ভারতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র: বিজেপি
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ও ‘ডিপ স্টেটের’ বিভিন্ন শক্তি ভারতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ এনেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। দলটি বলছে, এই তৎপরতায় জড়িত ভারতের বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী ও একদল সাংবাদিক।
দুই দশক ধরে ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির সম্পর্ক জোরালো। কিছু ভিন্নতা ও উত্তেজনা থাকার পরও এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে দুই দেশ। এমন সময় এই অভিযোগ বিস্ময়কর বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত দুই দশকে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন নিজেদের মাঝে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। কিছু মতপার্থক্য ও ভিন্ন অবস্থান থাকা সত্ত্বেও সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে উভয়পক্ষ। এর মাঝেই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ভারতকে অস্থিতিশীল করে তোলার এই অভিযোগ বিস্ময়কর।
বৃহস্পতিবার এক পোস্টে বিজেপি বলেছে, রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস পার্টি আদানি গ্রুপের ওপর ফোকাস করে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক ওসিসিআরপির প্রকাশিত নিবন্ধকে ব্যবহার করেছে এবং সরকারের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের চেষ্টা করছে।
বিজেপির অভিযোগ, মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তর অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্টে (ওসিসিআরপি) অর্থায়ন করে ভারতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। ওসিসিআরপি যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্টেটের কর্মসূচি পরিচালনার হাতিয়ার হিসাবে কাজ করে।
২৬৫ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্পের অংশ হওয়ার জন্য ভারতীয় কর্মকর্তাদের ঘুষের অভিযোগে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি এবং অন্য সাতজনকে গত মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যদিও এসব অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে আদানি।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার সাংবাদিকদের পেশাগত উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সহায়তা দিয়ে থাকে। তবে এই সহায়তা সংস্থাগুলোর সম্পাদকীয় সিদ্ধান্ত বা নীতিকে প্রভাবিত করে না।
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে ওসিসিআরপি বলেছে, তারা স্বাধীন গণমাধ্যম। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই তাদের। যুক্তরাষ্ট্র সরকার ওসিসিআরপিতে কিছু অর্থায়ন করে থাকে। তবে গণমাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতি ও প্রতিবেদনের ওপর তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই ।
আরটিভি/এআর-টি
মন্তব্য করুন