেশন রোড এলাকায় নূর হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে।   নিহত জুলেখা বেগম শিবপুর উপজেলা বংশিরদিয়া এলাকার নাজমুল মিয়ার স্ত্রী।  নিহতের স্বজনরা জানায়, জুলেখা বেগমকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সন্ধ্যায় নূর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিজার করতে অন্তত ২ ঘণ্টা বিলম্ব করে। এ নিয়ে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কয়েক দফা সিজার করতে আরও টাকা লাগবে বলে জানায়। স্বজনরাও তাতে রাজি হন। সর্বশেষ সিজার করানোর সময় জুলেখা বেগম একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। পরে নবজাতকের অবস্থা ভাল নয়, ডাক্তারের এমন কথায় সেই নবজাতককে নিয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। এর আধা ঘণ্টা পরে প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয় বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার পর রোগীর স্বজনরা হাসপাতাল ঘেরাও করলে হাসপাতালের লোকজন সবাই পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এ বিষয়ে নরসিংদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জা ( ওসি) তানভির আহমেদ বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
বারান্দায় ঝুলছিল কলেজছাত্রের মরদেহ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে এক কলেজছাত্র গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার নাম আশরাফ চৌধুরী সজীব (১৮)। মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কদমতলীর ১০ তলা একটি ভাড়া বাসার বারান্দা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোজাম্মেল হক।  মৃত আশরাফ হোসেন সজীব কক্সবাজারের বাসিন্দা রুস্তম আলী চৌধুরীর ছেলে। তিনি ওই বাসায় সাবলেট থাকতেন। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মামুন বলেন, ‘সজীব নারায়ণগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়াশোনা করতেন। সজীব কদমতলী এলাকায় মিজান নামে একজন গার্মেন্টসকর্মীর সঙ্গে সাবলেটে থাকতেন। ওই বাসার বারান্দাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’