চলতি বছর সূচিতে থাকা নিজেদের সব টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ঐতিহাসিক জয়ের পর এ বছর বাংলাদেশ দল সবগুলো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের নজির গড়তে সক্ষম হবে বলে আত্মপ্রত্যয় ব্যক্ত করেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
নেপিয়ারে সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে কিউইদের মাটিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ের স্বাদ নিয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে এখন বাংলাদেশ। শেষ দুই ম্যাচের মধ্যে একটি জিতলেই এ বছর টানা চতুর্থ সিরিজ জিতবে টাইগাররা। এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের যেকোনো ফরম্যাটে সব সিরিজ জিতে কখনও পুরো বছর শেষ করতে পারেনি বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টি মাউন্ট মাউঙ্গানুইর বে ওভালে খেলবে বাংলাদেশ। যেখানে গত বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মত টেস্ট ম্যাচ জিতেছিল টাইগাররা। এবার টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টানা নয় ম্যাচ হারের বৃত্ত ভাঙে লাল-সবুজের দল। তাই সিরিজ জয়ের ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী নাজমুল শান্ত।
শান্ত বলেন, ‘নেপিয়ারের আজকের জয়, মাউন্ট মাউঙ্গানুইতে শেষ দুই টি-টোয়েন্টিতে আমাদের অনুপ্রেরণা দিবে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় টি-টোয়েন্টি আমাদের জন্য সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা এই সিরিজ জিততে চাই। ছেলেদের মধ্যে যথেষ্ঠ আত্মবিশ্বাস আছে। কিন্তু আত্মতুষ্টিতে না ভুগে পরের দুই ম্যাচের জন্য আমাদের পরিকল্পনা করা উচিত। আমি আশা করি, সবাই নিজেদের কাজ নিখুঁতভাবে করার জন্য স্বচেস্ট থাকবে।’
গুরুত্বপূর্ণ সব ম্যাচেই টস ভাগ্যে জয় পাওয়া শান্ত আজও নিউজিল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাটিং পাঠাতে দ্বিধা করেননি। বোলিংয়ের সুযোগ পেয়ে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের চেপে ধরে বাংলাদেশের বোলাররা। মাত্র ১ রানে কিউইদের ৩ উইকেট শিকার করেন টাইগাররা বোলাররা। যা টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বাজে শুরু। এরপরও জিমি নিশামের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৩৪ রান করতে পারে নিউজিল্যান্ড।
এদিন বল হাতে ২৬ রানে একাই ৩ উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। এছাড়া শেখ মাহেদি হাসান ১৪ রানে ও মুস্তাফিজুর রহমান ১৫ রানে ২টি করে উইকেট শিকার করেন। জবাবে ১৮ দশমিক ৮ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ৩৬ বলে অপরাজিত ৪২ রান করেন লিটন। এছাড়া সৌম্য সরকার ২২, শেখ মাহেদী ১৯* ও শান্ত ১৯ রান করেন।
শান্ত বলেন, ‘প্রথম ম্যাচ জিতে ভালোভাবে সিরিজে শুরু করতে পেরে আমরা সত্যিই খুশি। এমন অর্জনে আমরা গর্বিত। ম্যাচ জিততে দলের বোলাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তারা দ্রুত শিখছে। নতুন বলে দারুন বোলিং করেছেন শরিফুল, তানজিম ও মুস্তাফিজ। বিশেষভাবে মাহেদির পারফরম্যান্সে আমি মুগ্ধ হয়েছি। স্পিনার হয়েও পেস বান্ধব উইকেটে ভালো করেছে মাহেদি।’
কিন্তু বাংলাদেশের জয় সহজে আসেনি। ব্যাটিংকালে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকলে এক সময় জয় নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলো টাইগাররা। ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে সাত বল বাকি থাকতে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন লিটন ও মাহেদি।
শান্ত বলেন, ‘শেষের উত্তেজনাই ক্রিকেটের সৌন্দর্য। নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে এই কন্ডিশনে ব্যাট করা সবসময় চ্যালেঞ্জিং। তাদের ১৩৪ রানে আটকে রাখার পর, আমরা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠি।’