বাংলাদেশে পা রেখেই রাজকীয় সংবর্ধনা পেয়েছিলেন হামজা চৌধুরী। তার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেছিল হবিগঞ্জের মানুষ। আর সেটা নজর এড়ায়নি বিদেশি গণমাধ্যমের। তাই ভারত ম্যাচ শেষ করে শেফিন্ড ইউনাইটেডের হয়ে মাঠে নামার সময় ইংলিশ ধারাভাষ্যকার প্রশংসাই করলেন বাংলাদেশের হামজা বরণের পুরো চিত্রের।
ব্রডকাস্টিং ধারাভাষ্যকার বলেন, একটা লম্বা ভ্রমণ শেষ করে এসেই মাঝমাঠে খেলছেন হামজা চৌধুরী। বাংলাদেশের জার্সিতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছেন। আন্তর্জাতিক বিরতিতে বাংলাদেশের হয়ে খেলার সময় বীরের মতো অভ্যর্থনা পেয়েছেন হামজা।
‘আর এখন তিনি হাজি রাইটকে (সেই সময়ের ট্যাকলের বিবরণী) চ্যালেঞ্জ করছেন। বাংলাদেশে যখন হামজা চৌধুরী গিয়েছিলেন, তখন রীতিমতো জনস্রোতের মাঝে পড়েছিলেন।’
বাংলাদেশ থেকে ফিরেই ইংলিশ ক্লাবটির জার্সিতে নেমেই হামজা হয়ে উঠলেন মাঠের সেরা পারফর্মারদের একজন। ম্যাচে হামজা খেলেছেন ৮৯ মিনিট। বলে টাচ ৪৮ বার। ৩১ পাসের মাঝে ২৫ পাসই ছিল পুরোপুরি নিখুঁত। ডুয়েল জিতেছেন ২টি। প্রতিপক্ষের বিপজ্জনক পাস আটকেছেন ৪ বার। পুরো ম্যাচে তাকে পার করতে পারেনি প্রতিপক্ষের কোনো খেলোয়াড়। ৮৯ মিনিটে তাই যখন মাঠ ছাড়ছিলেন, তখন পেয়েছেন সবার দাঁড়িয়ে দেওয়া করতালি।
ম্যাচের বেশিরভাগ সময় হামজা খেলেছেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে। ২টা ট্যাকেল, ৪টা ইন্টারসেপশন, ১টা ব্লক ও ৩ টা রিকোভারির পাশাপাশি ফাইনাল থার্ডে ৩ বার বল পাস দেন হামজা। দলের জয়ে গোল-অ্যাসিস্ট না করেও হামজা ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
আরটিভি/এসআর