সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) নতুন সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু করেছে। দীর্ঘদিনের প্রচলিত সিলেবাসে পরিবর্তন আনার কারণ এবং নতুন সিলেবাসে কী থাকবে—এগুলো নিয়ে জানতে চেষ্টা করছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।
পিএসসির চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম জানান, ৪৯তম বিসিএস থেকে একটি যুগোপযোগী সিলেবাস চালু করা হবে। নতুন সিলেবাস এমনভাবে তৈরি করা হবে, যাতে প্রার্থীরা বিশ্বের যেকোনো দেশে নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করতে পারেন। পিএসসি আরও শিক্ষার্থীবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে।
পিএসসির একাধিক সূত্র জানায়, নতুন সিলেবাস চাকরিপ্রার্থীদের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে তৈরি হবে। বর্তমানে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা দেয়ার জন্য প্রার্থীদের বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়, যার মধ্যে সরকারি চাকরির সিলেবাস একরকম, আবার বেসরকারি চাকরির সিলেবাস ভিন্ন ধরনের হয়। পিএসসি এসব বিষয় বিশ্লেষণ করে এমন একটি সিলেবাস তৈরির চিন্তা করছে, যা সকল চাকরিপ্রার্থীকে যোগ্য করে তুলবে। নতুন সিলেবাসে এমনভাবে প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করা হবে যাতে প্রার্থীরা শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে, বিশেষত বিদেশে চাকরি গ্রহণের ক্ষেত্রে আরও বেশি সক্ষম হতে পারেন।
পিএসসির সদস্য মো. নাজমুল আমীন মজুমদার বলেন, “আমরা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো—যেমন ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং সিঙ্গাপুরের চাকরির পরীক্ষার সিলেবাস নিয়ে গবেষণা করছি। এসব দেশের সিলেবাসের সঙ্গে মিলিয়ে নতুন সিলেবাস তৈরি করা হচ্ছে। এতে মুখস্থ করার বিষয়গুলো কম থাকবে এবং প্রার্থীরা যেন গ্লোবাল ক্যান্ডিডেট হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে পারেন, সে অনুযায়ী সিলেবাস সাজানো হচ্ছে।”
পিএসসির আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, ৪৯তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে, তবে সিলেবাসের বিষয়গুলোতে পরিবর্তন আসবে।
আরটিভি/জেএম