ইলন মাস্ক এখন বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী, শীর্ষে কে?
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা, টুইটার, স্পেসএক্স ও নিউরালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ককে সরিয়ে এখন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ই-কমার্স সাইট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। দীর্ঘদিন পর ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষ স্থান হারালেন ইলন মাস্ক। আর প্রথমবারের মতো এই তালিকায় সবার ওপরে উঠল বেজোস।
সোমবার (৪ মার্চ) ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ারস ইনডেক্সে থেকে এ খবর জানা গেছে। খবর এনডিটিভির।
জানা গেছে, ব্লুমবার্গের হিসাব অনুযায়ী এদিন টেসলার শেয়ারের দরপতন হয় ৭ দশমিক ২ শতাংশ। ফলে ইলন মাস্কের সম্পদ কমে ১৯৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে নামে। এদিন বেজোসের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ২০০ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।
উল্লেখ্য, ২০২১ সাল থেকেই বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষ অবস্থান নিজের দখলে রেখেছিলেন ইলন মাস্ক।
মন্তব্য করুন
ভারতীয় ভিসা বন্ধে ভ্রমণ খাতে বিরূপ প্রভাব
বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা বন্ধের জেরে যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে দুই দেশের মধ্যে একেবারে কমেছে পাসপোর্টধারী যাত্রীর চলাচল। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে উভয় দেশের ভ্রমণ খাতে। বাংলাদেশের ক্ষতির পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পে অচলাবস্থা নেমে এসেছে।
সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করে ভারতে গেছেন ১৪৭১ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী। এর মধ্যে বাংলাদেশি ছিলেন ১ হাজার ১৯৪ জন, ভারতীয় ২৭৪, জাপানের ২ ও একজন নেপালের পাসপোর্টধারী ছিলেন। এছাড়া খুলনা-কলকাতা রুটে ‘বন্ধন’ রেলে যাত্রীসেবা এখনও বন্ধ থাকায় নিরাপদ যাতায়াতে বেড়েছে ভোগান্তি। তবে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ভিসা সীমিত ও দু’দেশের মধ্যে রেলপথে যাত্রী সেবা বন্ধ করে দেয় ভারত।
সূত্রমতে, যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়া বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ যান চিকিৎসা ও দর্শনীয় স্থান ভ্রমণে। অন্যদিকে, যেসব ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে আসেন, তাদের একটি বড় অংশ আসেন কম খরচে মেডিকেল শিক্ষার জন্য। বর্তমানে দেশের ১০৮টি মেডিকেল কলেজে ১০ হাজারের বেশি বিদেশি অধ্যয়নরত, যাদের বেশিরভাগ ভারতীয়। এছাড়া ট্যুরিস্ট ও ওয়ার্ক ভিসায় দেশে প্রায় ১০ লাখের মতো ভারতীয় চাকরি করছেন।
বাংলাদেশ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরলেও নানান অজুহাত দেখিয়ে এখনও স্বাভাবিক ভিসা প্রদান ও রেল পথে বেনাপোল-পেট্রাপোল হয়ে যাত্রী সেবা বন্ধ রেখেছে ভারত সরকার। এতে একদিকে ভিসা না পেয়ে যাত্রী যাতায়াত যেমন কমে এসেছে, তেমনি স্বাভাবিক সময়ে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহার করে দুদেশের মধ্যে ৮ থেকে ১০ হাজার পাসপোর্টধারী যাতায়াত করলেও এখন তা কমে দেড় হাজারের ঘরে নেমেছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে দুই দেশেই ক্ষতির শিকার হচ্ছে। কেবল বেনাপোল রুটে ভ্রমণ খাতে ভিসা ফি বাবদ বাংলাদেশিদের কাছ থেকে বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আয় করে থাকে ভারতীয় দূতাবাস। তবে এখনও ‘বন্ধন’ রেল পরিষেবা বন্ধ থাকায় এ পথে যাতায়াতকারী পাসপোর্টধারীদের ভোগান্তি বেড়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল স্থলবন্দর প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ইনচার্জ আব্দুল হাফিজ জানিয়েছেন, ভিসা স্বাভাবিক না থাকায় যাত্রী একেবারে কমে এসেছে।
আরটিভি/কেএইচ
দুই সপ্তাহের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম সর্বোচ্চ, জানা গেল কারণ
দুই সপ্তাহের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দেশটির স্পট গোল্ডের দাম ১ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স দুই হাজার ৬৪৯ দশমিক ৭৩ ডলার হয়েছে, যা ডিসেম্বর ১৮-এর পর সর্বোচ্চ। মার্কিন গোল্ড ফিউচারস শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৬৬৩ দশমিক ২০ ডলার হয়েছে। খবর খালিজ টাইমসের।
বাজার বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণের কেনা-বেচা বেড়ে যাওয়া এর দর বাড়ার পেছনে সরাসরি ভূমিকা রেখেছে। সেই সঙ্গে মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের দর কমে যাওয়া এর প্রধান কারণ। একইসঙ্গে, ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার নিয়ে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন শুল্ক নীতি এই দর বাড়ার পেছনে ভূমিকা রাখছে। মার্কিন ১০ বছরের বন্ডের দর কমায় স্বর্ণের প্রতি ক্রেতার আকর্ষণ বাড়ছে, কারণ এটি মুনাফা দেয় না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তেজনা এবং আর্থিক অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণের প্রতি ঝুঁকছেন। ২০২৪ সালে সুদের হার কমানো, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রয় এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা মূল্যবান এই ধাতুটির দরকে রেকর্ড উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল, যা বছরে ২৭ শতাংশ বেড়ে যায়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন বছরের শুরুতে মুনাফা সমন্বয়ের পর স্বর্ণের দাম ফের বাড়তে থাকে। ২০২৫ সালে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে বলে অনুমান করছেন। অন্যান্য ধাতুর মধ্যে রুপার দর ২ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ২৯ দশমিক ৪৮ ডলার, প্লাটিনামের দর ২ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৯২২ দশমিক ৮৫ ডলার এবং প্যালাডিয়ামের দাম ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৯২২ দশমিক ৪ ডলার হয়েছে।
আরটিভি/একে
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে প্রশ্নে যা বললেন জয়সওয়াল
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, এক সপ্তাহ আগে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে বাংলাদেশের বার্তা পাওয়ার কথা জানিয়েছিলাম। ওই প্রাপ্তিস্বীকারের বাইরে তেমন কিছু বলার নেই। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ–সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সেই দাবি বিধিসম্মতভাবে করেনি। তা ছাড়া চুক্তি অনুযায়ী ওই দাবি গ্রাহ্য না হওয়ার আরও অনেক কারণ আছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওই প্রতিবেদন নিয়ে আজ কোনোরকম আলোকপাত করেননি।
ব্রিফিংয়ে সনাতন ধর্মীয় নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনের দাবি খারিজ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জয়সওয়াল বলেন, আমরা আগেই বলেছি, ওই ঘটনায় যাদের ধরা হয়েছে তারা সুবিচার পাবেন। বিচার ন্যায্য হবে।
তুরস্কের এক সংস্থা থেকে বাংলাদেশের সামরিক ট্যাংক কেনার খবর নিয়েও ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়। বাংলাদেশের ওই সিদ্ধান্ত ভারতের প্রতি কোনো বার্তা কি না জানতে চাওয়া হলে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়ের ওপর ভারত সব সময় তীক্ষ্ণ নজর রাখে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।
জয়সওয়াল এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির ঢাকা সফরের সময়ে দেওয়া বিবৃতির কথা নতুন করে মনে করিয়ে দেন। সেই বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত এক গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও সব শ্রেণির মানুষকে নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ দেখতে চায়। সমর্থন করতে চায়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার আগ্রহের কথাও পররাষ্ট্রসচিব জানিয়ে এসেছেন, যা পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মানের ওপর ভিত্তিশীল এবং যা পারস্পরিক স্পর্শকাতরতা, উদ্বেগ ও স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়।
বিবৃতির কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সম্পর্কের মূল লক্ষ্য দুই দেশের জনগণের কল্যাণ।
দুই দেশে ধরা পড়া জেলেদের মুক্তির বিষয়েও প্রশ্ন করা হয় ব্রিফিংয়ে। ৫ জানুয়ারি ৯৫ জন ভারতীয় ও ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে দুই দেশ থেকে মুক্তি পাবেন।
বাংলাদেশের পালাবদলের পর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাদেশিদের ধরপাকড় ও ফেরত পাঠানোর ঘটনা বেড়ে গেছে। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মুখপাত্র বলেন, অবৈধভাবে দেশে ঢোকা মানুষদের খুঁজে বের করা ও ফেরত পাঠানো নিরাপত্তারক্ষীদের কাজ। তারা সেই কাজ করছেন।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট টানা সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার পতন ঘটে। পরে তিনি জনরোষ থেকে বাঁচতে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই আছেন। তার দলের অনেক নেতাও দেশটিতে আশ্রয় নিয়েছেন।
আরটিভি/এমএ/এআর
চলতি বছর গরম নিয়ে দুঃসংবাদ
২০২৪ সালের রেকর্ড-ব্রেকিং তাপমাত্রা ২০২৫ সালেও অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে, যা ভবিষ্যতে উষ্ণায়ন আরও বাড়িয়ে দেবে।
সম্প্রতি আবহাওয়ার পরিবর্তনের বিষয়ে সতর্কতা জারি করে এসব তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউওমও)। খবর ডয়েছে ভেলের।
ডব্লিউওমও জানিয়েছে, ২০২৪ সালে সবচেয়ে উষ্ণ বছরের সাক্ষী হয়েছিল বিশ্ব। আশঙ্কা করা হচ্ছে ২০২৫ সালটিও ইতিহাসের তিনটি উষ্ণতম বছরের একটি হতে চলেছে। ২০২৩ ও ২০২৪ সালের মতো ২০২৫ সালেও প্রচণ্ড গরম পড়তে হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের সেক্রেটারি-জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘আমরা এক দশক ধরে মারাত্মক তাপ অনুভব করেছি। ২০২৪ সহ গত দশ বছরে রেকর্ডের শীর্ষ উষ্ণতম বছরের সাক্ষী থেকেছি। ২০২৫ সালে পরবর্তীতে কী হবে তার কোনো গ্যারান্টি নেই। তবে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে সমস্ত মানুষের জন্য আরও শান্তিপূর্ণ, সমান, স্থিতিশীল এবং সুস্থ ভবিষ্যৎ তৈরি করার প্রয়াস চলতেই থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘এই ধ্বংসের পথ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের হারানোর সময় নেই। ২০২৫ সালে, অনেক দেশের নির্গমন বন্ধ করতে হবে এবং তাদের নিরাপদ পথে যেতে হবে।’
ডব্লিউএমও সেক্রেটারি-জেনারেল সেলেস্তে সাওলো বলেন, ‘তাপমাত্রার সামান্য বৃদ্ধিও চরম আবহাওয়াকে আরও সাধারণ এবং বিপজ্জনক করে তুলেছে। সেক্রেটারি-জেনারেল হওয়ার প্রথম বছরেই আমি জলবায়ু সংক্রান্ত রেড অ্যালার্ট জারি করেছি। ২০২৫ সালে ডব্লিউএমও-এর ৭৫ তম বার্ষিকী। এমন পরিস্থিতিতে পৃথিবীতে সুরক্ষিত রাখতে নিজেকেই পদক্ষেপ করতে হবে, এটা সবার দায়িত্ব, এটা বিশ্বব্যাপী দায়িত্ব।’
প্রসঙ্গত, ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন এবং ক্লাইমেট সেন্ট্রালের একটি নতুন রিপোর্টে ২০২৪ সালে জলবায়ু পরিবর্তনের ২৯টি চরম আবহাওয়ার ঘটনার মধ্যে ২৬টিকে আরও খারাপ করে তুলেছে। এসব ঘটনায় লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং ৩৭০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
আরটিভি/এসএপি
১২০ কোটির দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন, সাংবাদিকের মরদেহ মিললো সেপটিক ট্যাঙ্কে
১২০ কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন করায় ভারতের মুকেশ চন্দ্রকর (২৮) নামে এক সাংবাদিককে হত্যার পর সেপটিক ট্যাঙ্কে মরদেহ রাখার অভিযোগ উঠেছে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দেশটির ছত্তীসগড়ের বিজাপুরের সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকর মরদেহ অভিযুক্ত ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রশেখরের বস্তার জেলার বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কর্ণাটক রাজ্যের বিজাপুর শহরের সাংবাদিক মুকেশ একটি সর্বভারতীয় সাংবাদমাধ্যমে কাজ করতেন। ১২০ কোটি টাকার সড়ক প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তিনি। এই প্রকল্পে কীভাবে দুর্নীতি হচ্ছে, দুর্নীতির মাথা কে, তা নিয়ে একের পর এক তথ্য প্রকাশ্যে আনেন। দুর্নীতিতে নাম উঠে আসে ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রশেখরের। দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে আসতেই ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয় প্রশাসন।
মুকেশের ভাই চন্দ্রকরও সাংবাদিক। মুকেশের দাদার দাবি, ১২০ কোটি টাকার দুর্নীতির খবর করার পর থেকেই লাগাতার হুমকিবার্তা পাচ্ছিলেন। আর সেই হুমকি আসছিল ঠিকাদার সুরেশ এবং আরও তিন জনের কাছ থেকে। মুকেশ নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগপত্রে ঠিকাদার সুরেশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ঠিকাদারের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় সাংবাদিকের দেহ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করে সেপটিক ট্যাঙ্কের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিজাপুরের পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদব বলেছেন, ‘মোবাইলের অবস্থান চিহ্নিত করে ঠিকাদার সুরেশের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মুকেশের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মুকেশের মরদেহের একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। মূলত যে জায়গা থেকে সাংবাদিকের দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে ঠিকাদারের কর্মীরা থাকেন। সেই সব কর্মী এবং ঠিকাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। শুধু তা-ই নয়, সাম্প্রতিক কোনও খবরের সঙ্গে মুকেশের মৃত্যুর যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
আরটিভি/এসএপি/এআর
ভারতে এইচএমপিভি ভাইরাসের হানা, আক্রান্ত দুই শিশু
করোনাকাল পার হয়েছে পাঁচ বছর। এখনও বিশ্ববাসীর মনে দাগ কেটে আছে মহাদুর্যোগের সেই সময়কাল। এবার তেমনই আরেকটি মহাপ্রাদুর্ভাবের আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এইচএমপিভি নামে এক ভাইরাস। চীন, মালয়েশিয়ার পর এবার দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতেও হানা দিয়েছে ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এই ভাইরাসটি। দেশটির বেঙ্গালুরুতে তিন ও আট মাস বয়সি দুই শিশু এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এতে বলা হয়, সোমবার সকালে বেঙ্গালুরুতে প্রথমে আট মাস বয়সি এক শিশুর শরীরে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) ভাইরাসের হদিস মেলে। পরে তিন মাসের এক শিশুর শরীরেও একই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারের সাম্প্রতিককালে কোনো ভ্রমণের রেকর্ড নেই। দুই শিশুর শরীরে এইচএমপি ভাইরাসের যে স্ট্রেনের সংক্রমণ হয়েছে, সেটির সঙ্গে চীনের ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের স্ট্রেনের কোনো যোগ রয়েছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।
এদিকে, তিন মাস বয়সি শিশুকে ইতোমধ্যে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং আট মাস বয়সি শিশুকে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
অন্যদিকে, পর পর দু’টি সংক্রমণের খবর প্রকাশ্যে আসতেই কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুন্ডু রাও আজ দুপুরে একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। তবে রাজ্যবাসীকে অযথা উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন কর্নাটকের স্বাস্থ্যসচিব হর্ষ গুপ্তা।
এইচএমপিভি ভাইরাস চীন থেকে যাতে করোনার মতো ভারতে ছড়িয়ে না পড়ে, তাই আগে থেকেই সতর্ক অবস্থান নিয়েছে ভারত জানিয়ে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক অতুল গয়াল বলেন, শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত কোনো সমস্যা এখন থেকে ছোট করে দেখার উপায় নেই। এ ধরনের জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, এইচএমপিভি একটি সংক্রামক রোগ এবং যেভাবে এটি ছড়ায়, তার সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে কোভিডের। বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোভিডের মতোই হাঁচি, কাশি, আক্রান্ত রোগীর কাছাকাছি অবস্থান, করমর্দন এবং স্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় এ রোগটি।
এইচএমপিভি ভাইরাসের কোনো ওষুধ বা টিকা নেই। চীনের যেসব হাসপাতালে এইচএমপিভি রোগীরা ভর্তি হয়েছেন, তাদের চিকিৎসায় নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ ব্যবহার না করে প্রচলিত ওষুধই দেওয়া হচ্ছে।
তবে, রোগটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং এর প্রতিরোধের সঙ্গে করোনা বা কোভিডের প্রতিরোধ ব্যবস্থার সাদৃশ্যও রয়েছে। রোগটি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা যেসব পরামর্শ দিয়েছেন, সেগুলো হলো— নিয়মিত দিনে কয়েকবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, আক্রান্ত রোগীর কাছ থেকে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং কোনো কিছু স্পর্শ করার পর হাত ভালোভাবে ধোয়া এবং শারীরিক অসুস্থতা বোধ করলে বাড়িতে অবস্থান করা।
আরটিভি/আইএম
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সুর পাল্টালেন মমতা
বাংলাদেশ থেকে মুক্তি পাওয়া ৯৫ ভারতীয় জেলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, দুই বাংলার সম্পর্ক সুমধুর। আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা বা বিভেদ নেই।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই ওই জেলেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের (ভারত) যাতে বদনাম না হয়, সেজন্য আমরা চিকিৎসা দিয়ে বাংলাদেশি জেলেদের সেবা করেছি। যদিও মমতা বলেছেন, দুই বাংলার সম্পর্ক সুমধুর। আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা বা বিভেদ নেই।
তিনি বলেন, ভারতীয় জেলেদের বাংলাদেশে মারধর করা হয়েছে। এতটাই মারধর করা হয়েছে যে অনেকে ঠিকমতো এখনো চলাফেরা করতে পারছেন না।
মমতা বলেন, আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন চোখে পানি এসে যাওয়ার মতো ঘটনা। বাংলাদেশ আর আমরা দুটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র। আমরা একে অপরকে ভালোবাসি। কিন্তু পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন আমাদের জেলেরা। তারা জলসীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জেলেদের দেওয়া ট্র্যাকিং কার্ড মারফত আমরা তাদের খুঁজে পাই। আমরা বাংলাদেশে চলে যাওয়ার খবর পেতেই চারিদিকে খোঁজ-খবর রাখতে শুরু করি। পরে জানা যায়, তাদের সেখানকার স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে আটকে রাখা হয়েছে। এরপর আমরা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমরা দুই দেশ এক অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলাম।
জেলেদের উদ্দেশে মমতা বলেন, আপনারা নিজেরাই বলুন, আপনারা যারা এসেছেন, আপনাদের মুখ দেখতে না পেয়ে আপনাদের পরিবারের সদস্যরা গভীর চিন্তায় মগ্ন ছিলেন, একটা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কিন্তু আপনাদের ফিরে আসায় তাদের পরিবারের মুখে এখন হাসি ফুটেছে।
এরপরই তিনি বলেন, আমি দেখলাম কয়েকজন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছেন। আমি তাদের এর কারণ জিজ্ঞাসা করলাম, প্রথমে তারা বলতে চাননি। পরে জানতে পারলাম যে তাদের মারধর করা হয়েছে। তাদের নিয়ে গিয়ে হাত দুটো দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, তাদের মোটা লাঠি দিয়ে মারা হয়েছিল। ফলে কয়েকজন শারীরিকভাবে কোমর থেকে পা পর্যন্ত আঘাত পেয়েছেন। কিন্তু পোশাক পড়ে আছেন বলে বোঝা যাচ্ছে না। আমি স্থানীয় প্রশাসনকে বলব তাদের যাতে ভালো করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
বাংলাদেশ থেকে মুক্ত জেলেদের ১০ হাজার রুপি করে দেওয়ার কথা জানান মমতা। প্রাণ বাঁচাতে সাগরে ঝাঁপ দিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারকে দুই লাখ রুপি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভারতে বন্দি থাকা জেলেদের রোববার বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তাদের তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশে বন্দি থাকা ৯৫ জন ভারতীয় জেলেকে ভারতের উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দেয় ঢাকা। বন্দি ভারতীয় জেলেদের অধিকাংশই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কাকদ্বীপ ও নামখানার বাসিন্দা।
আরটিভি/একে