বর্তমান সময়ের নিয়মিত মুখ খায়রুল বাশার। অভিনয়ের নৈপুণ্যতায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জায়গা করে নিয়েছেন দর্শকহৃদয়ে। সাবলীল ভাবেই পর্দায় চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তোলেন বাশার। টিভি নাটকের পাশাপাশি কাজ করেছেন চলচ্চিত্র এবং ওটিটিতেও।
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিজের সময়সাময়িক ব্যস্ততা এবং ঈদ প্ল্যান নিয়ে কথা বলেছেন আরটিভি নিউজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন হুমাইরা সিদ্দিকা-
আরটিভি : কেমন আছেন?
খায়রুল বাশার : আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।
আরটিভি : এবার ঈদ কোথায় করবেন?
খায়রুল বাশার : ঈদ করবো বাড়িতে, ময়মনসিংহে।
আরটিভি : ঈদের দিনটি কিভাবে কাটান?
খায়রুল বাশার : ঈদের সকালে উঠে নামাজ পড়তে যাই। তারপর পরিবারের সঙ্গে আড্ডা দেই, খাওয়া-দাওয়া করি। আমার ভাই-বোনেরা আসে, তাদের সঙ্গে সময় কাটানো হয়। আসলে ঈদের দিনটা পরিবারের সঙ্গে কাটাতেই পছন্দ করি। পরে বিকেলের দিকে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেই। আশেপাশে ঘুরে বেড়িয়ে বাসায় ফিরে আসি এইতো।
আরটিভি : ঈদ উপলক্ষে কী কী কাজ করেছেন?
খায়রুল বাশার : ঈদে আরটিভির কাজ করেছি। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি নাটকে কাজ করেছি। ঈদে সেগুলো অনএয়ারে যাবে।
আরটিভি : আপনি ঈদে সালামি পান?
খায়রুল বাশার : ছোটবেলায় পাওয়া হতো। এখন আসলে সালামি পাওয়ার থেকে দেওয়াটাই বেশি হয়।
আরটিভি : ঈদে কোন খাবারটা খেতে পছন্দ করেন?
খায়রুল বাশার : মায়ের হাতের পায়েস খেতে ভীষণ পছন্দ করি। আগে সমুচা পিঠা খেতা খুব ভালো লাগতো। আমার বোন কিশোরগঞ্জ থেকে বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানিয়ে পাঠাতেন সেগুলো খাওয়া হতো।
আরটিভি : শপিং করেছেন ?
খায়রুল বাশার : এখনও করিনি। এবার শপিং করা হবে কিনা সেটাও জানি না। আসলে সারা বছরই শুটিংয়ের কস্টিউমের জন্য শপিং করা হয়। তাই ঈদ উপলক্ষে ওইভাবে এখন কেনা হয় না।
আরটিভি : ঈদে কোথায় ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করেছেন ?
খায়রুল বাশার : আমার ঈদ আসলে ময়মনসিংহে কাটবে। দেখা যায় যে, ঈদে পরিবার আর বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া, সবার সঙ্গে দেখা করা, এভাবেই ঈদের দিনটা কেটে যায়। ওইভাবে আসলে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় না।
আরটিভি : ছোট বেলার ঈদের কোন বিষয়টি এখন মিস করেন?
খায়রুল বাশার : আমি ঈদে ভীষণ মিস করি আমার জন্মস্থান কিশোরগঞ্জ। আমি একান্নবর্তী পরিবারে বড় হয়েছি। আমার চাচাদের ঘর, উঠান একই। সব কাজিনরা মিলে ঈদ উদযাপন করতাম। সবাই মিলে আড্ডা দিতাম, ঘুরে বেড়াতাম। এই ঘর থেকে সেই ঘরে ছুটাছুটি করতাম। সবাই মিলে দাওয়াত খেতে যেতাম। আমরা কাজিনরা তো আসলে পিঠাপিঠি ছিলাম, একদম বন্ধুর মতো। তো তখন ঈদের আগের দিন থেকেই একটা এক্সসাইটমেন্ট কাজ করতো। দেখা যেতো যে, কাউকে পোশাক দেখাতে চাইতাম না। এমনও হয়েছে যে, চালের ড্রামের মধ্যে পোশাক লুকিয়ে রাখতাম, কারণ দেখালেই ঈদ শেষ হয়ে যাবে। ওই সময়ের ফিলিংসটা আসলে বর্ণনা করা কঠিন। এখন আসলে সব কাজিনদের সঙ্গের সেই দিন গুলোই ভীষণ মিস করি।