বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবেন যে খাবারগুলো
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অনেকের বাতের ব্যথা দেখা দেয়। এর পেছনে প্রতিদিনের জীবনযাপন কিছুটা হলেও দায়ী। তবে বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখাও বেশ সহজ। এর জন্য কিছু শাকের ওপর ভরসা রাখুন। বাতের ব্যথা কমাতে এই শাকগুলো বেশ উপকারী। সহজেই পাওয়া যায়, এই শাকগুলো কমবেশি প্রতিদিন খাবারের তালিকায় থাকলে ব্যথা আর কাবু করতে পারবে না।
বাতের ব্যথায় উপকারী শাকগুলোর নাম জেনেন নিন—
পাট শাক: এই শাক নানা গুণে ভরপুর। লাইকোপেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর বলে এটি কোশের ক্ষতি আটকায়। একই সঙ্গে পাট শাক বাতের ব্যথা কমায়। এর ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম উপাদান হাড় মজবুত করে। খেয়াল রাখে জয়েন্টের।
ব্রাহ্মী শাক: পাট শাকের মতোই আরেকটি উপকারী শাক হলো ব্রাহ্মী শাক। অনেকের ধারণা, বুদ্ধির ধার বাড়াতে এই শাক খাওয়া উচিত। কিন্তু এর বাইরেও বেশ কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে ব্রাহ্মী শাকের। যেমন বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখে এই শাক।
পালং শাক: প্রথমেই যে শাকের কথা বলা জরুরি, সেটি হল পালং শাক। পালং শাকে কেম্পফেরল নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই বিশেষ উপাদানটি বাতের ব্যথা থেকে দ্রুত রেহাই দেয়।
শাক ছাড়া আর যে যে সবজিতে উপকার পাবেন—
শাক ছাড়া বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কয়েকটি সবজি। এগুলি কমবেশি প্রতিদিন নিয়ম করে খেলে আর যন্ত্রণায় ভুগতে হবে না। কী কী সবজি রয়েছে সেই তালিকায় জেনে নিন।
ব্রকলি: প্রদাহনাশী বা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে ব্রকলির মধ্যেও। সালফোরাফেনের মূল উপাদান। এই উপাদানটি প্রদাহ তৈরি করে এমন যৌগগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। যার জেরে বাতের ব্যথার থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যায়।
রসুন: আদার মতোই রান্নার আরেকটি অপরিহার্য উপকরণ হল রসুন। রসুনের মধ্যে রয়েছে ডাইঅ্যালিল ডাইসালফাইডের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান। এটি প্রোইনফ্লেমেটরি সাইটোকাইনের প্রভাবকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এর ফলে বাতের ব্যথার থেকে সহজে রেহাই মেলে।
আদা: আদা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। একই সঙ্গে এর মধ্যে শক্তিশালী প্রদাহনাশী বা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। জয়েন্টের ব্যথা আদতে ইনফ্লেমেশন। তাই আদা খেলে জয়েন্টের ব্যথা থেকে অনেকটাই রেহাই পাবেন।
মন্তব্য করুন