৫৫ বছর বয়সে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া আলোচিত সেই বেলায়েত শেখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে ‘ঘ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ হয়েছে। ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ ফলাফল ঘোষণা করেন। ফলাফলে তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেননি।
-
আরও পড়ুন... বুয়েটে ভর্তি হওয়ার সম্ভবনাই বেশি : আবরার ফাইয়াজ
বহুনির্বাচনি পরীক্ষায় তিনি বাংলায় ২, ইংরেজিতে ২.৭৫, সাধারণ জ্ঞানে ৩.২৫ সহ মোট ৮ নম্বর পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুনির্বাচনি অংশে পাস নম্বরের কোটাও পূরণ করতে পারেননি তিনি। ফলে তার খাতা লিখিত অংশের দ্বিতীয় ধাপে যায়নি। পরীক্ষায় তার মোট নম্বর ২৬.২। এর মধ্যে ১৮.২ এইচএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের নম্বর। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বহুনির্বাচনি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর।
এর আগে গত ১১ জুন ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে বেলায়েত সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৮৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলাম। বাবার অসুস্থতা এবং অভাবের তাড়নায় পরীক্ষা দিতে পারিনি। ফরম পূরণের টাকা দিয়ে বাবার চিকিৎসা করাতে হয়েছিল। এরপর ১৯৮৮ সালে পরীক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু বন্যা আর অভাবের কারণে সেবার ভেস্তে যায়। ১৯৯০ সালেও পরীক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু পারিনি। সেসময় মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারিনি।
-
আরও পড়ুন... ঈদেও হিরো আলমের সঙ্গী সেই রিয়া
তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালে আমি আবার নবম শ্রেণিতে ভর্তি হই। ২০১৯ সালে ঢাকার দারুল ইসলাম আলিম মাদরাসা থেকে জিপিএ ৪.৪৩ ও ২০২১ সালে মহানগর কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে জিপিএ ৪.৫৮ পেয়ে এইচএসসি পাস করি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার যোগ্য বিবেচিত হওয়ায় আবেদন করি।
বেলায়েত শেখ গাজীপুরের মাওনার বাসিন্দা। ৫৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তি অদম্য ইচ্ছাশক্তির ওপর ভর করে নিজের স্বপ্নপূরণে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
-
আরও পড়ুন... এবার ঈদে যে চমক দেখাবেন ড. মাহফুজুর রহমান
বেলায়েত শেখ দৈনিক করতোয়া পত্রিকার গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়তে চান বলে জানান তিনি।