ঢাকারোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১

আন্তর্জাতিক আল-কুদ্স দিবসে ফিলিস্তিনিদের মুক্তি নিয়ে আলোচনা সভা

আরটিভি নিউজ

শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫ , ০৯:৪৮ পিএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক আল-কুদ্স দিবস উপলক্ষে ‘কুদস ও ফিলিস্তিনের মুক্তি: অব্যাহত প্রতিরোধের অনিবার্যতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে আল-কুদ্স কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মুজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাকিব মুহাম্মাদ নাসরুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশস্থ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন। 

বিজ্ঞাপন

সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীরমোহম্মদী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ কে এম বদরুদ্দোজা এবং ইসলামী স্কলার ড. এ কে এম আনোয়ারুল কবীর।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিনিয়র সাংবাদিক ও চেঞ্জটিভি.প্রেসের প্রতিষ্ঠাতা আমীরুল মুমিনীন মানিক।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আল-কুদ্স কমিটি বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মুস্তফা তারিকুল হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ও আল-কুদ্স কমিটি বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ড. শাহ কাউছার মুস্তাফা আবুলউলায়ী।

বিজ্ঞাপন

বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনজুড়ে পবিত্র রমজানের মধ্যেই যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করে পশুশক্তি ইসরাইল আবারও পৃথিবীর নিকৃষ্টতম গণহত্যা শুরু করেছে। প্রথম কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাসের পবিত্র ভূমিতে এ অন্যায় ও হত্যাযজ্ঞ চলছে। 

১০৯৬ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপের ক্রুসেডার খ্রিস্টানরা সমগ্র সিরিয়া ও ফিলিস্তিন দখল করে নেওয়ার পর বায়তুল মুকাদ্দাসের বিভিন্ন ইসলামী স্থাপনায় পরিবর্তন আনে। এরপর ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দে সালাহ উদ্দীন আইয়ুবি বায়তুল মুকাদ্দাস শহরকে আবারও মুসলমানদের অধিকারে নিয়ে আসেন। তবে, ১৯৪৮ সালের ১৫ মে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতায় ফিলিস্তিনে অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সেখানকার মুসলমানদের ওপর বিপদ নামতে শুরু করে।

বিংশ শতাব্দীর ৪০ এর দশকে ইহুদিবাদী ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনের ভূমি ও পবিত্র কুদস দখলের পর একটি কঠিন সময়কাল অতিবাহিত হয়েছে এবং সেখানকার রাজনৈতিক জীবনে অনেক উত্থান পতন হয়েছে। কিন্তু ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের বিজয় ফিলিস্তিন ইস্যুর পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় একটি টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে এবং ইরানের বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেইনী দখলদার ইহুদীবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের পতাকা উড্ডীন করেন এবং কুদস শরীফ ও ফিলিস্তিনের ইসলামি ও পবিত্র ভূমির মুক্তির বিস্মৃত লক্ষ্য ও আদর্শকে পুনরুজ্জীবিত করেন। ইমাম খোমেইনীর পক্ষ থেকে রমজান মাসের শেষ দশকের শুক্রবারকে আল কুদস দিবস নামকরণ ছিল একটি বৃহৎ বুদ্ধিবৃক্তিক ও গঠনমূলক রাজনৈতিক উদ্যোগ যা ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক মুক্তি সংগ্রামের পথকে পাল্টে দেয় এবং এই পথটিকে আলোকিত ও মসৃণ করে তোলে। সেই পথ ধরে আল কুদস কমিটি বাংলাদেশও সোচ্চার হচ্ছে সম্মিলিত প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাতে।

বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনের সংকট কেবল ফিলিস্তিনের জনগণের সংকট নয়, এটা গোটা ইসলামী বিশ্বের সংকট। তাই বিশ্বের সকল মুসলমানকে এই সংকট নিরসনে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মুজলুমের বিরুদ্ধে জালেমের অত্যচার চিরকাল থাকতে পারে না। ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি একদিন স্বাধীন হবেই।

আরটিভি/আরএ/এআর

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |