সবশেষ ইংল্যান্ড সিরিজের দলে ছিলেন আফিফ হোসেন। এরপর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দেশ ও দেশের বাইরে সিরিজে বাংলাদেশ দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর ঘরোয়া লিগে আগ্রাসী মানসিকতার পরিচয় দিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে আবারও নিজের জায়গা ফিরে পান আফিফ। তবে সুযোগের সদ্ব্যবহারই করতে পারলেন না বাঁহাতি এই ব্যাটার।
দলীয় ১২৮ রানের মাথায় ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন আফিফ। ২৮ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আফগানদের তারকা লেগ স্পিনার রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান তিনি। মাত্র ৪ রান করেই সাজঘরের পথ ধরেন মিডল অর্ডার এই ব্যাটার।
সবশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে (ডিপিএল) চ্যাম্পিয়ন দল আবাহনীর হয়ে ১৫ ম্যাচে ১১০.৬৬ স্ট্রাইকরেটে ৫৫০ রান করেছিলেন আফিফ। যার ফলে বিশ্বকাপের আগে ব্যাটিংয়ে সাত নম্বর পজিশনে তাকে আবারও সুযোগ দেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে আফগানদের বিপক্ষে নিজের ফেরার ম্যাচ রাঙাতে পারলেন না ২৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
বুধবার (৫ জুলাই) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই আফগান পেসারদের তোপ সামলাতে হিমশিম খায় বাংলাদেশের উদ্বোধনী দুই ব্যাটার তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস। আফগান পেসার ফজল হক ফারুকির প্রথম ওভারের প্রথম পাঁচ বলে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল তামিমকে। সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু ফারুকির ব্যক্তিগত চতুর্থ ওভারেই হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়েন তামিম। দলীয় ৩০ রানের মাথায় তার বলে আলতো করে ব্যাট চালিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনেন টাইগারদের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার। আর তামিমকে মাত্র ১৩ রানে ফিরিয়ে পাওয়ার প্লেতেই প্রথম উইকেটের দেখা পেয়ে যায় আফগানিস্তান।
শুরুতে তামিম ফেরার পর চাপ সামলে নিয়ে খোলস ছেড়ে বের হতে শুরু করেন লিটন দাস। কিন্তু বের হওয়ার আগেই তাকে থামতে হয় মুজিব উর রহমানের শিকার বনে। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান।
লিটনের বিদায়ের পরপরই মাঠ ছাড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যর্থতার বেড়াজাল ছিড়ে বের হতে ব্যর্থ হয়ে এবারও তাকে মাঠ ছাড়তে হয় ১২ রান করে। আর তাতেই ৭২ রানে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
বিস্তারিত আসছে...