কলকাতায় জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যা বললেন পি কে হালদার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ , ০৮:৪৯ পিএম


কলকাতায় জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যা বললেন পি কে হালদার
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ আড়াই বছর ভারতের জেলে থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন বাংলাদেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচারে অভিযুক্ত পি কে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে শিবশঙ্কর হালদার।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তিনি কলকাতার আলিপুরের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পান।  

কারাগার থেকে বের হয়ে পি কে হালদার জানান, আমি এখন কিছু বলব না। আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে পরে সবকিছু জানাবো।

বিজ্ঞাপন

এরপর কারাগারের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সাদা প্রাইভেটকারে চেপে ওই স্থান ত্যাগ করেন। যদিও ওই মুহূর্তে তিনি কোথায় যান তা সাংবাদিকদের বলেননি। 

গত শুক্রবার পি কে হালদারের জামিন মঞ্জুর করে কলকাতার নগরদায়রা আদালত। সেক্ষেত্রে শর্ত সাপেক্ষে ১০ লাখ রুপির ব্যক্তিগত বন্ডে তাকে জামিন দেয় আদালত। সোমবার আদালতে সেই বন্ড জমা পড়ে। এরপর আদালত থেকে সেই কপি প্রেসিডেন্সি কারাগারে যাওয়ার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি ছাড়া পান। 

পি কে হালদারের সঙ্গে ওই দিন জামিন পান তার অন্য দুই সহযোগী স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মিত্র এবং উত্তম মিস্ত্রি উত্তম মিত্র। তবে নথি ও বন্ডসংক্রান্ত জটিলতা থাকায় স্বপন মিত্র কারাগার থেকে মুক্তি পাননি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ জানুয়ারি। 

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচার করে প্রশান্ত কুমার হালদারসহ ছয়জন ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এরপর ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বৈদিক ভিলেজ থেকে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।  

এরপর একে একে ৫ জন অভিযুক্তকে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থেকে গ্রেপ্তার করে ইডি। তারপর থেকেই ব্যাঙ্কশাল কোর্টে মামলা চলায় পি কে হালদারসহ পাঁচ পুরুষকে রাখা হয়েছিল কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে। এবং নারী সহযোগী আমিনা সুলতানাকে রাখা হয়েছিল কলকাতার আলিপুর সংশোধনাগারে।

ভারতীয় আইন অনুযায়ী, প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২ অর্থাৎ অবৈধভাবে অর্থপাচার এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে আওতায় ওই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি।

২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত পি কে হালদারকে দুই মামলায় ২২ বছরের কারাদণ্ড দেন এবং তিনি ছাড়া অন্য ১৩ আসামিকে দুই মামলায় তিন ও চার বছর করে মোট সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।  

কিন্তু পি কে হালদার ভারতে বন্দি থাকায় সেই রায় কার্যকর হয়নি। এমনকি সেই রায়ের কপি ভারতের আদালতে এসে পৌঁছায়নি বলে জানান ইডির আইনজীবী অরজিৎ চক্রবর্তী।

আরটিভি/একে/এস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission