‘আগের মতো এই পৃথিবীতে কিছুই ভালো লাগে না’

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি

শনিবার, ১১ মে ২০২৪ , ০৪:০৩ পিএম


‘আগের মতো এই পৃথিবীতে কিছুই ভালো লাগে না’

চার দশকের সংগীতজীবন গায়ক কুমার বিশ্বজিতের। স্টুডিও ছিল তার সবচেয়ে প্রশান্তির জায়গা। আর মঞ্চই যেন ঘরবাড়ি। গান গাইতে আজ ঢাকায় তো কাল চট্টগ্রাম কিংবা রাজশাহী। কখনও আবার ইউরোপে-আমেরিকার কোনো দেশে মঞ্চ মাতিয়েই বেশ যাচ্ছিল গায়কের জীবন। এটাই ছিল তার নিত্যদিনের রুটিন। 

বিজ্ঞাপন

কিন্তু গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি এক দুর্ঘটনায় পাল্টে যায় কুমার বিশ্বজিতের জীবনচিত্র। এদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন কুমার নিবিড়। তারপর থেকেই বাবা-মা দুজনেরই ঠিকানা কানাডার সেই সেন্ট মাইকেল হাসপাতাল। দীর্ঘ ১৪ মাস কুমার বিশ্বজিৎ ছিলেন সংগীতমঞ্চের বাইরে।

একমাত্র সন্তানের অসুস্থতার পর মঞ্চের কোনো আয়োজনে দেখা যায়নি কুমার বিশ্বজিৎকে। এর মধ্যে দুবার দেশে এলেও গান থেকে দূরেই ছিলেন তিনি। ছেলের অসুস্থতার পর গান গাওয়ার প্রস্তাব পেলেও কিন্তু মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে না পারায় মঞ্চে ফেরেননি এই গায়ক।

বিজ্ঞাপন

গত ১৮ এপ্রিল কয়েক সপ্তাহের জন্য ঢাকায় আসেন কুমার বিশ্বজিৎ। এবার এসে মঞ্চের বিরতি ভেঙেছেন তিনি। ঢাকার একটি মঞ্চে গাইলেন তিনি। এতদিন পর তাকে পেয়ে উদযাপনে মেতে ওঠেন দর্শক-শ্রোতারা। এবারও আসার খবর শুনে কুমার বিশ্বজিতের ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন একাধিক আয়োজক প্রতিষ্ঠান। 

বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান ফিরিয়ে দিলেও গত ২ মে সন্ধ্যায় একটি বেসরকারি ব্যাংকের আয়োজন কোনোভাবেই না করতে পারেননি কুমার বিশ্বজিৎ। স্টেজ শো শেষে দেশের এক গণমাধ্যমে নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।  
 
গায়ক বলেন, নিজের মন নিয়ন্ত্রণ করে কোনোভাবে শো’টি করেছি। মাঝেমধ্যে মনে হয়, ভালো থাকার বৃথা চেষ্টা। নিবিড়ের দুর্ঘটনার পর আমার কাছে এখন পুরো পৃথিবী বিবর্ণ মনে হয়। এখন আর আগের মতো এই পৃথিবীতে কোনো কিছুই ভালো লাগে না। তাই দেশে আসার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটা শো বাতিল করেছি।

তিনি আরও বলেন, মনে থেকে কোনোভাবে সায় দিচ্ছিল না। আমার কাছে এখন শিল্পীর চেয়ে বাবার অস্তিত্বটা বারবার ভেসে ওঠে। মঞ্চে যখন গাইছিলাম আমি, অবচেতন মনে নিবিড়ের মুখটা ভেসে উঠছিল। স্টেজে থাকলে অনেক সময় সবকিছু ভুলে যেতে হয়। কিন্তু বাবা-সন্তানের অস্তিত্বটা এক প্রগাঢ় যে প্রতি পদে পদে অনুভব করেছি।

বিজ্ঞাপন

ছেলের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানিয়ে তিনি বলেন, শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। কিন্তু কবে যে পুরোপুরি সুস্থ হবে, তা বলা মুশকিল। এখনও হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission