সবস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানাতে মুক্তিযোদ্ধা, আবৃত্তিশিল্পী ও স্থপতি কাজী আরিফের মরদেহ কাজী আরিফের মরদেহ শহিদ মিনারে আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টার পর তার মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি শহিদ মিনারে এসে পৌঁছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে শাহজালাল বিমান বন্দরে তার মরদেহ পৌঁছে।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ জানান, সবস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মরদেহ সকাল থেকে দুপুর ১টা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে রাখা হবে। সেখানে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো শেষে সর্বসাধারণ মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাযা হবে। পরে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ধানমণ্ডিতে মেয়ে অনুসূয়ার বাসায়৷ এরপর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে মায়ের কবরে তাকে সমাহিত করা হবে৷
রোববার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে বাদ মাগরিব তার প্রথম জানাজা হয়। কাজী আরিফের মরদেহ নিয়ে তাঁর ছোট মেয়ে নিউইয়র্কে জেএফকে বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা দেন।
নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের একটি হাসপাতালে শনিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে কাজী আরিফের লাইফ সাপোর্ট খুলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
১৯৫২ সালের ৩১ অক্টোবর ফরিদপুর রাজবাড়ীতে জন্ম নেন কাজী আরিফ। বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রাম শহরে। সেখানেই তার পড়াশোনা, রাজনীতি, শিল্প-সাহিত্যে হাতেখড়ি হয়। ১৯৭১ সালে ১ নম্বর সেক্টরে মেজর রফিকের কমান্ডে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন কাজী আরিফ। যুদ্ধ শেষে বুয়েটে পড়াশোনা শুরু করেন। এর পাশাপাশি শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চাও চালিয়ে যান তিনি।
জেএইচ/এসএস