আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হেরাতে একটি শিয়া মসজিদে চালানো আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৬৩ জন।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে জাওয়াদিয়া মসজিদে এ হামলায় একাধিক ব্যক্তি অংশ নেয় বলে ধারণা করছে পুলিশ।
স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র আব্দুলহাই ওয়ালিজাদা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন একজন আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন এবং অন্তত আর একজন অস্ত্রধারী মুসল্লিদের ওপর গ্রেনেড ছুঁড়ে মেরেছেন।
ওই হামলায় আহত মোহাম্মদ আদি নামে একজন বলেন, দু’জন হামলাকারী মসজিদে ঢোকে এবং লোকজনের দিকে গুলিবর্ষণ ও গ্রেনেড ছুঁড়তে শুরু করে।
হেরাতের গভর্নর মোহাম্মদ আসিফ রাহিমি হামলায় অন্তত ২৯ জন নিহত ও ৬৪ জন আহত হবার খবর জানান।
মাত্র দু’মাস আগেও হেরাতে জামা মসজিদ নামে দ্বাদশ শতকের একটি মসজিদে মুসল্লিদের ওপর হামলায় সাতজনের প্রাণহানি ঘটে।
মঙ্গলবারের হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি। তবে তালেবানের পক্ষ থেকে হামলায় সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
আফগানিস্তানে এ বছর সহিংসতায় এরইমধ্যে এক হাজার ৭০০ এর বেশি বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি নাজুক হতে থাকায় চাপের মুখে পড়েছে প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সরকার।
প্রেসিডেন্ট ঘানি মঙ্গলবারের হামলার নিন্দা জানিয়ে ধর্মীয় পণ্ডিতদের প্রতি এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইরাক ও সিরিয়ার তুলনায় আফগানিস্তানে ঐতিহ্যগতভাবে শিয়া-সুন্নি বিভেদ জনিত সহিংসতা কম ছিল। তবে আইএসের স্থানীয় সদস্যরা গত বছর শিয়া গোষ্ঠীর ওপর বেশ কয়েক দফা হামলা চালায়।
জাতিসংঘের হিসাবে এ বছরের প্রথম ছয় মাসে আফগানিস্তানে সহিংসতায় ১ হাজার ৬৬২ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। এদের ২০ শতাংশই নিহত হয়েছে কাবুল শহরে।
এপি/এসএস