• ঢাকা রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
logo
শরীয়তপুরে শহীদ পরিবারের পাশে জামায়াত
শরীয়তপুরে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় বসতঘর থেকে শাহিন শেখ (৪২) নামে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে, দুপুর ২টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। নিহত শাহিন শেখ উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের পাঁচক এলাকার মৃত জাহেদ আলী শেখের ছেলে। স্থানীয় ও নিহতের স্বজনরা জানায়, শাহিন শেখ একাই তার নিজ ঘরে বসবাস করতেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাকে শেষ বারের মতো দেখেছিলেন পরিবারের অন্য সদস্যরা। এরপর শুক্রবার তার সাড়াশব্দ না পেলে ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করেন স্বজনরা। এ সময় তাকে খাটে পড়ে থাকতে দেখেন তারা। পরে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত দেখলে সন্দেহ হয়। বিষয়টি থানায় জানালে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাতে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। নিহতের বড় ভাই জামাল শেখ অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাইয়ের শরীরে আঘাতের দাগ আছে। কেউ আমার ভাইকে ঘরের মধ্যে ঢুকে হত্যা করেছে। পরে তারা পেছনের বেড়ার টিন খুলে পালিয়ে যায়। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, মরদেহটির হাতের একটি আঙুলে পোড়া দাগ ছিলো। তাই ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের  ফলাফল আসলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শরীয়তপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এনজিও কর্মী নিহত
পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয় কমানো হয়েছে: সেতু উপদেষ্টা
শরীয়তপুরের সখিপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গৃহবধূর মৃত্যু
শরীয়তপুরে ডোবার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মেঘনায় ট্রলারডুবি / নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে ২ জনের লাশ উদ্ধার 
শরীয়তপুরের মেঘনা নদীতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বরযাত্রীবাহী একটি ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ছিলেন বর সানজুসহ তার ভাই শাওন ও বন্ধু হৃদয়। এর মধ্যে জেলেদের জালে বরের ভাই শাওন ও বন্ধু হৃদয় বেপারীর মরদেহ উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বর সানজু। শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টার সময় গোসাইরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুষ্পেন দেবনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উদ্ধার হওয়া শাওন পুরান ঢাকার ধোলাইখালের শাহজাহান বেপারীর ছেলে ও হৃদয় একই এলাকার বলু বেপারীর ছেলে। এ নিয়ে ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার হলো। একই পরিবারের ৩ জন। তবে এ দুর্ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১ জন।  উল্লেখ্য, শুক্রবার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে এসে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহত হন বরের মা, বোন, ভাই ও বন্ধু। আহত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ৫ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। শুক্রবার সকাল ১০টায় কোদালপুর লঞ্চ ঘাট থেকে ট্রলার যোগে পরিবারের ৮ জনসহ মোট ১১ জন মাঝেরচর যাচ্ছিলো। মাঝ নদীতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় (স্রোতের) ডুবে যায় তাদের বহনকারী ট্রলারটি।
ছেলের জন্য পাত্রী দেখতে এসে ট্রলার ডুবে মা-মেয়ের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩
ছেলের জন্য ঢাকা থেকে গ্রামে মেয়ে দেখতে এসে শরীয়তপুরের গোসেরহাটের কোদালপুর নদীতে ১০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৩ জন। শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের মাঝেরচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুষ্পেন দেবনাথ। নিহত দুজনের নাম সাহানা (৪৫) ও ডলি (২৮)। সম্পর্কে তারা মা ও মেয়ে। ওসি পুষ্পেন দেবনাথ বলেন, পুরান ঢাকার ধোলাইখাল নারিন্দা থেকে কোদালপুর আত্মীয়ের বাড়িতে আসেন তারা। এরপর আজ সকালে কোদালপুর থেকে ছেলের জন্য পাত্রী দেখতে ট্রলারযোগে মাঝেরচর রওনা হোন তারা। মেঘনা নদী পাড়ি দেওয়ার সময় ট্রলারটি অতিরিক্ত ঢেউয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে তলিয়ে যায়। এ ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও তিনজন আহত অবস্থায় গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এখনও তিন যুবকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল।
শরীয়তপুরে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় প্রশিক্ষণ নিতে আসা এক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় আব্দুল মান্নান খাঁ (৪২) নামে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের চর সোনামুখী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পালং থানা পুলিশ।  গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল মান্নান খাঁ রুদ্রকর ইউনিয়নের মৃত হানিফ খাঁর ছেলে। তিনি রুদ্রকর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারীর বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। তার স্বামী একজন ওমান প্রবাসী। স্বামীর কাছে বিদেশ যাওয়ার জন্য ওই নারী কিছুদিন পূর্বে শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের আমিন বাজার এলাকায় সরকারি ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হন। সেখানে বসে পরিচয় হয় ইদ্রিস নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। এরপর গত ২৫ জুন রাতে ৯টার দিকে তিনি মাদারীপুর থেকে শরীয়তপুর ট্রেনিং সেন্টারের উদ্দেশ্যে আসছিলেন। পথিমধ্যে ওই নারীকে বহনকারী অটোরিকশাটি থামিয়ে তার মুখ বেঁধে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান রুদ্রকর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খাঁ, ইদ্রিস আলী, কালাচান খাঁসহ অজ্ঞাতনামা আর ৩ থেকে ৪ জন ব্যক্তি। এ সময় ওই নারী তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা চালালে তারা তার অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ওই নারীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে পালিয়ে যান তারা। পরে ওই নারী স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেন। এ ঘটনায় গত ৩০ জুন যুবলীগ নেতা আব্দুল মান্নান খাঁ, ইদ্রিস আলী, কালাচান খাঁসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩ থেকে ৪ জন ব্যক্তিকে আসামি করে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হওয়ার সুবাদে ইদ্রিস নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। আমি যখন ট্রেনিং সেন্টারে যাচ্ছিলাম ইদ্রিস আলীসহ বেশ কয়েকজন আমার মুখ চেপে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় এবং স্পর্শকাতর ভিডিও ধারণ করে রাখে। আমাকে তারা মারধরও করেছে। আমি লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারিনি। পরে তারা আমার স্পর্শকাতর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে মোবাইল ফোনে টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে ঘটনার ৫ দিন পর আদালতে মামলা করি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’ এ বিষয়ে শরীয়তপুর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুহুন মাদবর বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। এ ব্যাপারে তদন্ত করা হবে। ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খাঁ যদি সংশ্লিষ্ট কাজের সঙ্গে জড়িত থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ওই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি। তাকে বুধবার আদালতে পাঠানো হবে।’ 
কাঁচা রাস্তায় দুর্ভোগ চরমে, ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ 
কাঁচা রাস্তাটি দিয়ে প্রায় ১৫ গ্রামের বাসিন্দা ও স্কুল শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে গিয়ে পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। রাস্তাটির দেড় কিলোমিটার অংশজুড়ে এমন করুণ অবস্থা হলেও পাকাকরণের কোনো উদ্যোগ নেই জনপ্রতিনিধিদের। এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রতিবাদস্বরূপ এক ভিন্নধর্মী পন্থা অবলম্বন করেছেন গ্রামবাসীরা। চলাচলের ওই রাস্তাটিতে ধানের চারা রোপণ করেছেন তারা। শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের মোহর আলী হাজী কান্দি গ্রামের বাসিন্দারা এমন প্রতিবাদ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কদম আলী মোড়ল কান্দি থেকে মোহর আলী হাজী কান্দি গ্রাম পর্যন্ত কাঁচা রাস্তা দিয়ে আশপাশের ১০ থেকে ১৫টি গ্রামের বাসিন্দারা চলাচল করে। প্রত্যেক বছর বর্ষা মৌসুম এলেই বৃষ্টিতে কাদা জমে এসব গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গ্রামবাসী বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও রাস্তাটি পাকাকরণের উদ্যোগ নেয়নি জনপ্রতিনিধিরা। এতে প্রায় ১৫টি গ্রামের ৩০ হাজার বাসিন্দা ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। এমন ভোগান্তির প্রতিবাদস্বরূপ রাস্তাটিতে ধানের চারা রোপণ করেছেন গ্রামবাসী ও পথচারীরা। শাহজাহান মাদবর নামে একজন বলেন, রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে বারবার জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা বিষয়টির গুরুত্ব দিচ্ছেন না। সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি গ্রামের শিক্ষার্থী ও রোগীরা পড়েন চরম বিপাকে। অন্যদিকে এমন রাস্তা দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মাহিন্দ্রা-ট্রাকযোগে ভারী মালামাল নেওয়া-আনা করা হয়েছে। এখন আর রাস্তাটি ব্যবহারের উপযোগী নয়, তাই আমরা গ্রামবাসী মিলে রাস্তায় ধানের চারা রোপণ করেছি। মোহর আলী হাজী কান্দি গ্রামের বাসিন্দা ফুল মালা বলেন, এক মাসের বাচ্চা নিয়ে টিকা দেওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। বাচ্চাকে নিয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় আসার পরেই কাদায় পড়ে গিয়ে দুইজনই ব্যথা পেয়েছি। রাস্তা পাকাকরণের আগে এই রাস্তা দিয়ে যেন ট্রাক না চলে, সেই দাবি জানাই। অন্যথায় আমরা গাড়ির সামনে দাঁড়াব। পূর্ব নাওডোবা পাবলিক উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া, শিউলি ও বিপাশার সঙ্গে কথা হয় তারা বলে, জুতা খুলে হাতে নিয়ে এ রাস্তায় চলাচল করতে হয়। এতে কাদা লেগে জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। বই-খাতা কাদায় পড়ে গেলে আর স্কুলে যেতে পারি না। রাস্তাটি পাকা হলে আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হতো। পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ খান বলেন, রাস্তাটি এমন বেহাল হয়েছে সে বিষয়ে আমাকে কেউ কিছু বলেনি। তবে রাস্তাটির সামনেই একটি কালভার্টের কাজ চলছে। সেখানে ট্রাক্টর দিয়ে মালামাল নেওয়ায় হয়ত রাস্তাটির অবস্থা একটু বেশি বেহাল হয়েছে। কিন্তু রাস্তায় ধান লাগানোর বিষয়ে আমি জানি না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয় কেউ বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আমাকে জানায়নি। বিষয়টির খোঁজ নিয়ে দেখব।
পুকুরে পড়ে আছে বিদ্যুতের খুঁটি, এক মাসেও নজরে আসেনি কর্তৃপক্ষের
শরীয়তপুরের সদর উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এক মাসের অধিক সময় ধরে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি পুকুরের মধ্যে হেলে পড়ে আছে। হেলেপড়া বৈদ্যুতিক তারগুলো নিচু হয়ে পড়ে থাকায়, বাধ্য হয়ে নিচ দিয়েই চলাচল করছেন স্থানীয়রা। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা। বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ৮টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রুদ্রকর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি পুকুরে হেলে পড়ে আছে। জানা যায়, অন্তত ৮ বছর আগে ৪টি নতুন খুঁটির মাধ্যমে সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আমতলী এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। যার মধ্যে ০.২ কেভি ও ২২০ ভোল্টের সঞ্চালন লাইন চালু রয়েছে। লাইনটিতে ৭টি মিটারের মাধ্যমে সুবিধা নিচ্ছে বেশ কয়েকটি পরিবার। খুঁটি এবং লাইনগুলো দেখভাল করছেন এম আর ট্রেড মার্ক নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত ২৭ মে (সোমবার) ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে সেই সঞ্চালন লাইনের একটি খুঁটির গোড়ার মাটি সরে গিয়ে মালেক ঢালীর পুকুরের মধ্যে পড়ে যায়। এ ছাড়াও তারগুলো একটি চলাচলের রাস্তার ওপর পড়ে থাকায় অন্তত ২০টি পরিবারের লোকজন ঝুঁকি নিয়ে তারের নিচ দিয়ে চলাচল করছেন।  ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটিটি ঠিক করতে ২৮ মে (মঙ্গলবার) ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে আবেদন করেন স্থানীয় বাসিন্দা মালেক ঢালী। এরপর দীর্ঘ ১ মাস ৪ দিন পার হলেও ক্ষতিগ্রস্ত খুঁটিটি মেরামত করা হয়নি। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, খুঁটির দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারকে খুঁটিটি মেরামত করতে একাধিকবার বলা হয়েছে। এ বিষয়ে গৃহবধূ নিপা বলেন, আমাদের এই তারগুলো অনেকদিন আগে তুফানে পড়ে গেছে। আমরা এই রাস্তা দিয়েই বাড়িতে চলাচল করি। আমরা যখন বাড়ির কাজে ব্যস্ত থাকি, আমাদের শিশুরা বাচ্চারা না বুঝে এই তার এসে ধরে। প্লাস্টিকের কাভার বলে রিস্ক কম, কিন্তু দুর্ঘটনা হতে তো আর সময় লাগে না। আমরা চাই দ্রুত এই তার সরানো হোক। কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী আফছানা বলেন, ‘আমাদের ২০টি পরিবারের যাওয়ার রাস্তা এই একটাই। দীর্ঘদিন ধরে খুঁটিটি পড়ে থাকলেও বিদ্যুৎ বিভাগ কোন মাথা ঘামাচ্ছে না। তাদের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তাও আমলে নিচ্ছে না। বড় ধরনের দুর্ঘটনা হলে এর দায় কে নেবে? আমরা চাই দ্রুত খুঁটির আগের জায়গায় স্থাপন করা হোক।’ ভুক্তভোগী খালেক ঢালী বলেন, ‘১ মাসের ওপরে হয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি উল্টে পড়েছে। আমরা বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে যাতায়াত করতে পারছি না। রিস্ক হয়ে গেছে। বিষয়টি বিদ্যুৎ বিভাগকে সঙ্গে সঙ্গে জানালেও তারা এখনও কাজ শুরু করেনি। আমাদের একটাই দাবি দুর্ঘটনা ঘটার আগে জরুরি ভিত্তিতে খুঁটিসহ লাইনটি সংস্কার করা হোক।’ বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম আর ট্রেড মার্কের ঠিকাদার মজিবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবগত আছি। তবে আমাদের লোকজন ঈদের ছুটিতে থাকায় মেরামত করা সম্ভব হয়নি। আজকে আমাদের লোকজন এসেছে। আশাকরি আজই খুঁটিটি ঠিক করা হবে।’ বিষয়টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি উল্লেখ করে শরীয়তপুর ওজোপাডিকোর উপসহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ নবীদ আলী বলেন, ‘এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। খুঁটিটি ঠিকাদারকে ঠিক করতে বলা হয়েছিল। তবে ঈদের ছুটিতে পড়ে যাওয়ায় লোকজন সংকটের কারণে ঠিক করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। আমরা এ নিয়ে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। বুধবারের মধ্যে ঠিক করার কথা জানিয়েছেন ঠিকাদার।’
পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু 
শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে খোকন মাদবর (৩৬) নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে।  রোববার (৩০ জুন) সকালে উপজেলার কুণ্ডেরচর ইউনিয়নের সিডারচর এলাকায় পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত খোকন মাদবর উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের কাদির মাদবর কান্দি এলাকার নুরু মাদবরের ছেলে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানার ওসি (তদন্ত) সুজন হক। স্থানীয় ইউপি সদস্য আমির হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতে পদ্মা নদীর বিভিন্ন অংশে চায়না দুয়ারি জাল পেতে রেখে বাড়িতে চলে আসেন খোকন। রোববার ভোরে তিনি সেই জাল তুলতে নদীতে নামেন। নদীতে জাল তুলতে গিয়ে খোকন মাদবর বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ হাসপাতাল থেকে দাফনের জন্য বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে ওসি (তদন্ত) সুজন হক বলেন, বজ্রপাতে খোকন মাদবর নামের এক জেলের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।