মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ধর্ষকদের শাস্তি সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে কার্যকর করতে হবে। এমন শাস্তি কার্যকর করতে হবে; যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে যুগের পর যুগ।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, মানুষ নামের যে পশুরা পাশবিক লালসা চরিতার্থ করতে গিয়ে নিষ্পাপ এ শিশুটির জীবনের আলো নিভিয়ে দিলো আমি তাদের কঠিনতম ও সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। শিশুটির এ করুণ পরিণতি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো আমাদের এ জনপদ শিশুদের জন্য কতটা অনিরাপদ।
তিনি বলেন, এই পাশবিক ঘটনা প্রমাণ করে আমাদের সমাজে ও মস্তিষ্কে পচন ধরেছে। অবক্ষয় হয়েছে সামাজিক মূল্যবোধের। এ মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ এবং মস্তিষ্কের সংশোধন এখন একান্ত জরুরি। আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এ বাংলাদেশকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে নিজ নিজ জায়গা থেকে সংশোধনের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৩ মার্চকে নির্যাতনে নিহত শিশুটির নামে দিবস পালন করা যেতে পারে। যার মূল উদ্দেশ্য হবে শিশুদের সুরক্ষায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি। এর মাধ্যমে এমন সমাজ বিনির্মাণ করতে হবে যেখানে শিশু, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব মানুষ থাকবে নিরাপদ।
জামায়াত আমির বলেন, আসুন ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে এবং সাংগঠনিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই যাতে আর কোনো শিশুর এভাবে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারাতে না হয়।
তিনি বলেন, এই পাশবিক ঘটনার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি প্রদান এবং সেই সঙ্গে নিহত শিশুটির পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, গত ৫ মার্চ শিশুটি মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে সেখান থেকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর ৮ মার্চ শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় ভর্তি করা হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় তার মৃত্যু হয়।
আরটিভি/এফএ-টি