সম্রাট নেপোলিয়নের পর ফ্রান্সের সর্বকনিষ্ঠ শাসক এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। মাত্র ৩৯ বছর বয়সে বসলেন দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার আসনে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর অনেকের ধারণা ছিল প্রবীণ কাউকে বেছে নেবেন তার সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। কিন্তু সেটা না করে ৪৬ বছর বয়সী ডুয়ার্ড ফিলিপেই আস্থা রাখলেন তিনি।
ম্যাক্রোঁর নতুন রাজনৈতিক দলের সদস্য না হলেও নিজের কাছাকাছি বয়সের মধ্য-ডানপন্থী রাজনীতিক ফিলিপকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দিলেন। কিন্তু তাদের দু’ জনের কারোই সরাসরি সরকার পরিচালনার তেমন অভিজ্ঞতা নেই। মূলত এর মধ্য দিয়ে ডান ও বামপন্থীদের সমন্বয়ে নতুন সরকার গঠনের প্রয়াস স্পষ্ট করলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
শপথ নেয়ার দিন বলেছিলেন সোমবারের মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবেন। নিজের কথা রাখলেন ম্যাক্রোঁ। প্রথম পূর্ণ কার্যদিবসের ব্যস্ততার মাঝেই ডুয়ার্ড ফিলিপকে মনোনয়ন দিলেন।
নতুন প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলীয় বন্দর শহর লি হাভ্রের বর্তমান মেয়র। প্রেসিডেন্ট পদে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী অ্যালাইঁ জুপের ডানহাত হিসেবে পরিচিত। মেয়র হওয়ার আগে বেসরকারি খাতে কাজ করতেন এই রাজনীতিক।
শপথের আগে এক টুইটে ম্যাক্রোঁ বলেছিলেন, একজন নারীকে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেবেন। কিন্তু তার এ ঘোষণার পরই সমালোচনা শুরু হয়। ফলে বিষয়টি হয়তো এড়িয়ে গেলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিলিপকে নিয়োগ দেয়ার পর তার নিজ দল রিপাবলিকানদের মধ্যেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। জুপে বলেছেন, নতুন প্রধানমন্ত্রী একজন ‘মেধাবী মানুষ।’ আরেক রিপাবলিকান নেতা ব্রুওঁ লি মারি বলেছেন, রাজনীতির পুরোনো বিভক্তি দূর করতে এই নিয়োগকে স্বাগত জানাই।
এইচটি/সি