শীতে এশা ও ফজরের নামাজের ফজিলত
দেশে ইতোমধ্যে শীত পড়া শুরু হয়েছে। কয়দিন পর থেকে শীতের প্রকোপ আরও বাড়বে। তবে আল্লাহর প্রকৃত বান্দাদের জন্য শীতকাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ইসলামে এ সময়টিকে ইবাদতের জন্য উপযুক্ত মওসুম বলা হয়েছে।
শীতে এশা ও ফজরের নামাজ আদায় করাকে খুবই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি দুই ঠাণ্ডার সময়ের নামাজ আদায় করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। দুই ঠাণ্ডার সময়ের নামাজ বলতে এখানে এশা আর ফজরকে বোঝানো হয়েছে।
শীতে এশা ও ফজরের নামাজের ফজিলত
রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, আমি কি তোমাদের এমন বিষয়ের সংবাদ দেব না, যার মাধ্যমে আল্লাহ তোমাদের গুনাহগুলো মুছে দেবেন এবং (আল্লাহর নিকট) তোমাদের মর্যাদা ও সম্মান বৃদ্ধি করবেন? সাহাবায়ে কেরাম বললেন, অবশ্যই হে আল্লাহর রাসুল! নবী (স.) তখন বলেন, (শীত বা অন্যকোনো) কষ্টকর মুহূর্তে ভালোভাবে অজু করা। (সহিহ মুসলিম: ২৫১)
আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জামাতের সঙ্গে এশার নামাজ আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত (নফল) নামাজ আদায় করল। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করল সে যেন সারা রাত জেগে নামাজ আদায় করল।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৩৭৭)
অন্য হাদিসে রাসুল (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুই ঠাণ্ডার সময়ের নামাজ আদায় করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (বুখারি: ৫৭৪)
হাদিসে দুই ঠান্ডার নামাজ বলতে উদ্দেশ্য হলো- এশা ও ফজর। হাদিসে দেখা যাচ্ছে, শুধু শীত বা ঠাণ্ডার কারণে ফজর ও এশার নামাজের সওয়াব ও ফজিলত বহুগুণে বেড়ে যায়।
আরটিভি/এফএ/এআর
মন্তব্য করুন