নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আ.লীগের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি নুরের

আরটিভি নিউজ 

রোববার, ১১ মে ২০২৫ , ০৩:১০ পিএম


নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আ.লীগের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি নুরের
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১১ মে) দুপুরে পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।

গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে জনগণের যে সম্পদ লুটপাট করেছে, তা বাজেয়াপ্ত করে জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা উচিত। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করলে দেশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগকে ‘ফ্যাসিবাদী ও সীমান্তের ওপারের ষড়যন্ত্রকারী’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হলে তা এক সময় দেশের জন্য বড় সংকট হয়ে দাঁড়াবে। আওয়ামী লীগ এখন আর শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, বরং এটি সীমান্তের ওপার থেকেও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী শক্তি হিসেবে কাজ করছে। গত নয় মাসে তারা বিভিন্ন ধরনের প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে।

নুর বলেন, গণঅধিকার পরিষদ, জামায়াত ও এনসিপিসহ বিভিন্ন দল সম্প্রতি শাহবাগ, পল্টন, প্রেস ক্লাব এলাকায় আন্দোলন করেছে। আমরাও যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি দিতে চেয়েছিলাম। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয় যে, প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টি নিয়ে অবগত আছেন। তরুণদের কথা শোনার মাধ্যমে তিনি আগামীর বাংলাদেশে একটি গতিপথ তৈরি করতে চান, এই বিশ্বাস থেকে আমরা কর্মসূচি স্থগিত করেছি।

তিনি বলেন, পতিত সরকারের সময়ে বিরোধী দলসমূহ একটি সমাবেশ করেছিল। এরপর থেকে প্রায় ৩০ হাজার বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অথচ গত ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের মাত্র ৩২ জন নেতাকর্মীও গ্রেপ্তার হয়নি।

বিজ্ঞাপন

সরকারের অভ্যন্তরে ‘আপসকামী’ চরিত্রের উপদেষ্টা আছে বলেও এ সময় অভিযোগ তোলেন নুর। তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের কিছু সদস্য বিদেশি দূতাবাসে গিয়ে গোপন বৈঠক করছেন। এরপরই আমরা দেখি করিডর দেওয়ার ঘোষণা ও আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের ইঙ্গিত। সেই ধারাবাহিকতায় ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ দেশত্যাগ করেন।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, রাষ্ট্রপতি পালিয়ে যাওয়ার দায় শুধু কিশোরগঞ্জের এসপির নয়, এর পেছনে ইমিগ্রেশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভূমিকা থাকতে পারে। অথচ, সরকার দায় চাপিয়েছে শুধু এক জেলা পুলিশ কর্মকর্তার ঘাড়ে।

নুর সরকারকে হুঁশিয়ার করে আরও বলেন, এই সরকার আমাদের রক্ত-ঘাম ও জেল-জুলুমের বিনিময়ে গঠিত হয়েছে। কাজেই এ সরকারের বিরুদ্ধেই আবার আমাদের যদি ঘেরাও করে দাবি আদায় করতে হয়, তাহলে সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আশা করি, যেকোনো জনসম্পৃক্ত দাবি প্রধান উপদেষ্টা গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুনসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

আরটিভি/এসএইচএম/এস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission