• ঢাকা বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১
logo
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হচ্ছে ১৮ হাজার ভারতীয় নাগরিককে  
যুক্তরাষ্ট্রের সব বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি বন্ধ করলেন ট্রাম্প
আগামী ৯০ দিনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি বন্ধ ঘোষণা করেছেন সদ্য শপথ নেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ নেওয়ার পর নির্বাহী এক আদেশ জারির মাধ্যমে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। তবে বৈদেশিক সহায়তা বন্ধের আদেশ মার্কিন তহবিলের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে সেটি পরিষ্কার নয়। কারণ দেশটির অনেক কর্মসূচি এরই মধ্যে মার্কিন কংগ্রেসে তহবিল বরাদ্দ পেয়েছে। আর এসব অর্থ এরই মধ্যে বিতরণ অথবা ব্যয় করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার মার্কিন ক্যাপিটল ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ট্রাম্প। শপথ নেওয়ার পর নির্বাহী আদেশে সই করার ঝড় বইয়ে দেন তিনি। মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, পুনরায় পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ, বিদেশি পণ্যের আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধিসহ কয়েক ডজন নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের পররাষ্ট্রনীতির উদ্দেশ্যগুলোর সঙ্গে একেবারে মিল না থাকলে যুক্তরাষ্ট্র কোনো বৈদেশিক সহায়তা দেবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে গত সপ্তাহে সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক কমিটিতে শুনানির সময় দেশটির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও তিনটি মূল প্রশ্ন সামনে রেখে কর্মসূচির ন্যায্যতা দেওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছিলেন। মার্কো রুবিওর তিনটি প্রশ্ন ছিল, এই সহায়তা কর্মসূচি কি যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ করে তোলে? এটি কি যুক্তরাষ্ট্রকে আরও শক্তিশালী করে তোলে? এটি কি যুক্তরাষ্ট্রকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করে তোলে? রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল (কেন্দ্রীয়) বাজেটের প্রায় এক শতাংশই যায় বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি তহবিলে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ধারাবাহিকভাবে এই বিদেশি সহায়তার সমালোচনা করছেন। যদিও রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধে কিয়েভে বিশাল পরিমাণের সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে ইউক্রেনকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো সহায়তার পরিমাণ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। এর আগে বাইডেন প্রশাসনের সাম্প্রতিক বৈদেশিক সহায়তা বিষয়ক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলে দুর্যোগ ত্রাণ, স্বাস্থ্য ও গণতন্ত্রপন্থি উদ্যোগসহ বিভিন্ন খাতে মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচির জন্য ৬ হাজার ৮০০ কোটি ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মার্কিন এই সহায়তার প্রধান প্রাপক ইসরায়েল বার্ষিক ৩৩০ কোটি ডলার, মিশর বার্ষিক দেড় ১৫০ কোটি ডলার ও জর্ডান বার্ষিক ১৭০ কোটি ডলার পায়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এসব দেশের দীর্ঘস্থায়ী চুক্তির কারণে এই সহায়তায় উল্লেখযোগ্য কোনো কাটছাঁট ট্রাম্প করবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। আরটিভি/কেএইচ
উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু নয়: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ সুবিধা বাতিল
প্রথম সামাজিক অনুষ্ঠানে মেলানিয়াকে নিয়ে নাচলেন ট্রাম্প
শপথ নিয়েই জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব বাতিল করলেন ট্রাম্প
দায়িত্ব নিয়েই বাইডেন আমলের ৭৮ নির্বাহী আদেশ বাতিল ট্রাম্পের
দায়িত্ব নিয়েই একগুচ্ছ নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জো বাইডেনের শাসনামলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র নাম প্রত্যাহার করেন নিয়েছেন প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে। ফেডারেল সরকারের বেশ কিছু নীতিমালায় পরিবর্তন ও মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত একটি আদেশেও সই করেছেন তিনি। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল অ্যারেনায় সমর্থকদের সামনেই এই পদক্ষেপ নেন। পরে ওভাল অফিসে ফিরে আরও কিছু নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে একটি হলো, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা। জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব ইস্যুতেও একটি আদেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলায় অভিযুক্ত দেড় হাজার মানুষকে সাধারণ ক্ষমা করেছেন। এর আগে, ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে শপথ পাঠ করান যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। এ সময় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তার স্ত্রী জিল বাইডেনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সবার উপস্থিতিতে ধর্মীয় গ্রন্থ বাইবেলের ওপর হাত রেখে শপথ পাঠ করেন ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প।  এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলেন ট্রাম্প। এর আগে ২০১৭ সালে ক্যাপিটল ভবনের পাশে ন্যাশনাল মলে বিপুল আয়োজনে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার বাদ সাধে তীব্র ঠান্ডা আবহাওয়া। সে কারণেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে। ৪০ বছর আগে ১৯৮৫ সালে একই কারণে ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে শপথ নিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান। আরটিভি/এএ/এস 
যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় লিঙ্গকে স্বীকৃতি দেবে না ট্রাম্প প্রশাসন!
যুক্তরাষ্ট্রে এখন থেকে তৃতীয় লিঙ্গের পরিচয় বহনকারী কাউকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (২০ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় এ ইঙ্গিত দেন তিনি। কথা বলার এক পর্যায়ে ট্রান্সজেন্ডার প্রসঙ্গটি এলে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আজকে, এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের আনুষ্ঠানিক নীতি হবে যে এখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) শুধুমাত্র দুই লিঙ্গের মানুষ আছেন— নারী ও পুরুষ। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রে এখন থেকে লিঙ্গ হিসেবে শুধুমাত্র নারী ও পুরুষকে স্বীকৃতি দেবে নতুন ট্রাম্প প্রশাসন।   ২০২২ সালে মার্কিনিদের পাসপোর্টে ট্রান্সজেন্ডারদের লিঙ্গ হিসেবে ‘এক্স’ লেখার সুযোগ দিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাম্প এবার তার নির্বাহী আদেশে লিঙ্গ হিসেবে শুধুমাত্র নারী ও পুরুষকে স্বীকৃতি দিলে; এই সুবিধা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনটা ঘটলে ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য যেসব সরকারি কার্যক্রম রয়েছে, সেগুলোতেও অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাবে। গত বছরই নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় ট্রাম্প জানিয়ে রেখেছিলেন, নারীদের খেলায় ট্রান্সজেন্ডারদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করবেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের অ্যাথলেটরা সাধারণত নারীদের ইভেন্টে অংশ নিয়ে থাকেন। আরটিভি/এসএইচএম  
ইউক্রেন যুদ্ধ ও পারমাণবিক অস্ত্র ইস্যুতে ট্রাম্পকে আলোচনার প্রস্তাব পুতিনের
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন মসনদে বসার আগেই তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সময় ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পারমাণবিক অস্ত্র ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।  সোমবার (২০ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে পুতিন বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এবং তার দলের সদস্যদের রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ পুনরুদ্ধারের ইচ্ছার বিষয়ে বক্তব্য শুনতে পাই। আমরা অবশ্যই এই মনোভাবকে স্বাগত জানাই এবং যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অফিসে যোগদানের জন্য অভিনন্দন জানাই। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলোর বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত, যার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য পারমাণবিক অস্ত্র এবং ইউক্রেনের সংঘাত। ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করতে ট্রাম্পের মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাশিয়ার অধিগ্রহণ ও দাবি গ্রহণ করতে হবে। পুতিন আরও বলেন, ইউক্রেনের পরিস্থিতির সমাধানের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতি যথেষ্ট নয়, বরং একটি দীর্ঘমেয়াদী শান্তিই লক্ষ্য হওয়া উচিত, যা ওই অঞ্চলে বসবাসকারী সব মানুষ ও জাতির বৈধ স্বার্থের প্রতি সম্মান বজায় রাখবে। রুশ প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যে আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং আরও বিস্তৃত নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত মস্কো। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যকার নতুন কৌশলগত অস্ত্র হ্রাস চুক্তির (নিউ স্টার্ট) মেয়াদ ২০২৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়ে যাবে। বিশ্বের দুই বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের শেষ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত এই চুক্তি। এর বলেই দুই দেশের কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা সীমাবদ্ধ আছে এবং স্থল ও সাবমেরিন-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা সরবরাহের বিষয়েও নিয়ন্ত্রণ বজায় আছে।  আরটিভি/এসএইচএম  
হোয়াইট হাউস ছাড়ছি, লড়াই নয়: বাইডেন
হোয়াইট হাউস ছাড়লেও লড়াই জারি রাখার ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বিদায় নিলেন জো বাইডেন।   সোমবার (২০ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক বক্তৃতার পর বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, অফিস ছেড়ে যাচ্ছি, লড়াই নয়; আমাদের এখনো অনেক কিছু করার বাকি আছে।  হোয়াইট হাউস ছাড়ার সময় নিজের সমর্থকদের উদ্দেশে বাইডেন বলেন, ট্রাম্পের অভিষেক বক্তৃতাটি শুনেছি। কোনো প্রেসিডেন্ট ইতিহাসে প্রবেশের মুহূর্ত বেছে নিতে পারে না। কিন্তু তারা যে দলের সঙ্গে এটি করতে চান, তা বেছে নিতে পারেন। এবং আমরা বিশ্বের সেরা দলটি বেছে নিয়েছি। এ সময় তিনি নিজেই নিজেকে আশীর্বাদ করে উপস্থিত সহযোগীদের হাসানোর চেষ্টা করেন। স্ত্রী জিল বাইডেনের সঙ্গে দাঁড়িয়ে দল ও সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ৮২ বছর বয়সী এ নেতা বলেন, আপনাদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি সম্মানিত। আমার কথা মনে রাখবেন। ভবিষ্যৎ বিচার করবে, আপনারা যা করেছেন তা সব আমেরিকার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদানগুলোর মধ্যে একটি। এরপর বাইডেন এবং জিল বাইডেন একসঙ্গে টার্ম্যাক পার হয়ে বিশেষ প্লেনে ক্যালিফোর্নিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। আরটিভি/এসএইচএম  
মসনদে বসেই মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা ট্রাম্পের
প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন হতেই মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেইসঙ্গে আরও বেশ কিছু নির্বাহী আদেশও জারি করতে যাচ্ছেন মার্কিনীদের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট। সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ গ্রহণের দিনটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘মুক্তির দিন’ বলে বর্ণনা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।  তিনি বলেছেন, অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেইসঙ্গে যে ‘লাখ লাখ অপরাধী’ অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে, তারা যেখান থেকে এসেছে, সেখানে ফেরত পাঠানো হবে। এছাড়া, ট্রাম্পের রিমেইন ইন মেক্সিকো বা ‘মেক্সিকোতেই থাকো’ নীতি ফের কার্যকর করা হবে। সীমান্ত এলাকায় আরও সৈনিক ও জনবল পাঠানো হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। মাদক চক্র বা কার্টেলগুলোকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করা হবে ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশে। ‘এলিয়েনস এনিমিস অ্যাক্ট অব ১৭৯৮’ পুনর্বহাল করা হবে, যাতে কেন্দ্রীয় ও অঙ্গরাজ্যগুলো ‘যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বিদেশি গ্যাংগুলো’ দমনে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে পারে। আরটিভি/এসএইচএম  
ভুলেই শুরু ট্রাম্পের!  
ভুলভাল কথা বলার অভ্যাস থেকে যেন আর বের হতে পারলেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প! যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর দেওয়া প্রথম ভাষণেই দিলেন ভুল তথ্য। এদিন ট্রাম্প দাবি করেছেন, পানামা খাল নাকি চীন পরিচালনা করে। মার্কিনীদের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি একটি ‘বেকার উপহার’, যা পানামাকে কখনোই দেওয়া উচিত ছিল না। ট্রাম্প দাবি করেন, চীন পানামা খাল পরিচালনা করছে। আমরা এটি চীনের কাছে দেইনি। আমরা এটি পুনরুদ্ধার করছি। এই মন্তব্যের সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বাস দেখা যায় তার সমর্থকদের মধ্যে। এ সময় দর্শক সারিতে অনেকটা নীরব হয়ে বসেছিলেন বাইডেন এবং কমলা হ্যারিস। সম্প্রতি ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন, পানামা খাল দিয়ে মার্কিন জাহাজ চলাচলে ‘অন্যায্য ফি’ নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে তিনি হুমকি দেন, খালটির নিয়ন্ত্রণ ফের ওয়াশিংটনের হাতে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনে সামরিক শক্তি ব্যবহার করবেন। বিশ্ব বাণিজ্যের প্রায় পাঁচ শতাংশ পরিবহনকারী পানামা খালটি ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়। ১৯৭৭ সালে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় খালটি পানামার হাতে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং ১৯৯৯ সালে পানামা এর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ এই খালের প্রধান ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং চিলি। তবে, পানামার নেতারা ট্রাম্পের মন্তব্যকে উড়িয়ে দিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, পানামাবাসী বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করতে পারেন, তবে খাল এবং সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা একত্রিত। আরটিভি/এসএইচএম  
ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে বিমর্ষ বসেছিলেন বাইডেন-কমলা
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে অন্য অনেকের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সঙ্গে ছিলেন এবারের  নির্বাচনে পরাজিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসও।  সোমবার (২০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় ১১টার দিকে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণকালে অন্যান্য অতিথিদের পাশাপাশি বিশেষ নজর ছিল তাদের ওপরও।  হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের দিনটিতে বেশ মনমরা দেখাচ্ছিল দুজনকেই।  শপথ শেষে নিজের প্রথম ভাষণে বাইডেনের সামনেই তার প্রশাসনের নীতি ও বিভিন্ন পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেন ট্রাম্প। সেইসঙ্গে ঘোষণা করেন, শিগগিরই বিগত প্রসাশনের সব নীতি বদলে দিতে যাচ্ছেন তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এই মুহূর্ত থেকে আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হচ্ছে। আজ থেকে আমাদের দেশ সমৃদ্ধ এবং সম্মানিত হবে। আমি খুব সহজভাবে আমেরিকাকে প্রথম স্থানে রাখবো। বিচার বিভাগকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার বন্ধ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মার্কিন বিচার বিভাগের বর্বর, সহিংস এবং অন্যায় অস্ত্রায়ন’-এর অবসান ঘটানো হবে এবং দেশকে একটি গর্বিত, সমৃদ্ধ এবং মুক্ত জাতিতে পরিণত করা হবে। বিচারের ভারসাম্য পুনর্বিন্যাসিত হবে। বাইডেন প্রশাসন এবং তাদের অভিবাসী সংকট মোকাবিলার কড়া সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘অযৌক্তিক ও দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিশ্বাস সংকটের’ মুখোমুখি হচ্ছে। আগের প্রশাসন ‘বিপজ্জনক অপরাধীদের’ নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা প্রদান করেছে যারা আমেরিকায় অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে। আমাদের একটি সরকার রয়েছে, যা একটি সাধারণ সংকটও পরিচালনা করতে পারে না। জনগণকে তাদের বিশ্বাস, তাদের সম্পদ, তাদের গণতন্ত্র এবং তাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করে এরপর তিনি বলেন, এই মুহূর্ত থেকে আমেরিকার পতন শেষ। দেশজুড়ে পরিবর্তনের জোয়ার বইছে। সূর্যালোক এখন গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে এবং আমেরিকার জন্য এই সুযোগটি কাজে লাগানোর সময় এসে গেছে। হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনের এ ভাষণে নর্থ ক্যারোলিনার হারিকেন এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের আগুন নিয়েও কথা বলেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে একটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রয়েছে, যা দুর্যোগের সময়ে সঠিকভাবে কাজ করে না। দেশটির শিক্ষা ব্যবস্থায় শিশুদের নিজেদের লজ্জিত হতে শেখানো হয়। এগুলো সবই আজ থেকেই পরিবর্তিত হবে এবং খুব দ্রুত পরিবর্তিত হবে। নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকারের মধ্যে থাকবে একটি গর্বিত, সমৃদ্ধ এবং স্বাধীন জাতি তৈরি করা। আরটিভি/এসএইচএম