‘পোস্ট মাস্টার’র প্রেমে জাস মান্নাত!
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আখম হাসানের সঙ্গে জুটি বেঁধে আসন্ন ঈদুল আজহার একটি একক নাটকে অভিনয় করেছেন ছোট পর্দার আরেক দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী এঞ্জেলিনা জাস মান্নাত। নাটকের নাম ‘পোস্ট মাস্টার’। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন মো. খলিলুর রহমান কচি।
এ প্রসঙ্গে জাস মান্নাত বলেন, একজন পোস্ট মাস্টারের গল্পে নাটকটি নির্মিত হয়েছে। একবার পোস্ট মাস্টার চিঠি বিলি করতে গিয়ে ইচ্ছে করে ভুল চিঠি দিয়ে দেয়। ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। এভাবেই গল্পটি এগিয়ে যায়। আশা করছি, আমাদের জুটির নাটকটি সবার ভালো লাগবে।
জানা গেছে, আসন্ন ঈদ আয়োজনে ‘পোস্ট মাস্টার’ নাটকটি বেসকারি টেলিভিশন আরটিভিতে প্রচার হবে। এরপর ইউটিউবে মুক্তি পাবে। নাটকটিতে আরো অভিনয় করেছেন ম. আ. সালাম, আলিফ চৌধুরী, তমা ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
প্রেম করার সময় কোথায়: ফারিন
মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজে পথ চলা শুরু অভিনেত্রী ফারিন খানের। তবে রুপালি পর্দায় নিজেকে মেলে ধরার ইচ্ছে ছিল প্রখর। জাজ মাল্টিমিডিয়ার হাত ধরে একাধিক সিনেমায় অভিনয় করে নিজের সে ইচ্ছেও পূরণ করেন এই অভিনেত্রী।
তবে কাজল আরেফিন অমি নির্মিত ‘ফিমেল’ নাটকের মাধ্যমে দর্শকের নজর কাড়েন ফারিন। বর্তমানে নাটকের কাজ নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন এই অভিনেত্রী। কাজের এতটাই চাপে রয়েছেন যে, প্রেম করার সময়ই পাচ্ছেন না তিনি।
সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে এমনটাই জানালেন ফারিন। সাক্ষাৎকারে কাজের পাশাপাশি বাস্তব জীবনের প্রেম নিয়েও খোলামেলা কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।
বর্তমানে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন কী না? এমন প্রশ্নের জবাবে ফারিন বলেন, ‘কাজ করেই কূল পাই না প্রেম করার সময় কোথায়। সত্যি বলছি, আমি প্রেম করি না। করলে খোলামেলা জানিয়ে দিতাম। এটা নিয়ে লুকোচুরির কী আছে? অনেকে দেখবেন প্রেম করলেও বলেন, ওমা! আমি তো প্রেম করি না। আবার দেখবেন দুদিন পরে বাগদান সেরে ফেলেছেন। আমি এ ধরনের মানুষ নই।
ক্লাস সেভেনে পড়ার সময়ের একটি ঘটনা উল্লেখ করে অভিনেত্রী বলেন, তখন মায়ের সঙ্গে স্কুলে যাই। স্কুলে যাওয়ার পথে চারটা মোড় পড়ত। চার মোড়েই চারজন ছেলে রোজ দাঁড়িয়ে থাকত আমার জন্য। হা করে তাকিয়ে থাকত। আমার মা তো বিষয়টা বুঝতে পারলেও ছেলেগুলোকে তখনও কিছু বলার সুযোগ দিতেন না।
একসময় মা-ই খোঁজ নিয়ে জানতে পারলেন চারজন ছেলেই একই বাড়ির। ওরা আপন চাচাতো ভাই। এরপর তো আমার পরিবারের সদস্যরা গেলেন বিচার নিয়ে। পরে বিষয়টি পারিবারিকভাবেই সমাধান হয়।
আরটিভি/এইচএসকে/এআর
মাহিয়া মাহির দেড় মিনিটের ভিডিও ভাইরাল
ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের নায়িকা মাহিয়া মাহি। বিচ্ছেদের পর সন্তানকে নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে আছেন এই নায়িকা। বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন তিনি। শুধু তাই নয়, নতুন উদ্যমে কাজে ফিরেছেন তিনি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেড় মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তিনি। যেখানে রীতিমতো আগুন ঝরাতে দেখা গেছে এই নায়িকাকে।
২০২৪ সালের শুরু থেকেই মাহির জীবনে একের পর এক পালাবদল এসেছে। নির্বাচনে হার, ব্যক্তিজীবনে বিবাহ বিচ্ছেদ— সবকিছুকে পাশ কাটিয়ে নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। তার এই ঘুরে দাঁড়ানোর পরিবর্তনটাই ভক্তরা দেখল দেড় মিনিটের এক ভিডিওতে। যেখানে সাদা শার্ট ও কালো প্যান্টে একের পর এক পোজে ভিডিও ধারণ করেছেন অভিনেত্রী।
ভিডিওটি ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। মাহির ভক্তরাও নায়িকার রূপ নিয়ে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। তাকে এমন অগ্নিকন্যা রূপেই পর্দায় আবারও ফিরে দেখতে চেয়েছেন।
মাহিকে সবশেষ শাকিবের ‘রাজকুমার’ ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। এরপর অভিনয় নিয়ে ব্যস্ততা না থাকলেও মডেলিংয়ে সময় দিচ্ছেন তিনি। কয়েক দিন পরপর ভিন্ন সাজে দেখা মেলে এই চিত্রনায়িকাকে।
আরটিভি /এএ-টি
হঠাৎ মিমকে সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের কল, অতঃপর...
১৯৯৫ সালের ২৩ আগস্ট রাতের কথা, ঢাকা থেকে রাতে ঠাকুরগাঁওগামী বাসে দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ইয়াসমিন নামে এক কিশোরী। বাসের স্টাফরা ভোররাতে তাকে দিনাজপুর-দশমাইল মোড়ে এক চায়ের দোকানদারের জিম্মায় দিয়ে সকাল হলে দিনাজপুরগামী বাসে তুলে দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পর কোতোয়ালি পুলিশের টহল পিকআপ আসে। বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে জোর করে মেয়েটিকে পিকআপে তুলে নেয়। পথে কিশোরীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে লাশ ফেলে দেয় মহাসড়কে।
এ ঘটনা কেন্দ্র করে সৃষ্ট দিনাজপুরবাসীর প্রতিবাদ আন্দোলনে ২৪ থেকে ২৭ আগস্ট দিনাজপুর ছিল উত্তাল। পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান সাত আন্দোলনকারী। আহত হন দুই শতাধিক। দিনাজপুরসহ সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।
সেই ইয়াসমিনের চরিত্রে অভিনয় করবেন মিম। ছবির নাম রাখা হয়েছে— ‘আমি ইয়াসমিন বলছি।’ গত বছর এসেছিল খবরটি। শিগগিরই শুটিং করার কথা জানিয়েছিলেন পরিচালক। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। এবার জানা গেল ছবিটির কাজ আটকে দিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ ওরফে ডিবি হারুন। সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন পরিচালক সুমন ধর নিজেই।
সুমন জানান একদিন অচেনা এক ফোন নাম্বার থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ডিবি হারুন। তবে তা জায়েদ খানের মাধ্যমে। জায়েদই সুমনকে নিয়ে গিয়েছিলেন হারুনের অফিসে।
সুমনের কথায়, ‘কণ্ঠ শুনে বুঝলাম, জায়েদ (খান) ভাই। আগের দিনও তিনি ফোন করেছিলেন। ফোন করে জায়েদ ভাই আমাকে বললেন, ‘আপনাকে আমার সঙ্গে একটু হারুন (ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন প্রধান হারুন অর রশীদ) ভাইয়ের ওখানে যেতে হবে। কেন যেন আপনাকে ডাকছেন। আমি যেহেতু চলচ্চিত্রের মানুষ, তাই আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।’ পরদিন আমি গেলাম, কয়েক মিনিটের ব্যবধানে জায়েদ ভাইও ঢুকলেন। দেখলাম, হারুন সাহেব তাঁর রুমে বসা। তাঁর টিমও আছে। সালাম দেওয়ার পর আমাকে প্রশ্ন করলেন, ‘কী অবস্থা? শুনলাম, আপনি একটা সিনেমা করছেন, আমি ইয়াসমিন বলছি?’ বললাম, হ্যাঁ করছি। তিনি বললেন, ‘এটা নিয়ে অনেক কথাবার্তা আছে। এই ছবি আসলে করা যাবে না। আমাদের এখানে বড় বড় আরও শক্তিশালী গল্প আছে। ওগুলো আপনাকে দিই, সেখান থেকে করেন।’
সুমন বলেন, ‘বললাম, এই ছবির পেছনে আমি অনেক পরিশ্রম করেছি। সেই ২০১৭ সাল থেকে লেগে আছি। যেহেতু সত্যি গল্প, সিনেমার মধ্যে যেন সবটুকু সঠিকভাবে উঠে আসে, তার জন্য অনেক গবেষণা করতে হয়েছে। নিজেরও টাকা বিনিয়োগ আছে, প্রযোজকেরও আছে। সবচেয়ে বড় কথা, ছবিটা বানাব বলেই ওই সময় নাটক বানানো কমিয়ে দিই। টুকটাক যে বিজ্ঞাপনচিত্র বানাতাম, তা–ও বন্ধ করে দিই। ছবিটা না হলে অর্থনৈতিকভাবে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হব। নাছোড়বান্দা হারুন ভাই এটুকু বললেন, এই ছবি করা যাবে না। তিনি যে আমার সঙ্গে খুব রাগী গলায় কথা বলেছেন, তা নয়। এরপর তার সহকারীকে ডেকে বললেন, “আমাদের কাছে ভালো ভালো গল্প আছে, সেগুলো সুমনের সঙ্গে শেয়ার করেন। সুমন যেটা পছন্দ করবেন, সেটা করবেন। আর সুমনের যদি স্পনসর প্রয়োজন হয়, আমরা জোগাড় করে দেব।”
শুধু সুমনকে না, মিমকেও ছবিটি থেকে বিরত থাকতে বলেছিলেন হারুন। মিমের কথায়, ‘হোয়াটসঅ্যাপে কল দেখে একটু ঘাবড়ে যাই। তিনি (হারুন অর রশীদ) কেন আমাকে ফোন করবেন? ভাবতেও পারিনি যে আমার কাছে এমন একটি ফোনকল সেদিন আসবে আর বলা হবে যে ছবিটিতে অভিনয় করতে পারব না। যখন তিনি বললেন, “তোমার পরিচালক আমার সামনে বসা, ” তখন বুঝতে বাকি থাকেনি যে ছবিটা বোধ হয় আর হবে না। পরিচালক বের হওয়ার পর ফোন করে তা নিশ্চিত হই। সব মিলিয়ে মনটা খুব খারাপ হয়। শিল্পীর জীবনে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ সব সময় আসে না। আসার পর যখন আবার তা থেকে বঞ্চিত হতে হয়, তখন মন খারাপ হয়।’
এদিকে নতুন খবর হচ্ছে হারুনের কারণে আটকে থাকা আমি ইয়াসমিন বলছি নামের ছবিটির কাজ ফের শুরু হচ্ছে। পরিবেশ অনুকূলে এলেই জ্বালাবেন লাইট, ক্যামেরা।
আরটিভি / এএ
বিচ্ছেদের পথে সৃজিত-মিথিলা!
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির দাম্পত্য জীবন নিয়ে ফের বিচ্ছেদের ইঙ্গিত শোনা যাচ্ছে। সৃজিত ও মিথিলা ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু এক ছাদের নিচে তাদের থাকা হয় খুব কম। কাজ নিয়ে দুজনেই ব্যস্ত। চলতি মাসের ২৩ সেপ্টেম্বর ছিল সৃজিতের জন্মদিন।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের সূত্রমতে, ওই দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় নানাজনের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন সৃজিত। তবে সৃজিতের উদ্দেশে মিথিলার কোনো শুভেচ্ছাবার্তা দেখতে পাওয়া যায়নি। আর তাতেই ছড়িয়েছে বিচ্ছেদের গুঞ্জন। এ নিয়ে তাদের ভক্তদের মনে নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
বিয়ের পর মিথিলা তার মেয়ে আইরাকে নিয়ে কলকাতায় থাকতেন। বছরখানেক পর মেয়েকে নিয়ে দেশে ফেরেন মিথিলা। বাংলাদেশে স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন। কাজের সুবাদে মিথিলা কখনো আফ্রিকার তানজানিয়ায় আবার কখনো ইউরোপে থাকেন। সময় পেলেই অল্প দিনের জন্য কলকাতায় ফেরেন। তাদের মধ্যে এ দূরত্বের কারণেই গুঞ্জন বেশি।
মাঝেমধ্যেই শোনা যায় বিচ্ছেদের পথে তারা। তবে উভয় পক্ষই গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। দুজনেই লং ডিসট্যান্স বিয়েটা বাঁচাতে চান। বিচ্ছেদের গুঞ্জন নিয়ে সৃজিত বা মিথিলা কেউই মন্তব্য করেননি।
মিথিলা-সৃজিতের পরিচয় হয় সংগীতশিল্পী অর্ণবের একটি মিউজিক ভিডিওতে কাজের মাধ্যমে। এরপর আসে বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। সৃজিতের সঙ্গে বিয়ের আগে ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাহসানকে বিয়ে করেন মিথিলা। জুলাই ২০১৭ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়।
আরটিভি /এএ/এসএ
ফের মাহির দেড় মিনিটের নতুন ভিডিও ভাইরাল
ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের নায়িকা মাহিয়া মাহি। বিচ্ছেদের পর সন্তানকে নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে আছেন এই নায়িকা। বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন তিনি। শুধু তাই নয়, নতুন উদ্যমে কাজে ফিরেছেন তিনি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেড় মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তিনি। যেখানে আগুন ঝরাতে দেখা গেছে এই নায়িকাকে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের নতুন দেড় মিনিটের নতুন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
২০২৪ সালের শুরু থেকেই মাহির জীবনে একের পর এক পালাবদল এসেছে। নির্বাচনে হার, ব্যক্তিজীবনে বিবাহ বিচ্ছেদ— সবকিছুকে পাশ কাটিয়ে নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। তার এই ঘুরে দাঁড়ানোর পরিবর্তনটাই ভক্তরা দেখল দেড় মিনিটের এক ভিডিওতে। যেখানে লাল-কালো শাড়িতে একের পর এক পোজে ভিডিও ধারণ করেছেন অভিনেত্রী।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, এভাবেই নেচে নেচে আমি ফটোশুট করি।
ভিডিওটি ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। মাহির ভক্তরাও নায়িকার রূপ নিয়ে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। তাকে এমন রূপেই পর্দায় আবারও ফিরে দেখতে চেয়েছেন।
মাহিকে সবশেষ শাকিবের ‘রাজকুমার’ ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে। এরপর অভিনয় নিয়ে ব্যস্ততা না থাকলেও মডেলিংয়ে সময় দিচ্ছেন তিনি। কয়েক দিন পরপর ভিন্ন সাজে দেখা মেলে এই চিত্রনায়িকাকে।
আরটিভি /এএ /এসএ
নীল ছবির সেই বাংলাদেশি তরুণীকে নিয়ে যা বললেন শিল্পা শেঠির স্বামী
ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে ভারতে অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মহারাষ্ট্রের উলহাসনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বাংলাদেশি এক তরুণীকে। যার নাম রিয়া অরবিন্দা ভার্দে এবং যিনি নীল ছবির অভিনেত্রী বলে দাবি করা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত তরুণী বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির রাজ কুন্দ্রা প্রোডাকশনের নীল সিনেমার প্রজেক্টে কাজ করছিলেন। যদিও রাজ কুন্দ্রা অভিযোগগুলোকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। এই অভিনেত্রীকে চেনেন না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমার সম্পর্কে ছড়ানো এই ভুয়া খবরে গভীরভাবে মর্মাহত। রিপোর্টগুলোতে দাবি করা হয়েছে, একজন অবৈধ অভিবাসী আমার জন্য কাজ করেছিলেন বা আমার একটি অনুমিত প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই মহিলার সঙ্গে কখনও দেখা হয়নি। তাকে আমি চিনি না বা আমার মালিকানাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানে তিনি কাজ করতেন না।’
রাজ আরও জানান, ‘এসব ভিত্তিহীন খবর কেবল আমার খ্যাতিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, আমার নামকে ব্যবহার করা হচ্ছে লোকের নজর টানার জন্য। আমি এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ সহ্য করব না।’
রাজ যে আইনি পদক্ষেপের কথা ভাবছেন, তা-ও জানিয়েছেন। তার আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল জানান, ‘কিছু সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশি ওই তরুণীর সঙ্গে রাজের নাম জড়ানো হয়েছে। মুম্বাই পুলিশ যাকে গ্রেপ্তার করেছে, তিনি শিল্পা শেট্টি ও রাজ কুন্দ্রার সংস্থায় কাজ করেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার মক্কেলের বদনাম করার জন্য এসব ছড়ানো হচ্ছে।’
এ ঘটনায় রাজের আইনজীবী আরও বলেন, ‘যে মিডিয়া হাউজগুলো এই ভুয়া খবর তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে মুম্বাই হাইকোর্টে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হবে।’
এদিকে বছরখানেক আগেই নীল সিনেমা ছবি বানানোর প্রযোজনা সংস্থা চালানোর দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন শিল্পা শেঠির স্বামী। মাসখানেক কারাগারেও ছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগে মুম্বাই পুলিশের কাছে গোপন খবর আসে মুম্বাইয়ের নাভালি এ-র অম্বরনাথে একটি বাংলাদেশি পরিবার জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে বসবাস করছে। এরপর এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। সেই তদন্তের জেরেই রিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
আরটিভি/এএ
ছেলে ইয়াশের বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী মা
এ প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেতা ইয়াশ রোহান। তার পুরো পরিবারটাই যেন লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের সুতোয় বাঁধা। মা শোবিজের বরেণ্য অভিনেত্রী শিল্পী সরকার অপু এবং বাবা অভিনেতা, নির্মাতা ও সাংবাদিক নরেশ ভূঁইয়া। বর্তমানে বাবা-মায়ের পথেই হাঁটছেন তিনি। অল্প সময়ের ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন বেশ কয়েকটি দর্শকনন্দিত কাজ।
ইয়াশের মা অভিনেত্রী শিল্পী সরকারও কম যান না। এখনও টেলিভিশন নাটক, চলচ্চিত্র, ওয়েব সিরিজে সমানতালে কাজ করে চলেছেন তিনি। নির্মাতা স্বামী ও সন্তান ইয়াশকে নিয়ে তার সুখের সংসার।
সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন মা-ছেলে। যেখানে ইয়াশের বিয়ে প্রসঙ্গে কথা বলেছেন মা শিল্পী সরকার।
অভিনেত্রী বলেন, এখন মানুষ বলে ইয়াশের বিয়ে করা উচিত। তবে আমি মনে করি, তার যখন ইচ্ছে হবে তখনই সে বিয়ে করবে। ইচ্ছে না হলে করবে না। কারণ, জীবনটা তার, এখানে আমি জোর করে কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না। ও একটা ভালো ছেলে। যদিও একটু অগোছালো। সেজন্য মাঝেমধ্যে বকাঝকাও করি।
ইয়াশ বলেন, ঈশ্বরকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আমার মা আমাকে এই স্বাধীনতাটা দিয়েছেন। বিয়ের জন্য কোনো চাপ দিচ্ছেন না। প্রথমে আমার ইচ্ছে ছিল না অভিনয় করার। শখের বসেই কাজ শুরু করেছিলাম। এখনও করছি, ভালো লাগছে। যতদিন ভালো লাগবে ততদিন কাজ করে যাব।
অভিনয়ে আসার পেছনে মায়ের অবদানের কথা উল্লেখ করে অভিনেতা বলেন, আমার অভিনেতা হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান মায়ের। কারণ, আমার ইচ্ছে ছিল শিক্ষক হওয়ার। তবে মায়ের ইচ্ছেতেই অভিনয়ে আসা। তাই সম্পূর্ণ কৃতিত্বটা তার।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময়েই অভিনেতা, নির্মাতা নরেশ ভূঁইয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় শিল্পী সরকারের। মূলত তার হাত ধরেই অভিনয়ে আসেন তিনি।
আরটিভি/এইচএসকে-টি