হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাহাঙ্গীর কবীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিটো ডায়েট সম্পর্কিত বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করে থাকেন। তার এ নির্দেশনা ও চিকিৎসা ভুল এবং অবৈজ্ঞানিক আখ্যায়িত করে তা সরিয়ে নিতে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেয় ডাক্তারদের একটি সংগঠন ‘ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সিবিলিজ’ (এফডিএসআর)।
এরপরই মঙ্গলবার ( ৩ আগস্ট) ডা. জাহাঙ্গীর করীব অনলাইন থেকে ভিডিও সরিয়ে নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান।
তবে এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এফডিএসআর এর এমন কাণ্ডে হয়েছেন ডা. জাহাঙ্গীর কবীরের ভক্তরা।
আয়ান ইসরাম আবির নামে একজন লিখেছেন, আমার আব্বু-আম্মুর প্রেসার, গ্যাস্ট্রিক, বুক জ্বালাপোড়া, হার্টের সমস্যায় দীর্ঘ বছর ধরে ভুগছিলো! হঠাৎ করে অস্থির হয়ে যেতো, শরীর খারাপ করতো, মাসে ৫ থেকে ৮ বার বাসায় ডাক্তার আনতে হতো, ক্লিনিকে চেকআপ করাতে হতো। এতো কিছুর পরেও তাদের শরীর কোনোভাবে ভালো রাখলেও ওভারঅল শারীরিক শান্তিটা পেত না! ডা. জাঙ্গাঙ্গীর কবীরের লাইফ স্টাইল ফলো করে আলহামদুলিল্লাহ জানুয়ারি মাস থেকে আজ পর্যন্ত বাসায় ডাক্তা আনতে হয়নি, ক্লিনিকে নিয়ে যেতে হয়নি, ওষুধ খরচ আগের তুলনায় ৭০ শতাংশ কমে গেছে! তারা শারীরিকভাবে কমফোর্ট ফিল করে! আপনার অপরাধটা ঠিক এখানেই? আপনার জন্য ডাক্তার নামে কসাইখানার ইনকাম কমে যাচ্ছে! আজ পর্যন্ত কাউকে বলতে শুনিনি আপনার ভুল চিকিৎসার জন্য কেউ মারা গিয়েছে বা কেউ অভিযোগ করেছে। অথচ কসাইখানাগুলোতে কত রোগী ভুল চিকিৎসার জন্য মারা যাচ্ছে। কিন্তু তাদের নিয়ে ডাক্তারদের কোনো মাথাব্যাথা দেখলাম না! আপনাকে নিয়ে তাদের এত্ত মাথাব্যাথার কারণ একটাই। আপনার মত সৎ ডাক্তারের জন্য কসাইখানার ধান্দা কমে যাচ্ছে!
মোহাম্মদ সাখাওয়াত নামে একজন লিখেছেন, দিন দিন যেভাবে মানুষ জাহাঙ্গীর স্যারের ভিডিও দেখে উপকৃত হচ্ছে, তাতে মনে হয় একদিন এই সব কসাই ডাক্তাররা বিজনেস হারাবে। তাই তাদের চুলকানি শুরু হয়ে গেছে।
সিফাত উল্লাহ নামে একজন লিখেছেন, অন্ধের দেশে আয়না বিক্রি করতে নেই। আমরা বিবেকহীন, জ্ঞানপাপী, স্বার্থান্বেষী, হিংসুক, সমালোচক। অন্যের ভালো আমরা মোটেও সহ্য করতে পারি না। কেউ উপরে উঠতে চাইলে আমরা তাকে দাবিয়ে রাখি। পারলে পায়ের নিচে পিষ্ট করার চেষ্টা করি! আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুক আমিন।
প্রসঙ্গত, ডা. জাহাঙ্গীর কবীর একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি ফেসবুক-ইউটিউবে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ এবং নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। যা কিটো ডায়ের নামে পরিচিত। তবে তার দেওয়া কিটো ডায়েট সংক্রান্ত পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা মহলে আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে।
জেএইচ