বেঁচে ফেরার বর্ণনা দিলেন পাকিস্তানে বিধ্বস্ত বিমানের যাত্রী
পাকিস্তানের করাচিতে অবতরণের সময় শুক্রবার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় সব আরোহীর মৃত্যু হলেও বেঁচে যান দুজন। তাদেরই একজন হচ্ছেন মুহাম্মদ জুবায়ের। নিজের অলৌকিকভাবে বেঁচে ফেরার গল্প শুনিয়েছেন জিও নিউজকে।
পেশায় ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ জুবায়ের বলেন, আমি চারদিকে শুধু ধোয়া আর আগুন দেখছিলাম। আমি চারদিক থেকে চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলাম। শিশু ও বয়স্ক সবাই আর্তচিৎকার করছিল। আমি শুধু আগুন দেখছিলাম। আমি কোনও মানুষ দেখতে পাচ্ছিলাম না, শুধু তাদের চিৎকার শুনছিলাম।
জুবায়ের বলেন, আমি আমার সিটবেল্ট খুলে ফেলি এবং কিছু আলো দেখতে পাই। আমি আলোর দিকে যাই। পরে আমি ১০ ফুট উচ্চতা থেকে লাফ দেই।
পাকিস্তানে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি এয়ারবাস জেট ৯৯ জন আরোহী নিয়ে শুক্রবার করাচি শহরে বিধ্বস্ত হয়। আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটি দুইবার অবতরণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ঘটনায় অন্তত ৯৭ জন নিহত হয়েছে। তবে তারা সবাই বিমানের যাত্রী নাকি ওই আবাসিক এলাকা বাসিন্দা ছিলেন তা জানায়নি পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ।
সিন্ধু প্রাদেশিক সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিমানের বেঁচে যাওয়া আরেকজন যাত্রীর নাম হচ্ছে জাফর মাসুদ। তিনি ব্যাংক অব পাঞ্জাবের প্রেসিডেন্ট। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার অবস্থা ভালো আছে, তিনি ‘সচেতন আছেন এবং সাড়া দিচ্ছেন।’
করাচির সিভিল হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে জুবায়ের বলেন, প্রথমবার অবতরণে ব্যর্থ হওয়ার প্রায় ১০ মিনিট পাইলট আরেকবার অবতরণের চেষ্টা করবেন বলে জানান। কিন্তু রানওয়ের দিকে যেতে যেতে এটা বিধ্বস্ত হয়।
পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোর থেকে ছেড়ে আসা ওই বিমানটিতে ৯১ জন যাত্রী ও আটজন ক্রু ছিল। দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৯৭ জন মারা গেছে এবং দুইজন বেঁচে গেছে।
এ/পি
মন্তব্য করুন