• ঢাকা বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১
logo
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন: কে এগিয়ে, ট্রাম্প নাকি কমলা
আমি নাৎসি নই: ডোনাল্ড ট্রাম্প
নিজেকে নাৎসি নন বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিপক্ষ ডেমোক্রেট শিবির থেকে তাকে স্বেচ্ছাচারী আখ্যা দেওয়ার অভিযোগ খণ্ডন করতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে, ট্রাম্পকে ফ্যাসিবাদী বলে মন্তব্য করেন তার একজন সাবেক চিফ অব স্টাফ। আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এক সপ্তাহের কম সময় আগে এখন শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্প ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক দলের কমলা হ্যারিস। সোমবার (২৮ অক্টোবর) দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য জর্জিয়ায় দুটি নির্বাচনী সমাবেশ করেন ট্রাম্প। সেখানে সমর্থকদের তিনি বলেন, সমালোচকেরা আমাকে আধুনিক সময়ের হিটলার বলেন। ট্রাম্প বলেন, ‘কমলা ও তার প্রচারশিবির এখন নতুন করে একটি কথা বলতে শুরু করেছে, যিনিই তাকে (কমলাকে) ভোট দেবেন না, তিনিই নাৎসি। আমি নাৎসি নই। আমি নাৎসির বিপক্ষে।’ আটলান্টার সমাবেশে কমলাকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, আপনারা জানেন, তিনি ভালো মানুষ নন। আপনাদের সাহায্য নিয়ে ৫ নভেম্বর আমরা কমলাকে পরাজিত করতে চলেছি। বেশ কয়েক দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রে ভোট শুরু হয়ে গেছে। ৪ কোটি ৭০ লাখের বেশি মার্কিনি এরই মধ্যে ভোট দিয়েছেন। এ দলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও রয়েছেন। সোমবার তিনি ডেলাওয়ারে নিজ শহর উইলমিংটনের কাছে রীতিমতো লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, মূল সমর্থকদের উজ্জীবিত রাখার পাশাপাশি যারা এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি এমন ভোটারদের দলে টানা ট্রাম্প ও কমলার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে; বিশেষ করে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে। জনমত জরিপে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার আভাস পাওয়া গেছে। আরটিভি/এফএ
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ ও ২৫২ এসআই বহিষ্কার প্রসঙ্গে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র 
নির্বাচিত হলে বিদেশে যুদ্ধে লড়বে না যুক্তরাষ্ট্র, প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের
যেভাবে নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট 
খাবার স্যালাইনের উদ্ভাবক রিচার্ড ক্যাশ মারা গেছেন
যুক্তরাষ্ট্রে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ৪
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে। রোববার (২০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫৪ মিনিটে হিউস্টনে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। সোমবার (২১ অক্টোবর) এবিসি নিউজ জানিয়েছে, একটি রেডিও টাওয়ারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বিধ্বস্ত হয়েছিল হেলিকপ্টারটি। পুলিশ জানিয়েছে, হেলিকপ্টারের চার আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। তবে, মাটিতে থাকা কেউ আহত হননি এবং রেডিও টাওয়ার ছাড়া অন্য কোনো ভবন বা স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার ফলে সৃষ্ট আগুন দুই থেকে তিনটি ব্লক পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। হিউস্টন ফায়ার ডিপার্টমেন্ট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দুর্ঘটনাটি হিউস্টনের এনজেলকে স্ট্রিট ও নর্থ এনিস স্ট্রিটের সংযোগস্থলে ঘটেছে, যা শহরের অন্যতম জনপ্রিয় খেলার মাঠ মিনিট মেইড পার্ক থেকে মাত্র পাঁচ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত। দুর্ঘটনার সময় টাওয়ারের লাইট কাজ করছিল না। এর আগে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এ বিষয়ে একটি সতর্কবার্তাও জারি করেছিল। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড এবং ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন যৌথভাবে তদন্ত করছে।  আরটিভি/এমএ
যুক্তরাষ্ট্রে পার্টিতে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ৩
যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে একটি স্কুলের পার্টিতে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৮ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (১৯ অক্টোবর) ওই স্কুলটির ফুটবল ম্যাচ বিজয় উপলক্ষে আয়োজিত পার্টিতে এ ঘটনা ঘটে। খবর সিএনএনের। মিসিসিপির স্থানীয় শেরিফ উইলি মার্চের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পার্টিতে প্রায় ৩০০ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ফুটবল ম্যাচ শেষ হওয়ার পর এই পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। তবে এর সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনোভাবে যুক্ত ছিল না। পার্টি শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে গুলি শুরু হয়। গুলির শব্দ অনেকটা মেশিনগানের মতো শোনাচ্ছিল। ওই দিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলেও কোনোভাবে আগ্নেয়াস্ত্র প্রবেশ করে। শেরিফ জানান, শনিবার ভোরে জরুরি সেবায় ফোন আসে এবং তারা ১৫ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেখানে সবাই দৌড়াচ্ছিল, কাঁদছিল, চারিদিকে বিশৃঙ্খলা ছিল। এখনো তারা সহিংসতার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। নিহতদের মধ্যে দুজনের বয়স ১৯ বছর এবং একজনের বয়স ২৫ বছর। আহতদের বিমানযোগে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতার ঘটনা থামছেই না। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৪২২টিরও বেশি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আরটিভি/এসএপি  
আক্রমণাত্মক সাক্ষাৎকার দিলেন কমলা হ্যারিস
ফক্স নিউজকে দেয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সাক্ষাৎকার ছিল তর্ক-বিতর্কে ভরপুর। আগামী পাঁচ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার তিন সপ্তাহ আগে রক্ষণশীলদের দিকে ঝুঁকে থাকা টিভি চ্যানেল ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকার দিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। সাক্ষাৎকার নিলেন ব্রেট বেয়ার। ব্রেট বারবার অভিবাসনের প্রসঙ্গ তুললেন, বাইডেনের পরিবর্তে প্রার্থী হিসাবে হ্যারিসের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করলেন। হ্যারিসও আগাগোড়া আক্রমণাত্মক ছিলেন। আসলে হ্যারিস রিপাবলিকানদের দিকে ঝুঁকে থাকা ভোটদাতাদের প্রভাবিত করতে চেয়েছেন। প্রায় ৩০ মিনিটের এই সাক্ষাৎকার ছিল উপভোগ্য, হ্যারিস ও ব্রেট সমানে এক অপরকে অস্বস্তিতে ফেলার চেষ্টা করে গেছেন। একটা সময় হ্যারিস যখন একটা প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন, তখন ব্রেট কিছু বলতে যান। হ্যারিস তখন বলেন, আগে আমাকে অভিবাসন নিয়ে প্রশ্নের জবাব শেষ করতে দিন। আমি কি এই জবাব শেষ করতে পারি? আরেকবার হ্যারিস উত্তেজিত তর্ক-বিতর্কের মধ্যে বলেন, আমার মনে হয়, এই আলাপচারিতা যদি তথ্যের ভিত্তিতে হয়, তাহলে ভালো হয়। হ্যারিস বারবার ট্রাম্পকে আক্রমণ করতে চেয়েছেন। তিনি এটাও জানাতে চেয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হয়ে কেমন করে দেশ চালাবেন। তিনি বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে বাইডেনের সময়ের নীতির নিছক অনুসরণ করবেন না। আগের সব প্রেসিডেন্টের মতো তিনিও তার জীবনের অভিজ্ঞতা, ব্যক্তিগত অনুভবকে কাজে লাগাবেন। নতুন ধারণার রূপায়ণ করবেন। ডিডাব্লিউর ওয়াশিংটনের প্রতিনিধি জেনেলে দুমালাওন মনে করছেন, হ্যারিসের সাক্ষাৎকারের অনেকটা অংশ অভিবাসন নিয়ে প্রশ্ন-উত্তরের মধ্যে দিয়ে কেটেছে। ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর কাছে সবচেয়ে দুর্বল বিষয়টি নিয়ে ব্রেট বারবার প্রশ্ন করে তাকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করেছেন। জেনেলে বলেছেন, হ্যারিস বারবার বলতে চেয়েছেন, ট্রাম্পের নীতির জন্যই বেআইনি অভিবাসন হচ্ছে। একটা সময়ে সাক্ষাৎকারটা আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় পরিণত হয়েছে। ব্রেট বেয়ার নিজের কথাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন। হ্যারিস তার বিরুদ্ধে লড়ে গেছেন। তিনি জানিয়েছেন, হ্যারিস আসলে তার কথা বলতে চেয়েছেন এবং যারা আগে শোনেননি, তাদের কাছে পৌঁছাতে চেয়েছেন। যারা এখনো কাকে ভোট দেবেন ঠিক করতে পারেননি, তাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন।
অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ৩ মার্কিনি
অর্থনীতিতে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন আমেরিকার তিন অর্থনীতিবিদ। তারা হলেন ড্যারন অ্যাসেমোগ্লু, সাইমন জনসন এবং জেমস এ. রবিনসন। কোনো প্রতিষ্ঠান কীভাবে গঠন করা হয় এবং সমৃদ্ধির ওপর তা কী প্রভাব ফেলে, তা অধ্যয়নের জন্য সম্মানজনক এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তারা। বাংলাদেশ সময় সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে এ বছরের অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস। গত বছর অর্থনীতিতে নোবেল জেতেন মার্কিন অর্থনীতিবিদ ক্লাউডিয়া গোলডিন। শ্রমবাজারে নারী অংশগ্রহণের ফলাফল সম্পর্কে বোঝাপড়ার উন্নতিতে অবদান রাখার জন্য তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। আক্ষেপের বিষয় হলো—তিনি যেদিন পুরস্কার গ্রহণ করেন, সেদিন খুব অল্পসংখ্যক নারীই উপস্থিত ছিলেন। ১৯৬৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৯৩ জনকে নোবেল দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ক্লডিয়া গোল্ডিনসহ নারী মাত্র ৩ জন। বাকি দুজন হলেন—এলিনর অস্ট্রোম এবং এস্তার দুফলো। এর আগে, চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে জাপানে পরমাণু বোমা হামলায় জীবিতদের নিয়ে গড়ে ওঠা পরমাণু অস্ত্রবিরোধী সংগঠন নিহন হিদাঙ্কিও। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বোমার আঘাত থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষদের নিয়ে সোচ্চার তৃণমূল সংগঠনটি স্থানীয়ভাবে ‘হিবাকুশা’ নামেও পরিচিত। গত বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইরানের কারাবন্দী মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদি। দেশটিতে নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়। এদিকে, চলতি বছর এখন শান্তি ছাড়াও পর্যন্ত চিকিৎসা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান কাং। ‘প্রগাঢ় কাব্যিক গদ্যে ঐতিহাসিক ক্ষত তুলে ধরা এবং মানবজীবনের নাজুক পরিস্থিতির উন্মোচনের জন্য’ তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাবান পুরস্কারের জন্য বেছে নিয়েছে নোবেল কমিটি। চলতি বছর রসায়নে নোবেল বিজয়ী হয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন—ডেভিড বেকার, ডেমিস হাসাবিস ও জন এম জাম্পার। প্রোটিনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করার কারণে তাদের এ বছর নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। এ ছাড়া, কৃত্রিম ‘নিউরাল নেটওয়ার্কের সাহায্যে মেশিন লার্নিংকে সক্ষম করে তোলার’ মৌলিক আবিষ্কারের জন্য এ বছর পদার্থে নোবেল পেয়েছেন এআই গডফাদার হিসেবে পরিচিত জিওফ্রে হিনটন এবং জন হপফিল্ড। তার আগের দিন চিকিৎসায় নোবেল জেতেন ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুন। মাইক্রো-আরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল (জিনের প্রতিলিপির পর) জিন নিয়ন্ত্রণে মাইক্রো-আরএনএর ভূমিকা আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।   আরটিভি/আরএ-টি  
আমেরিকার নির্বাচনে আক্রমণের চক্রান্তে গ্রেপ্তার ১
ওকলাহোমা থেকে ২৭ বছরের এক আফগান নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার সঙ্গে এক নাবালককেও আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আগামী ৫ নভেম্বর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ভোটের দিন সেখানে আক্রমণের ছক কষা হয়েছে বলে এফবিআই-এর কাছে আগেই খবর ছিল বলে দাবি। তারই তদন্তে নেমে এফবিআই এক আফগান নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানানো হয়েছে। তার সঙ্গে এক নাবালক সহযোগীকেও আটক করা হয়েছে বলে এফবিআই সূত্র জানিয়েছে। এফবিআই জানিয়েছে, ইসলামিক স্টেটের জন্য জন্য অস্ত্র কেনার দায়িত্ব ছিল ওই ব্যক্তির উপর। এফবিআই জানিয়েছে ধৃত নাসির এবং ইসলামিক স্টেটের এক ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথন ইন্টারসেপ্ট করা হয়। এরপর সেই সূত্র ধরেই নাসিরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে এফবিআই। এফবিআই-এর এক আন্ডারকভার এজেন্টের কাছেই অস্ত্র কিনতে যায় নাসির এবং তার নাবালক সহযোগী। তারা দুটি একে ৪৭ রাইফেল এবং প্রচুর গুলি কিনতে চেয়েছিল। এভাবেই তাদের হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় বলে এফবিআই জানিয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, জেরায় নাসির জানিয়েছে, পরিকল্পনা ছিল, নির্বাচনের দিন বড় জমায়েতে তারা গুলি চালাবে। প্রয়োজনে নিজেরাও মরবে। নাসিরের সহযোগী যেহেতু নাবালক, তা-ই তার বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এফবিআই জানিয়েছে, ২০২১ সালে বিশেষ ভিসায় নাসির আফগানিস্তান থেকে আমেরিকায় এসেছে। এই বিশেষ ভিসা দেওয়া হয় তাদের, যারা আফগানিস্তানে সেনাবাহিনীতে কাজ করেছে অথবা আমেরিকার সেনার দোভাষী হিসেবে কাজ করেছে।ৎ নাসির দোভাষী ছিল কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। মার্কিন গোয়েন্দাদের বক্তব্য, আমেরিকার নির্বাচনে নাশকতার ছক এখনো কষা হচ্ছে। ছোট ছোট গোষ্ঠী এই কাজ করছে বলে তারা মনে করছে। নাসিরের কাছ থেকে আরো তথ্য মিলবে বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। আরটিভি/এএইচ
ভারতে বসে শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র
ভারতের সাথে প্রায়ই বাংলাদেশ ইস্যু আলোচনায় থাকে বলে জানিয়েছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন ভারতে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোন আলোচনা হয়েছে কিনা? সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমি আপনাকে বলতে পারি, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক চলাকালে আঞ্চলিক ইস্যুতে কথা বলার সময় প্রায়শই বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠে আসে। এর বাইরে এই ইস্যুতে সুনির্দিষ্টভাবে বলার মতো কিছু আমার কাছে নেই।’ বাংলাদেশের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কীভাবে এগিয়ে নিতে চাচ্ছে সে বিষয়ে মিলারের কাছে জানতে চান ওই সাংবাদিক। জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র, নিরাপত্তা ও রোহিঙ্গা শরণার্থীর মতো চ্যালেঞ্জগুলোকে সামনে রেখে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সাথে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন এবং এই সমস্ত বিষয়ে অগ্রগতি অব্যাহত রাখার জন্য আমরা উন্মুখ।’ আরটিভি/এসএপি-টি
১০০ বছরের সবচেয়ে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় হতে পারে ‘মিল্টন’
গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী ঝড় হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’। এটি স্থানীয় সময় বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আঘাত হানতে পারে।  এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বর্তমানে ‘মিল্টন’ অঙ্গরাজ্যটির টম্পা থেকে ৫২০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এরই মধ্যে এটি ক্যাটাগরি ৫ মাত্রায় ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিয়েছে। মানুষ যেন এটির শক্তি বুঝতে পারে এ জন্য বিভিন্ন সতর্কতা দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, মিল্টনের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ১০ থেকে ১৫ ফুট উঁচু ঢেউয়ের সৃষ্টি হতে পারে। এর প্রভাবে ফ্লোরিডার মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে। সর্বশেষ এটি ক্যাটাগরি ৫ এ পৌঁছেছে। ঝড়টি মেক্সিকো উপসাগর হয়ে ফ্লোরিডায় আঘাত হানবে। যদি ঝড়টির গতিপথ একই রকম থাকে, এটি হবে গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী। মিল্টন এখনো ফ্লোরিডা উপকূলের জন্য বিপর্যয়কর ঝুঁকি হিসেবে অবস্থান করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মানুষকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘মিল্টন গত ১০০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াবহ ঝড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি ফ্লোরিডাবাসীদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এটি এখন জীবন-মৃত্যুর বিষয়।’ এদিকে ফ্লোরিডার টম্পার মেয়র জেন ক্যাস্টর পশ্চিম উপকূলের সব মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে রাস্তায় ব্যাপক যানজট দেখা দেয়। এরপরও যারা যাচ্ছেন না তাদেরকে মেয়র জেন ক্যাস্টর বলেছেন, ‘আপনারা যদি নির্দেশনা অনুযায়ী সরে না যান, তাহলে আপনারা নিশ্চিতভাবে মারা যাবেন। মানুষকে সরে যেতে হবে। সত্যি বলতে, আমি আমার জীবনে এমন কিছু আগে কখনো দেখিনি।’ আরটিভি/এসএপি