এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের তৃতীয় হিফজ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত
এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের তৃতীয় হিফজ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টায় ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশ থেকে অনেকেই যুক্ত হন। স্কুলের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করা হয়।
সমাবর্তনে পুরস্কার দেয়া হয় মোট ৯ জন শিক্ষার্থীকে। তারা হলো আদিবা আয়েশা সুহা, মালিহা জুয়াইরিয়া, আবদুল্লাহ ইবন আফজাল, আইশাহ বিনতে শাফকাত, জেবাদিয়া বিনতে আলম, মাহদিয়া পাটওয়ারী, সালিম চিশতী, মো. মোস্তাসিউর রহমান ও মোদাচ্ছির আজিম কাসিফ।
অনুষ্ঠানে স্কুলের চেয়ারম্যান খান মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান বলেন, ‘যে কয়টি স্কুল সরকারের সহযোগিতার মাধ্যমে করোনাকালে সফলভাবে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছে, এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল সেগুলোর অন্যতম। আমাদের তিনটি শাখায় ১৪০০ ছাত্রছাত্রী এখন অনলাইন প্লাটফর্মে যুক্ত আছে।’
স্কুলের কার্যক্রম ও অগ্রযাত্রা নিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষাক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন পূরণে নিরলসভাবে কাজ করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরাও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও আদর্শকে বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠা করেছি এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে পিতার অনেক কিছুই বাস্তবায়নে সচেষ্ট। যেমন—স্কুলগুলোতে মিড ডে চালু করা, প্রাইমারি পর্যন্ত শিক্ষাকে অবৈতনিক করা। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা নির্ধারণ করা। এগুলো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। কন্যা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন ও আদর্শগুলোকেই পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন। এ ক্ষেত্রে আমাদেরও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করতে হবে। আমাদের জাতীয়তা বোধে উদ্বুদ্ধ হতে হবে।’
হিফজ সমাবর্তনে বক্তব্য দিতে গিয়ে স্কুলের প্রধান নির্বাহী ও হেড অব স্কুল মোহাম্মদ আনিসুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘এভেরোজের প্রথম হিফজ কনভোকেশনে আমরা একজনকে অ্যায়ার্ড দিয়েছিলাম। এবারের তৃতীয় কনভোকেশনে অ্যায়ার্ড দিতে পারছি মোট ৯ জন শিক্ষার্থীকে। তাদের মধ্যে দুই শিক্ষার্থীর বয়স মাত্র ৮ বছর করে। অ্যায়ার্ড পাওয়া প্রত্যেক শিক্ষার্থী তাদের ক্লাসে সবচেয়ে মেধাবী। আমরা তাদের ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা করছি। আশা করছি, আগামী কনভোকেশনে অ্যায়ার্ড পাওয়া এই শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ বা তার অধিক হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলাম ও ইসলামী শিক্ষার প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। তার আন্তরিকতার কারণেই স্বতন্ত্র আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি, মাদ্রাসা শিক্ষকদের বৈষম্য দূর করা সম্ভব হয়েছে। তিনি ইসলামী ধারার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে মূলধারার সঙ্গে একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এতে ইসলামী শিক্ষার প্রতি মানুষের ভুল ধারণা যেমন ভাঙবে, তেমনি ইসলামী ধারার সঙ্গে জড়িতদের সামাজিক মর্যাদা ও জীবনযাত্রার মান বাড়বে। বিশ্বনেত্রীর শিক্ষা উদ্যোগের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেই এভেরোজের যাত্রা শুরু হয়েছিল এবং পরপর দুই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা “ও” লেভেল পরীক্ষায় শতভাগ পাস করেছে ও আটজন শিক্ষার্থী ডেইলি স্টার ও পিয়ারসন অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনিত হয়েছে।’
ইসলামিক রিলিফের যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর মারিয়াম মাসুদ সমাবর্তনে বক্তব্য দেয়। আরও বক্তব্য দেন এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের হেড অব ফাইন্যান্স গোলাম মোস্তফাসহ দেশ-বিদেশ থেকে অনেকেই।
ওয়াই
মন্তব্য করুন