নাজমুল সাঈদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ক্র্যাবের নিন্দা ও প্রতিবাদ
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সদস্য ও ইন্ডিপেডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার নাজমুল সাঈদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ক্র্যাব।
একজন পেশাদার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এই ধরণের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বানোয়াট মামলা হওয়ায় ক্র্যাব এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
ক্র্যাবের এই সদস্যকে কোন ধরনের হয়রানি যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না করেন তার অনুরোধ জানিয়ে ক্র্যাব।
ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, এই মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে নাজমুল সাঈদকে হয়রানি করা যাবে না। ক্র্যাব দ্রুত এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।
নাজমুল সাঈদ জানান, হাতবাড়ালে কীভাবে মাদকের দেখা মেলে তার একটি বাস্তব দৃশ্য ধারণে অনুসন্ধানে যায় টিম তালাশ। অনুসন্ধানের স্বার্থে নগদ টাকা দিয়ে হোটেল রুম বুক করা হয়। গোপন ক্যামেরায় সব ধারণও করে তালাশ।
পরে পরিচয় দিয়ে রিসোর্ট মালিকের বক্তব্য নিতে গেলে ক্ষেপে যান মালিক নোমানুল হক সাজিম। এক পর্যায়ে তালাশ টিমের উপর হামলা ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। ঘিরে ফেলে সাজিম বাহিনীর সদস্যরা।
এরপর তালাশ টিমকে ভুয়া প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে সাজিম। তার মাসিক মাসোহারা ভুক্ত ভুয়া সাংবাদিকদের দিয়ে শুরু করেন অপপ্রচার। বাকবিতণ্ডার একটি খন্ডিত অংশ দিয়ে তারা অপকর্ম ঢাকার মিশনে নেমে পড়েন।
ইয়াবা ব্যবসাী সাজিমের মদদপুষ্ট স্থানীয় একটি পত্রিকাসহ বেশকিছু ভুঁইফোড় অনলাইনে মিথ্যা খবর প্রকাশ করতে থাকে একেরপর এক। অথচ, পুরো ঘটনা উল্টো।
তিনি বলেন, ঘটনার পর জানা যায়, সাজিম ও তার পরিবার মিলে শহর জুড়ে গড়ে তুলেছেন অপরাধের সম্রাজ্য। সাজিমসহ তার পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে, ইয়াবা, ছিনতাই, চুরি, দখলসহ নানা অপরাধে ১৮টিরও বেশি মামলা রয়েছে।
সাজিম এর আগেও বিভিন্ন অপরাধের কারণে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। কক্সবাজারের চিহ্নিত অপরাধীর তালিকাতেও রয়েছে তার নাম।
এসব মাদকের বিরুদ্ধে নিউজ প্রকাশ করায় চট্টগ্রাম আদালতে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে আর কক্সবাজার আদালতে মানহানির মামলা করা হয়েছে নাজমুল সাঈদের বিরুদ্ধে।
ক্র্যাব এই মিথ্যা মামলা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এবং নাজমুল সাঈদকে কোন ধরনের হয়রানি না করার অনুরোধ জানান ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন