গরম খাবারের স্বাদ, গন্ধ ও তৃপ্তি যে কোনো সময়ের খাবারকে করে তোলে উপভোগ্য। কিন্তু ঠান্ডা খাবারে সেই স্বাদ বা আরাম কোনোভাবেই পাওয়া যায় না। শুধু তাই নয়, ঠান্ডা খাবার খাওয়ার ফলে শরীরের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনবরত ঠান্ডা খাবার খেলে পেটে গ্যাস, ব্লোটিং, অস্বস্তি ও হজমের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে কিছু নির্দিষ্ট খাবার আছে, যেগুলো কখনোই ঠান্ডা খাওয়া উচিত নয়।
চলুন জেনে নিই এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে, যেগুলো গরম গরম খাওয়াই সবচেয়ে ভালো—
পিৎজা
পিৎজা ঠান্ডা হয়ে গেলে তার স্বাদ যেমন নষ্ট হয়, তেমনি হজম করাও কঠিন হয়ে পড়ে। পিৎজায় চিজ ও বিভিন্ন টপিং ঠাণ্ডা অবস্থায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। তাই পিৎজা অবশ্যই গরম খাওয়া উত্তম।
পাস্তা
পাস্তা ঠান্ডা হলে এতে থাকা চিজ, সস ও স্টার্চ জমে যায় এবং খেতে বিরক্তিকর লাগে। তাছাড়া ঠান্ডা পাস্তা হজম করাও কঠিন।
ভাত
ঠান্ডা ভাতে ব্যাকটেরিয়া জমে খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে। অনেক সময় এতে পেটের ইনফেকশনও হয়। বিশেষ করে ফ্রিজ থেকে বের করা ভাত ঠিকমতো গরম না করে খেলে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
ভাজা খাবার
সিঙ্গারা, পাকোড়া, চিকেন ফ্রাই বা যেকোনো ধরনের তেলেভাজা খাবার ঠান্ডা হলে মুচমুচে ভাব হারিয়ে নরম হয়ে যায় এবং স্বাদেও পরিবর্তন আসে। এ ছাড়া ঠান্ডা তেলেভাজা খাবার হজম করাও কঠিন।
ডিমের তৈরি খাবার
ডিমের কারি, ডিমের ঝুরো বা ডিম দিয়ে তৈরি যেকোনো খাবার ঠান্ডা হয়ে গেলে তা রাবারের মতো হয়ে যায়। এতে খাবারের গুণমান ও পুষ্টিগুণও কমে যায়।
শরীরের সুস্থতার জন্য খাবার যেমন পুষ্টিকর হওয়া প্রয়োজন, তেমনি তা পরিবেশন ও খাওয়ার সময় গরম থাকা গুরুত্বপূর্ণ। ঠান্ডা খাবার খাওয়ার আগে ভাবুন, আপনার স্বাস্থ্যই আপনার সেরা সম্পদ।
আরটিভি/জেএম