খ্রিস্টান ক্যাথলিকদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস ও ইরাকের শীর্ষ শিয়া ধর্মীয় নেতা গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ আলি আল-সিস্তানির মধ্যে এক ঐতিহাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাম্প্রদায়িকতা এবং সহিংসতায় জরাজীর্ণ দেশটিতে আন্তঃধর্মীয় এই নেতার বৈঠক বেশ গুরুত্বপূর্ণ অর্থ বহন করে।
আরও পড়ুনঃ স্বর্ণের দাম আরেক দফা কমলো
উভয় নেতার এই বৈঠক পবিত্র নাজাফ শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে ইরাকের পরিস্থিতি বেশ অরাজক। এরই মধ্যে প্রথমবারের মতো ইরাক সফরে এলেন পোপ ফ্রান্সিস। এমনকি এবারই প্রথম শীর্ষ কোনও শিয়া ধর্মীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক করলেন খ্রিস্টানদের এই ধর্মগুরু।
ওই বৈঠকের পর এক বার্তায় সিস্তানি যুদ্ধের পরিবর্তে বিজ্ঞতার পরিচয় দিতে এবং বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে ধর্মীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। শিয়া ইসলামের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হচ্ছেন সিস্তানি।
আরও পড়ুনঃ প্রেম করায় মেয়ের মাথা কেটে থানার দিকে যাচ্ছিলেন বাবা!
পোপও ধর্মীয় কমিউনিটিগুলোকে এক সঙ্গে কাজ করতে আহ্বান জানান। ৪৫ মিনিটের ওই বৈঠকের পর ভ্যাটিকান একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সেখানে হয়েছে, পোপ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বের গুরুত্বের ওপর জোরারোপ করেছেন, যাতে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সংলাপের মাধ্যমে সবাই ইরাকের ভালোর জন্য অবদান রাখতে পারে।
আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বাড়াতে ৮৪ বছর বয়সী পোপ বেশ কিছু মুসলিম প্রধান দেশ ভ্রমণ করেছেন। এই তালিকায় তুরস্ক, জর্ডান, মিশর, বাংলাদেশ, আজারবাইজান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ফিলিস্তিনও রয়েছে। ২০১৭ সালে তিনদিনের সফরে বাংলাদেশ এসেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস।
এ