আগের চেয়ে ভালো আছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নৃত্য পরিচালক আজিজ রেজা। এ কারণে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন নৃত্য পরিচালক মাইকেল বাবু।
তিনি বলেন, আজিজ রেজা ভাইকে শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি এখন আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ।
এর আগে মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে আজিজ রেজার হার্ট অ্যাটাক হয়। পরে তাকে রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার হার্টে একটি রিং পরানো হয়।
আজিজ রেজার জন্ম নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার দয়াকান্দা গ্রামে। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন সেখানেই। এরপর চলে আসেন ঢাকায়। উত্তর যাত্রাবাড়ীতেই কেটেছে তার শৈশব-কৈশোর ও যৌবন। ছোটবেলাতেই নাচে আগ্রহী হন তিনি। ক্লাস ফোরে পড়ার সময় বিটিভির অনুষ্ঠান ‘নৃত্যের তালে তালে’র প্রেমে পড়ে যান। নৃত্য পরিচালক আমির হোসেন বাবু ও নায়িকা অঞ্জনা নাচতেন সেখানে। প্রতি শুক্রবার রাত ৯টায় প্রচারিত হতো। এই শো কোনোভাবেই মিস করতেন না আজিজ। ইচ্ছে হলো নাচ শিখবেন। কিন্তু কোথায় শিখবেন, জানেন না। একদিন বন্ধু আফসার বলল, চল তোকে এক জায়গায় নিয়ে যাই। নিয়ে গেল গওহর জামিলের বাসায়। তার একাডেমিতে ভর্তি হতে তখন তিন টাকা লাগত। এই টাকাটাও ছিল না আজিজের কাছে। সেটা দেয় তার বন্ধু আফসার।
এ পর্যন্ত এক হাজার ৯৬টির গানে কোরিওগ্রাফি করেছেন আজিজ রেজা। পশ্চিমবঙ্গের সিনেমাতেও করেছেন ৪২টা গান। চিরঞ্জিত, প্রসেনজিৎ, ইন্দানী হালদার, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তদের সঙ্গে কাজ করেছেন।
নৃত্য পরিচালক আজিজের বাসার ড্রয়িংরুমের শোকেসে ১৬৪টা ট্রফি। এর মধ্যে আছে ‘নাচে নাগিন’ ছবির জন্য পাওয়া জাতীয় পুরস্কারও।
গত ৩০ বছরে ঢালিউডে যত নায়ক-নায়িকা এসেছেন তাদের বেশিরভাগই নৃত্যের তালিম নিয়েছেন আজিজ রেজার কাছে। চলচ্চিত্রে এখনও কাজ করছেন নিয়মিত। উত্তরা কামারপাড়া চৌরাস্তায় তার নাচের স্কুল। ৮০ জন ছেলেমেয়েকে নাচ শেখান সেখানে। টুকটাক অভিনয়ও করেন। প্রায় ৬০টি টিভি নাটক করেছেন তিনি।
