পদত্যাগ করেননি বলে জানিয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সহ-উপাচার্য শেখ শরীফুল আলম। বরং অব্যাহতি দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকা এবং অধিকতর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন বলে জানান তিনি।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে কুয়েটের উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে খবর প্রকাশের পর শেখ শরীফুল আলম একটি গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা দুপুরে বলেন, কুয়েটের উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান আছে। অবশ্য সকালে তিনি তাদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার প্রক্রিয়া চলমান আছে বলে জানান।
শেখ শরীফুল আলম বৃহস্পতিবার বলেন, গণমাধ্যমের খবরে দেখছি যে কুয়েটের ভিসি ও প্রোভিসিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং অধ্যাপক হারুন অর রশিদকে ভারপ্রাপ্ত ভিসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে এ–সংক্রান্ত কোনো মেইল এখনও আমি পাইনি। আর আমি পদত্যাগ করিনি বা পদত্যাগের জন্য কোনো চিঠি পাঠাইনি।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার মুঠোফোন নম্বর আমার কাছে ছিল না। তাই আমি শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে লেখা একটা চিঠি পাঠিয়েছি ইউজিসির একজন সদস্যের কাছে। সেখানে আমাকে অব্যাহতি দেওয়ার মতো পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছি বা অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।
ওই চিঠিতে শেখ শরীফুল আলম লেখেন, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর তিনি সহউপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তবে যোগদানের পর থেকে উপাচার্য তাকে কোনো প্রশাসনিক ও আর্থিক কাজে সহযোগিতা করেননি। উপরন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট কর্তৃক সহউপাচার্যের সীমিত আকারে প্রশাসনিক ও আর্থিক কাজ করার যে নীতিমালা ছিল, তা গত ১১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৭তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে বাতিল করে দেওয়া হয়। ফলে গত চার মাসে প্রশাসনিক কাজ এবং আর্থিক বিলে স্বাক্ষর করতে না দিয়ে তাকে বঞ্চিত করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য পদটি একটি অলংকারিক পদে পরিণত করা হয়।
তিনি চিঠিতে আরও লেখেন, আমি নিজে এখনো আমার অপরাধ সম্পর্কে জানি না এবং আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হয়নি, যা খুবই দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেওয়া এবং কোনো অপরাধ বা অপকর্ম না করে অব্যাহতি দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুল বার্তা যাবে বলে মনে করি।
আরটিভি/এমএ/এস