ট্রাম্পকে টেক্কা দিতে নতুন রাজনৈতিক দল আনছেন ইলন মাস্ক!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ 

রোববার, ০৬ জুলাই ২০২৫ , ১১:২৪ এএম


ট্রাম্পকে টেক্কা দিতে নতুন রাজনৈতিক দল আনছেন ইলন মাস্ক!
ফাইল ছবি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধে জড়িয়ে গত ২৮ মে তার প্রশাসন থেকে বেরিয়ে গেছেন টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্ক। তখন থেকেই গুঞ্জন ওঠে, রাজনীতির মাঠ ছাড়ছেন না বর্তমান বিশ্বের অন্যতম এ শীর্ষ ধনকুবের; এমনকি গঠন করতে পারেন নতুন একটি রাজনৈতিক দলও।  

বিজ্ঞাপন

এবার সত্যিই নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছেন মাস্ক। 

রোববার (৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মাস্ক জানান, তার নতুন দলের নাম ‘আমেরিকা পার্টি’, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত দুই দলীয় রাজনৈতিক কাঠামো রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।

তবে এখনও পরিষ্কার নয়, এই দলটি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন কমিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত হয়েছে কি না। মাস্ক নিজেও দলের নেতৃত্ব বা কাঠামো সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি।

তিনি বলেছেন, আমরা আসলে একদলীয় শাসনের মধ্যেই বাস করছি, যেখানে অপচয় আর দুর্নীতির মধ্য দিয়ে দেশকে দেউলিয়া করে দেওয়া হচ্ছে। আজ ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠিত হলো, আপনাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে।

বিজ্ঞাপন

মূলত ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি থেকেই দল গঠনের চিন্তা করেন মাস্ক। বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন থেকে বেরিয়ে আসার পর তার বাজেট পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেন মাস্ক। এরপরই মাস্ক প্রথমবার নতুন দল গঠনের ইঙ্গিত দেন।

বিজ্ঞাপন

ট্রাম্পের সেই বিরোধের সময় মাস্ক এক জনমত জরিপ চালান, যাতে তিনি এক্স ব্যবহারকারীদের জিজ্ঞাসা করেন, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক দল প্রয়োজন কি না। শনিবারের ঘোষণায় মাস্ক সেই জরিপের ফলের কথা উল্লেখ করে লেখেন, যুক্তরাষ্ট্রের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ একটি নতুন রাজনৈতিক দল চায় এবং তারা সেটা পেতে যাচ্ছে।

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় মাস্ক ছিলেন ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক। ট্রাম্পকে পুনর্নির্বাচিত করতে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেন তিনি। নির্বাচনের পর মাস্ককে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নতুন একটি বিভাগ ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সির (ডিওজিই) দায়িত্ব দেওয়া হয়, যার কাজ ছিল বাজেটে বড় ধরনের কাটছাঁট চিহ্নিত করা।

কিন্তু, মে মাসের শেষ দিকে ট্রাম্প প্রশাসন ছেড়ে দেন মাস্ক এবং ট্রাম্পের ট্যাক্স ও ব্যয়ের পরিকল্পনার সমালোচনা শুরু করেন। ওই পরিকল্পনাটিকে ট্রাম্প ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ বলে উল্লেখ করেছেন, সম্প্রতি এটি কংগ্রেসে অল্প ব্যবধানে পাস হয় এবং ট্রাম্প এতে স্বাক্ষর করেন।

বিশাল এই আইনটিতে রয়েছে বিলিয়ন ডলারের ব্যয়ের প্রতিশ্রুতি ও ট্যাক্স হ্রাস, যা আগামী এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাটতি প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরটিভি/এসএইচএম/এস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission