• ঢাকা সোমবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১
logo
শীতার্তদের মাঝে কম্বল পৌঁছে দিলেন এসিল্যান্ড
শরীয়তপুরে অটোরিকশা চাপায় ৬ বছরের শিশুর মৃত্যু
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে অটোরিকশার চাপায় শোয়াইবা (৬) নামে এক শিশু মারা গেছেন।  সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সখিপুর থানার আরশিনগর ইউনিয়নের চর মহিষখালি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  নিহত শোয়াইবা ওই এলাকার আলহাজ সরদারের মেয়ে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে প্রতিদিনের মতো বাড়ির সামনের সড়কের পাশে খেলছিল শোয়াইবা। এ সময় দ্রুত গতিতে আসা একটি অটোরিকশা তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক বলেন, সকালে চরমহিষ কান্দি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করেন, তবে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আরটিভি/এমকে
ঋণের দায়ে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ৫ জনের কারাদণ্ড
শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশায় শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
শরীয়তপুরে ঋণের দায়ে গরু ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে মো. জাহিদ মোল্যা (৩৫) নামে এক গরু ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে নড়িয়া থানা পুলিশ।  এর আগে, সকালে উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের কাঠকুলি গ্রামে থেকে ওই যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত জাহিদ মোল্যা ঝিনাইদহ জেলার দুর্গাপুর উপজেলার মৃত মোস্তফা মোল্যার ছেলে। জানা গেছে, জাহিদ মোল্যা শ্বশুরবাড়িতে থেকে কসাইয়ের কাজের পাশাপাশি গরুর ব্যবসাও করতেন। ব্যবসার জন্য বিভিন্ন সংস্থা থেকে টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণের টাকার জন্য মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন বলেন, আত্মহত্যার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। জাহিদ মোল্যা প্রেম করে বিয়ে করে ৮ বছর যাবৎ এখানে থেকে গরুর ব্যবসা করে আসছিলেন। পরিবারের দাবি, ঋণগ্রস্ত হয়ে মানসিক হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আরটিভি/এমকে-টি 
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য জামাল শরীফ হিরু আর নেই
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জামাল শরীফ হিরু মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। দলীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ শফিকুর রহমান কিরণ ও সাধারণ সম্পাদক সরদার এ কে এম নাছির উদ্দীন কালুসহ নড়িয়া উপজেলা বিএনপি, অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। এ দিকে তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে মঙ্গলবার নড়িয়া উপজেলা বিএনপির পূর্বঘোষিত বিজয় দিবসের কর্মসূচি স্থগিত করেছে নড়িয়া উপজেলা বিএনপি। আরটিভি/এমকে-টি
ঘন কুয়াশায় শরীয়তপুর-চাঁদপুর রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশার কারণে শরীয়তপুর-চাঁদপুর রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে নদীতে কোনো ফেরি আটকে নেই বলে জানান নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল হোসেন। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ৩টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, রোববার মধ্যরাত থেকে নদী ও আশপাশের এলাকাজুড়ে প্রচণ্ড কুয়াশার দেখা দিয়েছে। নদীপথে দুর্ঘটনা এড়াতে রাত ৩টা থেকে শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ঝুঁকিও রয়েছে চলাচলে। তাই ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ঘাটে তেমন গাড়ি নেই। এই রুটে ছোটবড় মিলে ৬টি ফেরি চলাচল করে নিয়মিত। রাত ১১টা ২০ মিনিট থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। কুয়াশার ঘনত্ব কমলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে। আরটিভি/এএএ/এআর
কীর্তিনাশা নদী থেকে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কীর্তিনাশা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মিরাজ মোল্লা (১৬) নামে এক বালু শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার মোক্তারের চর এলাকায় কীর্তিনাশা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  উদ্ধার হওয়া মিরাজ মোল্লা বরিশাল জেলার বানারিপাড়ার মিলন মোল্লার ছেলে। নৌপুলিশ সূত্রে জানা যায়, মিরাজ মোল্লা নামে ওই কিশোর নদীতে বালুবাহী বলগেটে শ্রমিকের কাজ করতেন। গত ৩ দিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন সহযোগীরা। সোমবার সন্ধ্যায় মোক্তারের চর এলাকায় কীর্তিনাশা নদীতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখেন পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে এবং পরবর্তীতে শনাক্ত করে মর্গে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে সুরেশ্বর নৌ ফাড়ির পরিদর্শক আব্দুল জলিল বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা মরদেহটি উদ্ধার করি। মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের ফলাফল আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’ আরটিভি/এমকে
শরীয়তপুরে ডোবায় ডুবে শিশুর মৃত্যু
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় ডোবায় ডুবে জায়ান নামের ২ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।   সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার ভোমখাড়া ইউনিয়নের নিতিরা গ্রাম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জায়ান নিতিরা গ্রামের জাকির ফকিরের ছেলে। জানা গেছে, সোমবার দুপুরে শিশু জায়ান খেলতে গিয়ে সবার আড়ালে বাড়ির পাশে ডোবাতে পড়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে খুঁজে না পেলে স্বজনরা খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ডোবার পানি থেকে তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে মুলফৎগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জায়ানকে মৃত ঘোষণা করেন। নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, ‘শিশুটির মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি। বাড়ির পাশের ডোবারপাড়ে খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি কষ্টদায়ক।’ আরটিভি/এমকে/এস
মৃত্যুর আগে বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার দেখে যেতে চান বাবা-মা
আজকের এ দিনে শত শত মানুষ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আর সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো বিশ্বজিৎ দাসকে। যার নেপথ্যে ছিলো সম্প্রতি নিষিদ্ধ হওয়া সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তবে ঘটনার এক যুগ পার হলেও বিচার হয়নি এখনো। তাই বাবা-মার আকুতি, অন্তত মৃত্যুর আগে ছেলের হত্যাকারীদের বিচার দেখে যেতে চান নিজেদের চোখে। ঘরে থাকা ছেলের ছবির দিকে অপলকভাবে তাকিয়ে আছেন মা কল্পনা দাস। কিছুক্ষণ পর ছেলের একটি ছবি নামিয়ে পরম যত্নে আঁচল দিয়ে পরিষ্কার করছেন। ছেলের কথা মনে পড়তেই ফুপিয়ে কেঁদে উঠছেন। তার কান্নার শব্দ পেয়ে কেঁদে উঠছেন বাবা অনন্ত দাসও। ছবির মতোই মানুষটাও এখন শুধুই স্মৃতি মাত্র। ছেলে আর বাড়ি ফিরবে না। ছেলের জন্য দীর্ঘ এক যুগ ধরে নীরবে চোখের জল ফেলে চলছেন মা কল্পনা দাস।  শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের মশুরা এলাকার অনন্ত দাস ও কল্পনা দাসের ছোট ছেলে বিশ্বজিৎ দাস। ছোটবেলা থেকেই ভীষণ শান্ত স্বভাবের ছিলো। আর্থিক অবস্থা ততোটা ভালো না হওয়ায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ছোটবেলা থেকে ঢাকার শাঁখারী বাজার এলাকায় ভাইয়ের দোকানে দর্জির কাজ শিখেছিলেন। এরপর ভাইয়ের পাশাপাশি নিজেও ধরেছিলেন সংসারের হাল। অধিকাংশ সময় ঢাকায় থাকলেও মা-বাবাকে দেখতে প্রায়ই বাড়ি আসতেন। তবে ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে শিবির সন্দেহে ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বিশ্বজিৎ দাসকে। এই ঘটনায় নাম উঠে আসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মাহফুজুর রহমান নাহিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মীর নূরে আলম লিমন, শাকিলসহ বেশ কয়েকজনের নাম। যারা সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করার পরে ঢাকার দ্রুত বিচার টাইব্যুনালে রায়ে ২১ আসামির মধ্যে আট জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আট আসামির মধ্যে ৬ জনই সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়। আর দুই জনের ফাঁসির আদেশ হলে তাও কার্যকর হয়নি দীর্ঘ ১২ বছরে। বিশ্বজিৎ দাসের মা কল্পনা দাস বলেন, আমার বিশ্ব (বিশ্বজিৎ) তো কখনো রাজনীতি করেনি। আমার ছেলে কাজ করে সংসার চালাতো। ছেলেকে জগন্নাথের ছাত্রলীগের পোলাপাইন মেরে ফেললো। আজ ১২ বছর হয়ে গেলো অপরাধীদের বিচার হলো না। তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর আমরা বিচার চাইতে চাইতে ক্লান্ত। আমি আমার বিশ্ব হত্যার বিচার চাই। বিশ্বজিৎ দাসের বাবা অনন্ত দাস বলেন, ছেলে আমাদের ভরণপোষণ দিত। ছেলেকে প্রকাশ্যে দিন দুপুরে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। আজ ১২ বছর ধরে এখনো বিচার পেলাম না। এই সরকারের আমলে আমার ছেলের হত্যার বিচার দেখে যেতে পারি। তাহলে মরে গেলো অন্তত আত্মা শান্তি পাবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শরীয়তপুরের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান বলেন, ২০১২ সালের ৯ডিসেম্বরের আজকের দিনে বিশ্বজিৎ দাস হত্যা হয়েছে। প্রকাশ্যে তাকে কারা হত্যা করে তা আমরা জানি। তারা সৈরাচার সরকারের দোসর ছিলেন। তাই তারা অতি দ্রুত আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বের হয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘ এক যুগ ধরে ন্যায় বিচারের আশায় আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বিশ্বজিতের পরিবার। আমরা চাই অতি দ্রুত সব অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর করা হোক।